মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
Article Intro
মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
গভীর চিন্তায় না গিয়েও প্রতিদিনের জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বুঝে থাকি যে, আমরা একে অন্যের জন্য বাঁচি। আমাদের জীবনযাপন প্রথমত তাদের জন্য যাদের আনন্দ ও কল্যাণের উপর আমাদের সুখ সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। যাদের আমরা চিনি না, যারা সংখ্যায় বিপুল, সেই মানুষদের নিয়তির সঙ্গেও আমাদের অস্তিত্ব সহমর্মিতার শৃঙ্খলে বাঁধা। প্রতিদিন শতবার আমি নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেই যে, আমার মনােজীবন ও দৈহিক জীবন জীবিত ও মৃত অসংখ্য মানুষের শ্রমের উপর নির্ভরশীল; যেভাবে আমি অন্যদের থেকে গ্রহণ করেছি এবং করছি সেভাবেই অন্যদেরকে আমার দান করে যাওয়াও কর্তব্য।
ক. সমাজের ক্ষুদ্রতম অঙ্গ কোনটি?
খ. “সে উত্তরাধিকারকে আমরা জীবনে প্রয়ােগ করতে পারিনি।” বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকটিতে ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব এবং মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের মূলভাব একসূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
মানব কল্যাণ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ সমাজের ক্ষুদ্রতম অঙ্গ হলাে পরিবার।
খ উত্তরঃ বাংলাদেশের মহৎ ব্যক্তিরা সবাই মানবিক চিন্তা আর আদর্শের উত্তরাধিকার রেখে গেছেন। কিন্তু লেখক মনে করেন সেই উত্তরাধিকারকে আমরা জীবনে প্রয়ােগ করতে পারিনি। মানুষের উন্নতি সাধন করাই মানবতা। ব্যক্তি থেকে শুরু করে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে মর্যাদাপূর্ণ সমৃদ্ধির জন্য মানবতাবােধ একান্ত জরুরি।
বর্তমানে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। এই উন্নতির পিছনে রয়েছে মানব-মনীষার যথার্থ প্রয়ােগ ও সাধনা। তা সত্ত্বেও মানুষ আত্মস্বার্থে অন্ধ হয়ে নির্মম-নিষ্ঠুর আচরণ করছে। তারা লােভে-হিংসায় একে অন্যকে আঘাত করছে, হত্যা করছে। আর এভাবে নিজেই নিজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নিজেকে হীন ও জঘন্য হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। আমরা যেন আমাদের পূর্বপুরুষদের দেওয়া সত্য ও ন্যায়ের পথকে ভুলে গেছি। এজন্যই লেখক প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
সারকথা : মানুষের ন্যায়-অন্যায় বােধ-বিবেচনা থাকা সত্ত্বেও লােভ-লালসার শিকার হয়ে অন্যের অকল্যাণ করে। এই অমানবিকতার জন্যই লেখক প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটিতে ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে আলােচিত মানুষের যাপিত জীবনে পরস্পরের কল্যাণে মানুষের আত্মনিয়ােগের মাধ্যমে সত্যিকার মানবকল্যাণ সাধনের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। পারস্পরিক কল্যাণ সাধন করাই মানুষের দায়িত্ব। অথচ স্বার্থবুদ্ধি মানুষকে একে অন্যের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে। শুভবুদ্ধি, সহানুভূতি ও সহযােগিতার ভাব নিয়ে সমাজে প্রত্যেক মানুষ সাহস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে বসবাস করলে সামাজিক প্রীতিও স্থাপিত হয়। উদ্দীপকে মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ববােধ ও কৃতজ্ঞতাবােধের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীতে মানুষ একে অন্যের ওপর নানাভাবে নির্ভরশীল।
পৃথিবীর সমস্ত মানুষ মিলে অভিন্ন এক মানবসমাজ। আর এই মানবসমাজের ধারণার মূলে রয়েছে মানবকল্যাণ। উদ্দীপকের এ মৌল বিষয়টি মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে প্রতিফলিত মানবকল্যাণের বিষয়টির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ প্রবন্ধে মানুষকে আত্মস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে কল্যাণ সাধন করার কথা বলা হয়েছে।
সারকথা : মানুষের প্রতি মানুষের ভালােবাসা সুখে-শান্তিতে বাস করার শক্তি ও সাহস জোগায়। কেউ উপকার করলে কৃতজ্ঞ হওয়া এবং তার ‘ প্রতিদান দেওয়া প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব। মানবকল্যাণের জন্য তা একান্ত জরুরি। উদ্দীপক ও আলােচ্য প্রবন্ধে উভয় জায়গায় এ বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের মূলভাব এবং মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের মূলভাব একসূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটি যথার্থ। মানুষ বৈচিত্র্যময় জীবনের অধিকারী। তারা সমাজবদ্ধ হয়ে জীবনযাপন করে এবং সামাজিক মানুষ হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে। তারা একে অন্যের সঙ্গে মানবিক আচরণ করে। ফলে মানুষ যেখানেই থাকুক না কেন, সেখানেই একে অন্যের। আত্মীয়-পরিজন হয়ে ওঠে।
