উচ্চ মাধ্যমিকজনপ্রিয় পোষ্ট

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রচনা

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই ব্লগে। সবুজ সৌন্দর্যের দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সৌন্দর্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান প্রকৃতির। অন্য সব দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রকৃতি বসবাসের জন্য খুবই অনুকূল। আল্লাহ এই দেশটাকে সুন্দর করে দিয়েছেন। তিনি আমাদের অশেষ আশীর্বাদ করেছেন। এদেশের নদী, মাঠ, বন, পাহাড় দেখে আমরা মুগ্ধ।

দিগন্তে ফসলের ক্ষেত, দখিনা বাতাসে দোল খাচ্ছে ক্ষেতের ফসল। সবুজ এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে নদী। রয়েছে অসংখ্য নদী, খাল, বিয়ার। তাই বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয়। এদেশের সাধারণ মানুষ নদীর ধারে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। নদীতে মাছ ধরে হাজার হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। বনের পাহাড়ে অনেক প্রাণী বাস করে। গাছে রঙিন পাখি উড়ে বেড়ায়। তাদের ডাকে মনটা আনন্দে ভরে যায়।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

এছাড়াও এই কৃষিপ্রধান দেশের অধিকাংশ মানুষই কৃষির সাথে জড়িত। প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজে নিয়োজিত। তবে প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে প্রযুক্তির অনেক উন্নতি হয়েছে। ফলে কৃষিসহ অন্য সব শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। অন্যান্য সমস্ত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটেছে।

নগর বন্দরে নিয়মিত স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামের জলবায়ু শহরের চেয়েও মনোমুগ্ধকর। যে কেউ শহরে গেলে প্রকৃতির শীতল হাওয়ায় মুগ্ধ হতে পারেন। প্রতিটি শহর সুন্দর অক্ষর দিয়ে সজ্জিত করা হয়. বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম অনন্য বন্যপ্রাণী সমৃদ্ধ বলে মনে হয়। গ্রামের পরিবেশ বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রূপে সঞ্চিত থাকে। গাছপালা সহ পরিবেশের অন্যান্য উপাদান বিভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন হয়।

বাংলাদেশের রাজধানী

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা একটি বিশাল শহর। দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ এসেছেন রাজধানী ঢাকায়। সারাদেশের লোকজন ঢাকা শহরের বিভিন্ন অফিস-আদালতে কাজ করে। ঢাকা শহরে অন্যান্য পেশার পাশাপাশি সারাদেশের মানুষের বসবাস। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি শহরেই উঁচু ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির ছোঁয়ায় শহরে অনেক পরিবর্তন ঘটছে। দেশে অনেক বড় শহর আছে। এই শহরের সবচেয়ে উঁচু ভবনগুলো ইট-বালি, রড-সিমেন্ট, পাথর ও কাঠ দিয়ে তৈরি।

See also  লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

শহরের রাস্তাগুলো প্রশস্ত। বাস, ট্রাক, রিকশা, অটোরিকশা, সাইকেল এবং অন্যান্য যানবাহন পাকা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। যান চলাচলের জন্য প্রশস্ত রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এরপরও ঢাকা শহরে নিয়মিত যানজট লেগেই থাকে। ঢাকা শহর তার যানজটের জন্য পরিচিত। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে যানজট অনেকটাই কমেছে। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে ৪ লেনে। যেসব এলাকায় চার লেন নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে এখন যানজট বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানীতে পৌঁছানোর যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।

ঢাকা শহরের প্রকৃতি

ঢাকা শহরে যাওয়ার জন্য অন্যান্য শহর থেকে বাস, ট্রেন এবং প্লেন পাওয়া যায়। ফুটপাতে হাঁটছেন পথচারীরা। পথচারীরা যাতে নিরাপদে সড়কে চলাচল করতে পারে সেজন্য ফুটপাত পাকা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ফুট ওভারব্রিজও ব্যবহার করা হয়। রাস্তা পারাপারে নিরাপত্তার জন্য ফুট ক্রস ব্রিজ ব্যবহার করা উচিত। কারণ ঢাকা শহরের যেকোনো সড়কেই যানজট বেশি। তাই সরাসরি যেকোনো রাস্তা পার হওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। নানা কাজে ব্যস্ত নগরবাসী। কেউ অফিসিয়াল কোর্টে কাজ করে, কেউ ব্যবসা করে। শ্রমিকরা কল-কারখানায় কাজ করে। জীবিকার সন্ধানে সর্বস্তরের মানুষ ছুটে আসে শহরে।

