উচ্চ মাধ্যমিকজনপ্রিয় পোষ্ট

বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

আপনি যদি ইতিমধ্যে বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

বংশে বংশে নাহিকো তফাত বনেদি কে আর গর-বনেদি, দুনিয়ার সাথে গাঁথা বুনিয়াদ দুনিয়া সবারি জনম-বেদি।

ক. খুড়ার কাজ কী ছিল?

খ. মৃত্যুঞ্জয়ের সাপুড়ে বৃত্তি গ্রহণের কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি বিলাসী’ গল্পের কোন চরিত্রের বিপরীত দিক প্রকাশ করে?

ঘ. উদ্দীপকটি বিলাসী’ গল্পের মূলভাবের তাৎপর্য বহন করে – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ খুড়ার কাজ ছিল ভাইপাে মৃত্যুঞ্জয়ের নামে দুর্নাম রটনা করা।

খ উত্তরঃ ‘বিলাসী’ গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় উঁচু বংশে জন্মগ্রহণ করেও ভালােবেসে সাপুড়েকন্যা বিলাসীকে বিয়ে করে সাপুড়ে বৃত্তি গ্রহণ করে । মৃত্যুঞ্জয়ের সাপুড়ে বৃত্তি গ্রহণের পেছনে কাজ করেছে সাপুড়েকন্যা বিলাসীর নিবিড় ভালােবাসার দুর্নিবার শক্তি।

মৃত্যুঞ্জয় হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে সাপুড়েকন্যা বিলাসী তার সেবা-যত্ন ও অকৃত্রিম ভালােবাসা দিয়ে তাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছিল। মৃত্যুঞ্জয়ও বিলাসীকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে আনে। কিন্তু সমাজ তা মেনে নেয়নি।

বিলাসীর হাতে ভাত খাওয়ার জন্য তাকে অন্নপাপের অভিযােগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার পর মৃত্যুঞ্জয় জাত বিসর্জন দিয়ে বিলাসীকে নিয়ে মালােপাড়ায় গিয়ে ঘর বেঁধেছে। তখন থেকেই মৃত্যুঞ্জয় জীবিকার্জনের জন্য সাপুড়ে বৃত্তি গ্রহণ করে। | সারকথা : সাপুড়ের মেয়ে বিলাসীকে বিয়ে করে তাদের পাড়ায় উঠে যাওয়ার কারণে মৃত্যুঞ্জয় সাপুড়ে পেশা গ্রহণ করে।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি বিলাসী’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের জ্ঞাতি খুড়া চরিত্রের বিপরীত দিক প্রকাশ করে। আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা জাতি বৈষম্যে বিশ্বাসী। কিন্তু মানুষের মাঝে জাতি-বর্ণ নিয়ে এই পার্থক্য করাটা অত্যন্ত অমানবিক একটি বিষয়। কারণ প্রত্যেক মানুষের জাতিগত পরিচয়ের চেয়েও বড় ও প্রথম পরিচয় হলাে সে মানুষ ।

উদ্দীপকে বংশে বংশে পার্থক্য না থাকার বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। মানুষের জাতি বা বংশ নিয়ে তফাত করে নিজেকে বড় অথবা অন্যকে ছােট করে দেখানাের মধ্যে কোনাে সার্থকতা নেই। কারণ দুনিয়াটা সব মানুষের জন্য সমান। সব মানুষেরই বসবাসের স্থান এই পৃথিবী।

বিলাসী’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়াকে জাতিভেদ করতে দেখা যায়। বিলাসী অসুস্থ মৃত্যুঞ্জয়ের পাশে এসে দাড়ালে তা মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়া ভালােভাবে নিতে পারেননি। এমনকি বিলাসীকে নির্যাতন ও গ্রামছাড়া করতে গ্রামবাসীকে নিয়ে এগিয়ে আসেন। এই খুড়া। মৃত্যুঞ্জয় নিচু জাতের মেয়ে বিলাসীর হাতে রাধা ভাত গ্রহণ করেছে। এজন্য মৃত্যুঞ্জয়কে শুনতে হয়েছে কটু কথা।