উদ্দীপকে মানুষে মানুষে ভালােবাসার বন্ধন ও প্রতিদানের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। এখানে জগৎ ও জীবনের সমন্বয় সাধনে মানুষে মানুষে মিলনের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীর সব মানুষ এক জাতি। তাই মানুষ হিসেবে একে অন্যের কল্যাণ সাধনে কাজ করা প্রত্যেকের দায়িত্ব। প্রত্যেকেই একে অন্যের শ্রম ও দানের ওপর নির্ভরশীল।
উদ্দীপকের এ মৌল বিষয়টি মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের মূলভাবের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ সেখানে মানুষের ব্যবহারিক জীবনের উন্নতি ও সুখ-শান্তির জন্য তাদের পারস্পরিক সহযােগিতার কথা বলা হয়েছে। ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে মূলত আত্মস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে, মানবতাবােধ নিয়ে মানুষের বৃহত্তর কল্যাণে এগিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।
মানুষ বিভক্তিকরণে নয়, একত্রিত হয়ে জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে- এ প্রত্যাশা করেন লেখক। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকেই প্রত্যেকের যাপিত জীবনের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে পৃথিবীতে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেবে। প্রবন্ধের এ বিষয়ের সঙ্গে উদ্দীপকের মূলভাব অভিন্ন। কারণ উদ্দীপকেও মানবকল্যাণের এই শাশ্বত রূপটি প্রকাশ পেয়েছে। এসব দিক বিচার করে তাই বলা হয়েছে যে, উদ্দীপকের মূলভাব ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের মূলভাবের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা।
সারকথা : মানুষের মর্যাদাবােধ ও মানবিক চেতনার বিকাশই মানবকল্যাণের মূল কথা। প্রত্যেকেরই উচিত জগতের মানুষকে ভালােবাসা; একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ব্যবহারিক জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তােলা। উদ্দীপক ও প্রবন্ধে এ বিষয়টি অভিন্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
‘ঐ যে সমস্ত পৃথিবীটা চুপ করে পড়ে রয়েছে ওটাকে এমন ভালােবাসি। ওর এই গাছপালা নদী মাঠ কোলাহল নিস্তব্দতা প্রভাত সন্ধ্যা সমস্তটা সুদ্ধ দুহাতে আঁকড়ে ধরতে ইচ্ছে করে। মনে হয়, পৃথিবীর কাছ থেকে আমরা যেসব পৃথিবীর ধন পেয়েছি এমন কি কোনাে স্বর্গ থেকে পেতুম। স্বর্গ আর কী দিত জানি নে, কিন্তু এমন কোমলতা দুর্বলতাময় এমন সকরুণ আশঙ্কাভরা অপরিণত এই মানুষগুলির মতাে এমন আপনার ধন কোথা থেকে দিত।
ক. কালের বিবর্তনে আমরা এখন কিসের অংশ?
খ. স্রেফ সদিচ্ছা দ্বারা মানবকল্যাণ সাধিত হয় না কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটিতে মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন ভাবের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে মানুষ ও মানবতার প্রতি কবির যে অনুরাগ ব্যক্ত হয়েছে তা ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের মানবতাবােধের সঙ্গে। সম্পর্কযুক্ত।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ কালের বিবর্তনে আমরা এখন বৃহত্তর মানবতার অংশ।
খ উত্তরঃ আত্মস্বার্থের মােহে মানুষ অন্ধ থাকার কারণে মানবকল্যাণকে বড় করে দেখে না। তাই স্রেফ সদিচ্ছা দ্বারা মানবকল্যাণ সাধিত হয় না। ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে লেখক মানুষকে আত্মস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে, ধর্ম-উপদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে মানুষের বৃহত্তর কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
এখানে মানবকল্যাণের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করা হয়েছে। লেখকের মতে, ব্যক্তি থেকে শুরু করে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের মর্যাদা, সমৃদ্ধি ও মানবতার উন্নতির জন্য কাজ করাই মানবকল্যাণ। অথচ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে, একে অন্যের সহযােগী না হয়ে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে চলতে চায়। মানুষের এই দৃষ্টিভঙ্গি পালটাতে হবে। তাই বলা হয়েছে, কেবল সদিচ্ছা থাকলেই মানবকল্যাণ সাধিত হয় না।
