সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২
অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
কালের বিবর্তনে মানুষের জীবনধারা এবং মৃত্যুচিন্তা-এর আলােকে প্রণীত। পূর্বমুখে রায় মােড় ফিরিলেন। পত্তনিদার মহল এটা। রায়দের দপ্তরে বিভিন্ন জেলার বড় বড় ধনী পত্তনিদার ছিল। পাঁচ শত হইতে পাঁচ হাজার টাকা খাজনা রাখিত, এমন পত্তনিদারের অভাব ছিল না। তাহারা আসিলে এইখানে তাহাদের বাসস্থান দেওয়া হইত। বারান্দার দেওয়ালে বড় বড় ছবি টাঙানাে রহিয়াছে। মুখ তুলিয়া রায় একবার চাহিলেন। প্রথমখানির ছবি নাই, কঁাচ নাই, শুধু । ফ্রেমখানা ঝুলিতেছে। দ্বিতীয়খানার কাঁচ নাই। তৃতীয়খানার স্থান শূন্য। একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া রায় আবার নতমুখে চলিলেন। ) উপরে কড়ির মাথায় পায়রাগুলি অবিরাম গুঞ্জন করিতেছে। পূর্বমুখে বারান্দার প্রান্তেই সিঁড়ি। সিঁড়ি বাহিয়া রায় নিচে আসিয়া নামিলেন! দুই বৎসর পর আজ আবার তিনি নিচে নামিলেন। সেরেস্তাখানার সারি সারি ঘরে রায়বংশের রাশি রাশি কাগজ বােঝাই। হইয়া আছে।
ক. ‘সােনার তরী’ কবিতার ‘বিদেশ’ কিসের প্রতীক?
খ. ‘সােনার তরী’ কবিতায় কবির জীবনদর্শনটি কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘সােনার তরী’ কবিতার সঙ্গে কোন দিক থেকে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব কি ‘সােনার তরী’ কবিতার মূলভাবের সম্পূর্ণ বিপরীত? তােমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ‘সােনার তরী’ কবিতার ‘বিদেশ’ চিরায়ত শিল্পলােকের প্রতীক।
খ উত্তরঃ ‘সােনার তরী’ কবিতায় কবির জীবনদর্শনটি হলাে— মহাকালের স্রোতে মানুষ ভেসে যায়, মানুষের সৃষ্টি টিকে থাকে।
‘সােনার তরী’ কবিতায় একটি জীবনদর্শন অন্তর্লীন হয়ে আছে। তা হলাে মহাকাল ব্যক্তির কর্মকে গ্রহণ করলেও ব্যক্তিকে গ্রহণ। করে না। এ কবিতায় চারপাশের প্রবল স্রোতের মধ্যে সােনার ধান নিয়ে অপেক্ষায় থাকা এক কৃষক মাঝিকে নৌকা ভিড়িয়ে তার সােনার ধান তুলে নিতে মিনতি করে। মাঝি ঐ ধান নৌকায় তুলে নিয়ে চলে যায়। ছােট নৌকায় কৃষকের স্থান হয় না। কৃষক শূন্য নদীর তীরে মহাকাল ব্যক্তির কর্মকেই গ্রহণ করে, ব্যক্তিকে নয়।
সারকথা : ‘সােনার তরী’ কবিতায় কবির জীবনদর্শনটি হলাে ব্যক্তির কর্মকে মহাকাল ধারণ করে, ব্যক্তিকে নয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি ‘সােনার তরী’ কবিতার সঙ্গে আসন্ন মৃত্যুর জন্য কৃষকের অপেক্ষা করার দিক থেকে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। অনিবার্য সত্য মৃত্যুকে মানুষ এড়াতে পারে না। পৃথিবীতে মানুষের কর্ম অমর। কিন্তু কর্মী মূল্যহীন।
উদ্দীপকে রায় বাড়ির একটি ঘরের বর্তমান ও অতীত অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে রায়দের দপ্তরে বিভিন্ন জেলার বড় বড় ধনী, পত্তনিদার এসে থাকতেন। রায় বাড়ির বারান্দার দেয়ালে ছবি টাঙানাের কথা বলা হয়েছে। রায় ঘুরে ঘুরে ঘরের বিভিন্ন জিনিসের বর্ণনার সঙ্গে নিজের হারিয়ে যাওয়া বা বিলীন হওয়ার কোনাে অনুভূতি প্রকাশ করেননি।