See also  বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

অর্থাৎ গল্পে দেখা যায়, মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়ার মধ্যে জাতিভেদ ও বর্ণবৈষম্যের বিষয়টি প্রকটভাবে উপস্থিত। কিন্তু উদ্দীপকে বলা হয়েছে সম্পূর্ণ বিপরীত কথা। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি বিলাসী’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের জ্ঞাতি খুড়া চরিত্রের বিপরীত দিক প্রকাশ করে।

সারকথা : উদ্দীপকে মানুষে মানুষে তফাত না করার কথা বলা হয়েছে। বিলাসী’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়ার জাতিগত বিদ্বেষের দিকটি ভীষণভাবে লক্ষ করা যায়। তাই মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়া উদ্দীপকের বিষয়টির বিপরীত চরিত্র।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকটি বিলাসী’ গল্পের মূলভাবের তাৎপর্য বহন করে – মন্তব্যটি যথার্থ ।

মানুষের সঙ্গে মানুষের সৌহার্দ-সম্প্রীতিই পারে একটি সুন্দর সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। কিন্তু মানুষের মাঝেই যদি ব্যবধান থাকে তাহলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং শান্তি বিঘ্নিত হয়। তাই যতটা সম্ভব একে অন্যের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলা উচিত। তবেই সমাজে শান্তি আসবে।

উদ্দীপকটিতে মানুষের মধ্যকার জাতিভেদ দূর করার কথা বলা হয়েছে। পৃথিবীর সব মানুষেরই বসবাসের স্থান এই পৃথিবী। কবির মতে বংশে বংশে পার্থক্য করার মধ্যে কোনাে কৃতিত্ব নেই। কারণ সবাই একই রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ। বিলাসী’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের চেয়ে বিলাসী নিচু জাতের হওয়ার পরেও তারা একে অপরকে শ্রদ্ধা করেছে, ভালােবেসেছে।

এমনকি মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়ার মাঝে জাতিভেদের বিষয়টির দেখা গেলেও মৃত্যুঞ্জয়ের মধ্যে তা দেখা যায়নি। বরং বিলাসীকে বিয়ে করে সেও সাপুড়ে পেশা বেছে নিয়েছে। গল্পে বিলাসীর মৃত্যুঞ্জয়ের অসুস্থতার সময় তার পাশে থেকে সেবা করার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে সবকিছুর উর্ধ্বে মানবধর্ম ও মানবপ্রেম।

উদ্দীপকে মানুষের মধ্যে বংশে বংশে বা জাতিতে জাতিতে পার্থক্য না করার কথা বলা হয়েছে। বিলাসী’ গল্পে জাতিভেদ উপেক্ষা করে বিলাসী ও মৃত্যুঞ্জয়ের একে অন্যের প্রতি ভালােবাসা ও শ্রদ্ধর বিষয়টি ব্যক্ত হয়েছে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে তারা মানবতা ও মানবসত্তাকে বেছে নিয়েছে, সম্মান করেছে এবং ভালােবেসেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি বিলাসী’ গল্পের মূলভাবের তাৎপর্য বহন করে।

সারকথা : উদ্দীপকে জাতি, ধর্ম, বংশ সবকিছুর ওপরে মানুষকে স্থান দেওয়া হয়েছে। বিলাসী’ গল্পে বিলাসী ও মৃত্যুঞ্জয় একে অন্যকে ঠিক সেই দৃষ্টিতেই বিচার করেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি বিলাসী’ গল্পের মূলভাবের তাৎপর্য বহন করে।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

See also  ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

জাতবৈষম্য-এর আলােকে প্রণীত। এই কান্নাকাটিতে অধর অত্যন্ত বিরক্ত হইলেন। ছোঁড়াটা মড়া ছুঁইয়া আসিয়াছে, কি জানি এখানকার কিছু ছুঁইয়া ফেলিল নাকি! ধমক দিয়া বলিলেন, মা মরেচে ত যা নীচে নেবে দাঁড়া। ওরে কে আছিস রে, এখানে একটু গােবরজল ছড়িয়ে দে! কি জাতের ছেলে তুই? কাঙালী সভয়ে প্রাঙ্গণে নামিয়া দাঁড়াইয়া কহিল, আমরা দুলে ।।অধর কহিলেন, দুলে! দুলের মড়ার কাঠ কি হবে শুনি?

