পত্র/ দরখাস্ত

তোমার বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবস উদযাপনের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুকে পত্র লিখ

আপনি কি জানেন, আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় দিবস কবে? আমাদের বাংলাদেশ এর জাতীয় দিবস হল ২৬ শে মার্চ। আর সে কারণে এই দিনটি কে আমাদের দেশে বিশেষ ভাবে পালন করা হয়ে থাকে। তবে সেই স্বাধীনতা দিবস এর তাৎপর্য সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। তো কোনো কারণে যদি আপনার বিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপনের বর্ণনা সম্পর্কে আপনার বন্ধুকে পত্র লেখার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। কারণ আজকে এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে মোট দুই টি পত্র শেয়ার করব। যে গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধু কে বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবস উদযাপনের বর্ণনা দিয়ে পত্র লিখতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি সেই পত্র গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

জাতীয় দিবস উদযাপনের বর্ণনা পত্র: ০১

২৬ শে মার্চ ২০২২ ইং

ঢাকা, বাংলাদেশ

প্রিয় সুমন,

সবার শুরুতেই তোমাকে জানাচ্ছি মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রীতি এবং শুভেচ্ছা। আমার দীর্ঘ বিশ্বাস আছে যে, তুমি অনেক ভালোই আছো। তোমাকে একদিন বলেছিলাম যে, আমাদের বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে। আর আজকে সেই স্বাধীনতা দিবসের সকল উদযাপন সঠিক ভাবে পালন করা হয়েছে। মূলত আজকের এই পত্রের মাধ্যমে আমি তোমাকে সেই স্বাধীনতা দিবসে সকল উদযাপন কে এই পত্রের মাধ্যমে বর্ণনা করব। আশা করি এই বর্ণনা শুনে তোমার অনেক ভালো লাগবে।

তুমি জেনে অনেক খুশি হবে কারণ আজকে আমাদের বিদ্যালয় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক বিরাট জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকারের আয়োজন ছিল। যেমন, এই অনুষ্ঠানের মধ্যে কবিতা আবৃত্তি করা হয়েছিল, দেশাত্মবোধক গান গাওয়া হয়েছিল, এর পাশাপাশি রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি গাওয়া হয়েছিল। সেই সাথে এই অনুষ্ঠানে আগত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আমাদের স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা প্রদান করেছিল। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এই অনুষ্ঠানের মধ্যে বিশেষ এক ধরনের বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।

তবে এইসব আয়োজন এর মধ্যে যে সকল প্রতিযোগিতা ছিল। সেই সকল প্রতিযোগীদের জন্য বিশেষ উপহার বরাদ্দ ছিল। যেমন উক্ত প্রতিযোগিতা গুলো তে যারা প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করতে পেরেছে। তাদের কে পুরস্কার হিসেবে বই দেওয়া হয়েছিল। মূলত এই বই গুলো দেয়ার কারণ ছিল যেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে। আর তুমি জেনে অনেক খুশি হবে, কারণ আমি কবিতা আবৃত্তি তে প্রথম স্থান দখল করতে পেরেছি। এবং উপহার হিসেবে আমিও একটা বই পেয়েছি। এর পাশাপাশি কম বেশি প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী কোন না কোন বিষয়ে পুরস্কার পেয়েছে।

তো আজ আর নয়, আমি আর বেশি কিছু লিখব না। তবে তোমার বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের কথা লিখতে ভুলবে না। এই বলেই শেষ করছি, ভালো থেকো।

ইতি তোমার প্রিয় বন্ধু,

সজীব

জাতীয় দিবস উদযাপনের বর্ণনা পত্র: ০২

২৬ শে মার্চ ২০২২ ইং

ঢাকা, বাংলাদেশ

প্রিয় রবিন,

পত্রের শুরুতেই তোমার প্রতি রইল অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আশা নয় বরং বিশ্বাস করি যে, তুমি অনেক ভালো আছো। আর তোমার এই ভালো লাগা কে আরো কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই পত্র টি লিখছি। তুমি হয়তোবা জেনে থাকবে যে, গতকাল আমাদের বিদ্যালয় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। আর এই অনুষ্ঠানের মধ্যে সবকিছু এমনভাবে সাজানো হয়েছিল। যার মধ্যে কোন প্রকারের কমতি ছিল না। আজকের এই পত্রের মধ্যে আমি তোমাকে সেই স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন এর বর্ণনা দেয়ার চেষ্টা করব। আশা করি, তোমার এই বর্ণনা শুনে অনেক ভালো লাগবে।

দিনের শুরুতেই আমাদের বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের সাথে আমরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছি। এরপরে আমাদের বিদ্যালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের আয়োজন ছিল। যেমন, কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান গাওয়া, বিতর্ক প্রতিযোগিতা। সেই সাথে উক্ত অনুষ্ঠানে যেসব অতিথিরা এসেছিল। সেই সব অতিথিরা আমাদের সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা প্রদান করেছিল। আর সেই অনুষ্ঠানের মধ্যে যে সকল প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সকল প্রতিযোগীদের জন্য বিশেষ পুরস্কার এর ব্যবস্থা ছিল। মূলত যে সকল শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতা গুলোর মধ্যে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে পেরেছে। তাদের কে পুরস্কার হিসেবে বই প্রদান করা হয়েছিল।

তবে এই বই গুলো দেয়ার কারণ হলো, শিক্ষার্থীরা যাতে করে এই স্বাধীন বাংলাদেশের মর্ম বুঝতে পারে। কত ত্যাগ, কত রক্ত ঝরার পরে আজকে আমরা এই দেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখতে পাচ্ছি, সে সম্পর্কে জানতে পারে। আর তুমি জেনে অনেক খুশি হবে। কারণ আমি কবিতা আবৃত্তি তে প্রথম স্থান অধিকার করতে পেরেছি। আর সে কারণেই আমিও পুরস্কার হিসেবে একটা বই পেয়েছি। তো এই ছিল আমাদের বিদ্যালয়ে উদযাপিত হওয়া স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। যা তোমাকে আমি এই পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে দিলাম। তবে তোমার বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমাকে লিখতে ভুলবে না। এই বলে আজকের লেখা শেষ করছি। ভালো থেকো, সুস্থ থাকো।

ইতি তোমার প্রিয় বন্ধু,

রাজীব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button