এই দিকটি ‘সােনার তরী’ কবিতার আসন্ন মৃত্যুর জন্য কৃষকের অপেক্ষা করার সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। সেরেস্তাখানার সারি সারি ঘরে রায় বংশের রাশি রাশি কাগজ বােঝাই হয়ে থাকলেও রায়ের মধ্যে বিশেষ কোনাে প্রতিক্রিয়া নেই। সােনার ধান’ নিয়ে মাঝির চাল যাওয়া এবং সেই তরিতে ঠাই না পেয়ে কৃষকের যে অবস্থা হয়েছিল তা এখানে প্রকাশ পায়নি। এই দিক থেকে উদ্দীপকটি ‘সােনার তরী’ কবিতার সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
সারকথা : উদ্দীপকে রায়বংশের পূর্বের অবস্থা এবং রায়বাড়িতে লােকজনের সমাগমের যে বর্ণনা রায় দিয়েছেন তা ‘সােনার তরী’ কবিতার সঙ্গে মিলে না । কবিতায় কৃষক আসন্ন মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করলেও, উদ্দীপকের রায়ের মধ্যে তা প্রকাশ পায়নি।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ না, উদ্দীপকের মূলভাব ‘সােনার তরী’ কবিতার মূলভাবের সম্পূর্ণ বিপরীত। মহাকালের স্রোতে মানুষ তার কর্ম রেখে হারিয়ে যায়। তাই কীর্তি-কর্মের মাধ্যমে মানুষ অমর হতে চায় ।
‘সােনার তরী’ কবিতায় কবি একজন কৃষকের রূপকে মানুষের জীবনদর্শন তুলে ধরেছেন। এখানে কৃষকের কষ্টের ফসল মহাকালরূপী সােনার তরিতে স্থান পেলেও কৃষকের স্থান হয় না। চারপাশের প্রবল স্রোতের মধ্যে দ্বীপসদৃশ ধানখেতে সে অনিবার্য পরিণতি জন্য অপেক্ষা করে। এ কবিতায় কৃষকের এই অপেক্ষার সঙ্গে উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর মিল নেই। তবে
উদ্দীপকে রায় বাড়ির দেয়ালে টাঙানাে বিভিন্ন ছবি এবং মৃত্যুর মধ্য দিয়ে রায়বাড়ির পূর্বপুরুষদের হারিয়ে যাওয়ার বর্ণনা কবিতার মৃত্যুচিন্তাকে ইঙ্গিত করে। অন্যদিকে সেগুলাে দেখে রায়ের দীর্ঘশ্বাস ও নতমুখে চলতে শুরু করার বিষয়টিও ‘সােনার তরী কবিতায় প্রতিফলিত কৃষকের বেদনাবােধের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা।
‘সােনার তরী’ কবিতায় কবি রূপক অর্থে কৃষকের যে পরিণতি তুলে ধরেছেন তা ব্যক্তিমানুষের চিরন্তন অনিবার্য পরিণতি। কারণ ব্যক্তি বা কর্মীকে কালগ্রাসে বিলীন হয়ে যেতে হয়। উদ্দীপকের ছবি ছাড়া ফ্রেম, কাচ ছাড়া শূন্য ফ্রেম পড়ে থাকার বিষয়টি কবিতার ব্যক্তিমানুষের শূন্যতাকে ইঙ্গিত করে। তাই বলা যায় যে, বৈসাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকের মূলভাব ‘সােনার তরী কবিতার মূলভাবের সম্পূর্ণ বিপরীত নয়।
সারকথা : ‘সােনার তরী’ কবিতার অনিবার্য মৃত্যুর জন্য কৃষকের অপেক্ষার সঙ্গে উদ্দীপকের বিষয়টি বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। তবে উদ্দীপকে রায় = বাড়ির অতীত ও বর্তমান অবস্থার যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা যা কবিতার কৃষকের অতৃপ্তির বেদনাবােধের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
ফিরে যাওয়ার পথ তাে ভােলাই।
জন্ম থেকেই খােলা,
জীবনখাচার নকল মােহে।
দূরত্ব দেয় দোলা।।
মনের মধ্যে শঙ্কিত সুচ
দ্বিধার কানাকানি,
জীবনঝড়ের ঝলকানি খুব
আছড়ে মারে জানি।
ঝাঝরা শরীর রােগের থাবায়
পথের প্রান্ত নিবিড় ভাবায়
ভাবতে ভাবতে উদাস উজাড়
গাছ-গাছালি গুল্ম ও ঝাড়।
জীবনজোড়া তুচ্ছ হলাে হৃদয় বিপণন
মরণমাঝি বৈঠা নে রে ডাকছে তােকে মন!
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা’ ও ‘কাহিনি’ কী ধরনের রচনা?