ক, বড় বড় আমগাছে সমস্ত বাগানটা কিরূপ বােধ হচ্ছিল?

খ. “আমার মাথার দিব্যি রইল, এসব তুমি আর কখনাে করাে না।” – এ উক্তিটির কারণ ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের অধর রায় বিলাসী’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি?

ঘ. “উদ্দীপকটি বিলাসী’ গল্পের আংশিক ভাব ধারণ করে”- তােমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেখাও।

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ বড় বড় আমগাছে সমস্ত বাগানটা একটা জমাট অন্ধকারের মতাে বােধ হচ্ছিল।

খ উত্তরঃ  সাপের ছােবলে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হলে বিলাসী ন্যাড়াকে সাপ-ধরা বা সাপের খেলা দেখাতে নিষেধ করে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করে । মৃত্যুঞ্জয় ও ন্যাড়ার সাপ ধরা নিয়ে অসাবধানতার ভয় সবসময়েই বিলাসীর মনে ছিল। সে জানত সাপ ভয়ংকর জানােয়ার । তাই সাপ ধরা আর সাপ খেলানােয় তাদের সতর্ক হতে বিলাসী সবসময়ই উপদেশ দিত।

অবশেষে একদিন বিলাসীর কথাই মর্মান্তিকভাবে ফলে গেল। সাপের কামড়ে মৃত্যু হলাে মৃত্যুঞ্জয়ের। মিথ্যা প্রতিপন্ন হলাে সব মন্ত্রতন্ত্র, মাদুলি, কবচ, মনসার দোহাই ইত্যাদি। মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর পর সাপ আর বিষ সম্পর্কে বিলাসীর ধারণা আরও বন্ধমূল হলাে যে তা কতটা ভয়ংকর। তাই বিলাসী ন্যাড়াকে মাথার দিব্যি দিয়ে সাপ ধরতে বা সাপের খেলা দেখাতে নিষেধ করে বলেছিল, আমার মাথার দিব্যি রইল, এসব তুমি আর কখনাে করাে না।।

সারকথা : ন্যাড়াকে স্নেহ করে বলে বিলাসী তাকে আলােচ্য উক্তিটি করে।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের অধর রায় ‘বিলাসী’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের জ্ঞাতি খুড়া চরিত্রের প্রতিনিধি।

বর্ণপ্রথা খুবই মারাত্মক একটি বিষয়। সমাজে একসময় এটি প্রকটভাবে প্রচলিত ছিল। যার ফলে উঁচু বংশীয় মানুষ নিচু বংশের মানুষদের ঘৃণা করত এবং বিভিন্নভাবে বৈষম্য বজায় রাখত। নিচু বংশের মানুষরাও নিজেদের অসহায় ভেবে মুখ বুজে সবকিছু সহ্য করত।

উদ্দীপকে অধর রায়কে দেখা যায় মা-মরা কাঙালীর প্রতি বিরক্তি প্রদর্শন করতে। কাঙালী মড়া ছুঁয়ে অধর রায়ের সামনে গেলে তাকে কোনাে সমবেদনা না জানিয়ে বরং তাকে বলেছেন অপবিত্র অবস্থায় কোনাে কিছু স্পর্শ না করতে। কারণ সে নিচু জাতের এবং মায়ের মৃতদেহ স্পর্শ করে এসেছে। শুধু তাই নয়, গােবরজল দিয়ে সবকিছু পুনরায় পবিত্র করে নেওয়া এবং কাঙালীকে নিচে নেমে দাড়ানাের জন্যও বলেন।