সারকথা : মানবতার মুক্তি ও মানুষের উন্নতির জন্য কেবল ধর্ম নয়, ধর্মের সঙ্গে মানবিক বােধের জাগরণ ও বিকাশও প্রয়ােজন। তা না হলে ইচ্ছা থাকলেও মানবকল্যাণ নিশ্চিত করা হয় না।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের মানুষের প্রতি গভীর ভালােবাসার ভাবটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। • মানুষ মহৎ গুণাবলি অর্জনের মাধ্যমে তার জীবনকে মর্যাদাবান করে তােলে। মহৎ মানুষ মানে শ্রেষ্ঠ মানুষ। পরােপকার মানুষের মানবীয় গুণাবলির মধ্যে অন্যতম। মানুষ পরস্পরকে ভালােবাসার মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি ও কল্যাণকর সমাজ গড়ে তােলে। উদ্দীপকে মানুষের প্রতি গভীর অনুরাগ ও ভালােবাসা প্রকাশ পেয়েছে।
উদ্দীপকের লেখক পৃথিবীর প্রকৃতি ও পরিবেশকে নিজের। জীবনের মতােই ভালােবাসেন। পৃথিবীতে বিদ্যমান গাছপালা, মাঠ-ঘাট, পৃথিবীকে ঘিরে মানুষের যে কোলাহল তা উদ্দীপকের লেখককে মুগ্ধ করেছে। তিনি পৃথিবীর এই অপূর্ব রূপকে স্বর্গের সুখ-ঐশ্বর্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠ মনে করেন। পৃথিবীর প্রতি তার এই মায়া-মমতা, ভালােবাসা, মুগ্ধতা সবকিছুই মানুষকে কেন্দ্র করে। কোমল হৃদয়ের মানুষই তাঁর সবচেয়ে আপন ।
উদ্দীপকের লেখকের এই অনুভব মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে আলােচিত মানবকল্যাণে লেখকের উপলব্বির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। লেখক এ প্রবন্ধে মানুষের প্রকৃত কল্যাণের জন্য নিজের মনের ব্যাকুলতা প্রকাশ করেছেন। কল্যাণ বলতে মানুষের সার্বিক উন্নতি ও শান্তিকে বুঝিয়েছেন। তাই আমরা বলতে পারি যে, উদ্দীপটি আলােচ্য প্রবন্ধের মানুষের প্রতি গভীর ভালােবাসার ভাবটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
সারকথা : মানুষের প্রতি মানুষের যে গভীর অনুরাগ ও ভালােবাসা আছে তা উদ্দীপক ও ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে অভিন্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে। প্রকৃতির তা অপরূপ সৌন্দর্য অনুভবকারী মানুষ পরস্পরের কল্যাণে এগিয়ে এসে জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। উদ্দীপক ও প্রবন্ধ উভয় ক্ষেত্রে তা প্রকাশ পেয়েছে।
আপনি এই পোষ্টে মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকে মানুষ ও মানবতার প্রতি কবির যে অনুরাগ ব্যক্ত হয়েছে তা মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের মানবতাবােধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।” মন্তব্যটি যথার্থ। পরের কল্যাণ সাধনের মধ্যেই মানবজীবনের যথার্থ সার্থকতা নিহিত। নিজেকে আত্মস্বার্থে নিয়ােজিত না রেখে পরােপকারে উৎসর্গ করার মধ্যেই জীবনের প্রকৃত সাফল্য নির্ভর করে।
সংকীর্ণ স্বার্থে নিজেকে আবদ্ধ রেখে মানুষের জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। অথচ বিশ্বমানবতার কল্যাণের জন্যই মানুষের জন্ম। উদ্দীপকে প্রকৃতির মুগ্ধতায় মানুষের কর্মকোলাহলের প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে।
উদ্দীপকের লেখক মনে করেন মানুষের জগতের সঙ্গে লেখকের যে সম্পর্ক তা স্বর্গের চেয়েও উত্তম। কারণ তিনি মর্তের মানুষ আর প্রকৃতিকেই বেশি জানেন। স্বর্গের সুখ সম্পর্কে তাঁর কোনাে ধারণা নেই। স্বর্গ সম্পর্কে মানুষের যে বিশ্বাস আছে তা তার কাছে বাস্তব জগতে ব্যবহারিক জীবনের মতাে নয়। বিষয়টি মানবকল্যাণ’ প্রবন্ধেও অনুরূপভাবে প্রকাশ পেয়েছে। লেখক এখানে আমাদের প্রতিদিনকার ব্যবহারিক জীবনের প্রতিই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
‘মানব-কল্যাণ প্রবন্ধে লেখক সত্যিকার মানবকল্যাণের সংজ্ঞা এবং কীভাবে মানবকল্যাণ সাধিত হয় তা ব্যাখ্যা করেছেন। এখানে আত্মস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে, ধর্মীয় বিশ্বাস-উপদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে মানুষের বৃহত্তর কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান ধ্বনিত হয়েছে। এতে মানুষের প্রতি যে অনুরাগ ও ভালােবাসা প্রকাশ পেয়েছে তা উদ্দীপকে প্রতিফলিত মানুষের প্রতি লেখকের ভালােবাসার সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপক ও মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে মানুষের প্রতি গভীর ভালােবাসা প্রকাশ পেয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই মানুষের প্রতি যথার্থ মর্যাদাদানের যা বিষয়টি ফুটে উঠেছে। মানুষের মর্যাদাবােধ বৃদ্ধি ও মানবিক চেতনার বিকাশের মধ্যে মানবতার মুক্তি, উন্নতি ও কল্যাণ নিহিত থাকে।
আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।