খ. ‘সােনার তরী’ কবিতার রূপকল্পটি কীভাবে পূর্ণতা লাভ করেছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘সােনার তরী’ কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “মিল থাকলেও উদ্দীপকের মূলভাব ‘সােনার তরী’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন নয়।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা’ ও ‘কাহিনি’ কাহিনি-কবিতার সংকলন।
খ উত্তরঃ ‘সােনার তরী’ কবিতাটি একটি রূপক কবিতা। এ কবিতায় একই সঙ্গে একটি জীবনদর্শন অন্তর্লীন হয়ে আছে। • ‘সােনার তরী’ কবিতায় ‘আমি’ সাধারণ অর্থে কৃষক, প্রতীকী অর্থে কবি নিজে; বাকা জল এখানে কালস্রোতের প্রতীক; মাঝি
মহাকালের প্রতীক, আর সােনার ধান ব্যক্তি মানুষের সৎ ও কল্যাণকর কাজের প্রতীক। কৃষক রাশি রাশি ধান কেটে নিয়ে দ্বীপসদৃশ ধানখেতে একা দাঁড়িয়ে আছে। এক মাঝি এসে কৃষককে ফেলে শুধু তার সােনার ধান তুলে নিয়ে যায়। কৃষক তখন অতৃপ্তির বেদনা নিয়ে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করে। এভাবে এ কবিতার রূপকল্পটি পূর্ণতা লাভ করেছে।
সারকথা :‘সােনার তরী’ কবিতায় কৃষকের সােনার ধান নিয়ে মাঝি চলে যায়। কৃষক তখন অনিবার্য মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি ‘সােনার তরী’ কবিতার অপূর্ণতা বেদনা নিয়ে অনিবার্য মৃত্যুর জন্য ব্যক্তিমানুষের প্রতীক্ষায় থাকার দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। জন্মের পর মানুষের অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে মৃত্যু। বস্তুজগৎ ছেড়ে মানুষ চলে যায়, কেবল টিকে থাকে তার কর্ম।
উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি জন্মের পর থেকেই মৃত্যুর পথ খােলা থাকার এবং সেই পথের প্রান্তে রােগাক্রান্ত শরীর নিয়ে মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকার কথা বলেছেন। তাঁর এই প্রতীক্ষার বিষয়টি ‘সােনার তরী’ কবিতার অপূর্ণতার বেদনা নিয়ে কালস্রোত বেষ্টিত শূন্য নদী তীরে আসন্ন ও অনিবার্য মৃত্যুর প্রতীক্ষায় থাকার দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
কারণ উদ্দীপকেও কবি রােগে ভুগে বেদনা ক্লান্ত হয়ে, মরণমাঝির জন্য অপেক্ষায় আছেন। তাঁর জীবন খাঁচার নকল মােহ, ভয়-শঙ্কা, দ্বিধা প্রভৃতি ‘সােনার তরী’ কবিতার কৃষকের ভয়শঙ্কার দিককে নির্দেশ করেছে। এভাবে উদ্দীপকের কবির মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকার এবং কালস্রোতে বিলীন হওয়ার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
সারকথা : জন্মের পর থেকেই মানুষের জীবনে মৃত্যুর পথ খােলা থাকে। এই দিকটি উদ্দীপক ও ‘সােনার তরী’ কবিতায় পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ।
আপনি এই পোষ্টে সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “মিল থাকলেও উদ্দীপকের মূলভাব ‘সােনার তরী’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন নয়।”- মন্তব্যটি যথার্থ । মানুষ মরণশীল হলেও কর্ম অমর। কালের প্রবাহে মহাকালের গর্ভে মানুষ বিলীন হলেও কর্ম বিলীন হয় না।
‘সােনার তরী’ কবিতায় কৃষক তার সমস্ত সাধনা দিয়ে সােনার ধান ফলায়। অচেনা মাঝির সােনার তরিতে সেই ধান স্থান। পেলেও তাতে কৃষকের স্থান হয় না। কৃষক তখন ব্যথিত মনে অনিবার্য পরিণতির জন্য অপেক্ষা করে। এই অপেক্ষার সঙ্গে উদ্দীপকের কবিতাংশের কবির মরণমাঝির জন্য অপেক্ষা করার মিল রয়েছে।
অন্যদিকে ‘সােনার তরী’ কবিতা কবিতার কৃষক ভেবেছিল যে, তার সােনার ধানের সঙ্গে মাঝি তাকেও সােনার তরিতে তুলে নেবে। মাঝি তা করেনি। এই বিষয়টি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি। সেখানে কবির মৃত্যু পথের প্রান্ত নিবিড় হয়ে আসার ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে।
‘সােনার তরী’ কবিতার মূল বক্তব্য হচ্ছে মানুষ তার সমগ্র জীবনে যে কর্ম করে, যা তার কীর্তি তা মহাকাল ধরে রাখে। কিন্তু কর্মীকে ধরে রাখে না। কর্মের মাধ্যমে টিকে থাকার এই বিষয়টি উদ্দীপকে নেই। সােনার তরী’ কবিতা একটি রূপক কবিতা। এখানে আমি সাধারণ অর্থে কৃষক, প্রতীকী অর্থে কবি নিজে, বাঁকা জল কালস্রোতের প্রতীক, মাঝি মহাকালের প্রতীক আর সােনার ধান ব্যক্তিমানুষের সৎ কর্মের প্রতীক। উদ্দীপকের কবিতাংশে এই বিষয়গুলাে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : ‘সােনার তরী’ কবিতার অনিবার্য মৃত্যুর জন্য কৃষকের প্রতীক্ষার দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ কবিতার রূপকল্প এবং গ্রামীণ পরিবেশের বিষয়টি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি।
আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।