অধর রায়ের এমন আচরণের মধ্য দিয়ে বর্ণবাদী ও বৈষম্যের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। বিলাসী’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়ার আচরণের মধ্য দিয়েও জাতি বৈষম্যের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। বিলাসী অসুস্থ মৃত্যুঞ্জয়ের সেবা করলে তিনি তার বিরােধিতা করেন। গ্রামবাসীকে তিনি সােচ্চার করে তােলেন বিলাসী নিচু জাতের সাপুড়েকন্যা সেই বিষয়ে। মৃত্যুঞ্জয়কে সেবা করা এবং রান্না করে খাওয়ানাের বিষয়টি কোনােভাবেই সহ্য করেন না খুড়া। তাই এর প্রতিকারস্বরূপ বিলাসীকে অত্যাচার করে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করার ব্যবস্থা করেন তিনি।

See also  শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

উদ্দীপকের অধর রায় ও গল্পের খডর মধ্যে বর্ণ-বিদ্বেষ ও জাতি বৈষম্যের এ দিকটি প্রকটভাবে দেখা গেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের অধর রায় ‘বিলাসী’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের জ্ঞাতি খুড়া চরিত্রের প্রতিনিধি ।

সারকথা : উদ্দীপকের অধর রায় এবং বিলাসী’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়ার মধ্যে বর্ণ-বিদ্বেষ ও জাতি বৈষম্যের দিকটি স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। তাই চরিত্র দুটি একে অপরের প্রতিনিধি ।

আপনি এই পোষ্টে বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকটি বিলাসী’ গল্পের আংশিক ভাবকে ধারণ করে”- মন্তব্যটি যথার্থ ।

কোনাে মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালােবাসা জন্মে তার মার্জিত আচার-আচরণ ও হিতকর কাজের জন্য। মানুষের ধনসম্পত্তি, জাতি-বর্ণ দেখে কখনাে মানুষকে ভালােবাসা যায় না। কারণ সবাই প্রথমে মানুষ, তারপরে তার আলাদা আলাদা পরিচয় থাকতে পারে।

উদ্দীপকে কাঙালীর সঙ্গে অধর রায় অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করেন। তার মা মারা যাওয়ার পরে তাকে কোনাে রকমের সমবেদনা না জানিয়ে বরং তার সঙ্গে বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক আচরণ করেন। বিলাসী’ গল্পে অসুস্থ ও শয্যাশায়ী মৃত্যুঞ্জয়ের সেবা করে তাকে সুস্থ করে তােলে বিলাসী।

মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়া ও গ্রামের অন্যরা পরবর্তীতে তাদের বিয়ে ও সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নেয় না। কিন্তু তারা দুজন জাতি-ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে নিজেদের মানুষ পরিচয় দিয়েছে। বিলাসীর কাছে যেকোনাে কিছুর চেয়ে মূল্যবান ছিল মৃতুঞ্জয়ের জীবন। মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিলাসী। এজন্যই পরবর্তী সময়ে নিজের জাত ছেড়ে মৃত্যুঞ্জয় বিলাসীকে জীবনসঙ্গী করে সাপুড়ে পেশা গ্রহণ করে।

গল্পে জাতি-বর্ণ সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে দুই মানবমানবীর প্রেম ও ভালােবাসা। যেন তারা একে অন্যের পরিপূরক হয়েই বাঁচতে চেয়েছিল। উদ্দীপকে শুধু জাতি বৈষম্যের দিকটি ফুটে উঠেছে। কিন্তু বিলাসী’ গল্পে জাতি বৈষম্যের পাশাপাশি দুটি মহৎপ্রাণ হৃদয়ের ভালােবাসার দিকটি দেখা গেছে।

গল্পে একসঙ্গে সেবাপরায়ণ নারী, আত্মত্যাগী মানবহৃদয়, জাতি বৈষম্য সবকিছুর পাশাপাশি একের প্রতি অন্যের স্নেহ-ভালােবাসা ও সম্মানের দিকটিও প্রকাশ পেয়েছে। এসব দিক উদ্দীপকে সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি বিলাসী’ গল্পের আংশিক ভাব ধারণ করে।

সারকথা : উদ্দীপকে শুধু জাতি বৈষম্যের দিকটি ব্যক্ত হলেও ‘বিলাসী’ গল্পের প্রেক্ষাপট আরও বিস্তৃত। তাই উদ্দীপকটি গল্পের একটি অংশের ধারণা দেয়।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button