ঢাকা শহরের লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। ঢাকা শহরের প্রায় সব পেশার মানুষ, কৃষি থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য। অনেক গ্রামবাসী একাধিক কৃষি পণ্য শহরে নিয়ে আসে এবং বিক্রি করে। কারণ ঢাকা শহরে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। গ্রামাঞ্চলে কৃষিপণ্যের দাম কম। তাই অনেক কৃষক তাদের কৃষি পণ্য বিক্রি করতে বিভিন্ন শহরে আসেন।

See also  সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 2022

আকর্ষণীয় স্থান

দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য শহরে পার্ক ও উদ্যান রয়েছে। শহরবাসী তাদের অবসর সময়ে গাছপালা এবং ফুল দিয়ে সজ্জিত পার্কে বেড়াতে যায়। অবসর সময়ের জন্য দেশজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন পার্ক। ছুটির দিনেও বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় ভিড় থাকে। সাধারণ মানুষ তাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করতে যাতায়াত করে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানুষ এসব স্থানে বেড়াতে আসেন অন্যান্য আগ্রহের জায়গাগুলোতে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত অন্যতম জনপ্রিয়।

সারা বিশ্বের মানুষ সমুদ্র সৈকত দেখতে আসেন। এছাড়াও দেশ-বিদেশের বহু মানুষ সিলেটের চা বাগানে বেড়াতে আসেন। সিলেট শহর চায়ের জন্য খুবই বিখ্যাত। সারা বাংলাদেশের চা সিলেট শহর থেকে সরবরাহ করা হয়। সুন্দরবন বাংলাদেশের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। সুন্দরবন অনেক প্রাণীর আবাসস্থল। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানুষ সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।

বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা

কেউ সময় কাটাতে চিড়িয়াখানায় যায়। চিড়িয়াখানায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রাণী রয়েছে। চিড়িয়াখানা এখন দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ফুটে উঠেছে। তবে ঢাকার মিরপুরে সবচেয়ে বড় সরকারি চিড়িয়াখানা। নামমাত্র টিকেট নিয়ে চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করতে। বিশাল এলাকাজুড়ে মিরপুর চিড়িয়াখানার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এই চিড়িয়াখানার অবস্থান জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন গাছপালা ও পাখি।

নদীর সৌন্দর্য

এই ছায়াময় গ্রামের উপর দিয়ে নদী বয়ে গেছে। নদীর তীরে কতটি গ্রাম গড়ে উঠেছে? এসব গ্রামে মানুষ বাড়িঘর, গ্রাম, বাজার গড়ে তুলেছে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় গ্রামের মানুষ এখন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গ্রামে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বাজার। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে এখন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে শহর ও গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ দ্রুত হবে। প্রায় প্রতিটি গ্রাম থেকে শহুরে এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত হয়েছে।

See also  পদ্মা সেতু ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ রচনা

গ্রামের সৌন্দর্য

আম, জাম, কাঁঠাল, বাঁশের বনের ঘন ছায়ায় ঘেরা গ্রামের সৌন্দর্য। বাংলাদেশের এসব গ্রামের বাড়িগুলো শহরের ভবনের মতো ইট-বালি-সিমেন্ট ও পাথরের তৈরি নয়। এখানে বাশ ও কাঠের তৈরি ঘর। চাল, খড়, গাল পাতা এবং সাহায্যের পাতা দিয়ে ছায়া দেওয়া হয়। এগুলো বাঁশের মাদুর, পাটের লাঠি বা মাটি দিয়ে তৈরি। তারা বেড়া এবং দেয়াল ঘিরে আছে. এখানকার কুঁড়েঘরগুলো খড় ও ছায়াময় কুঁড়েঘর দিয়ে তৈরি।

তারা সুদৃশ্য চেহারা. তারা বাঁশের চাটাই, বেত এবং ঠাণ্ডা দিয়ে দেয়াল এবং ধানের ভেতরের অংশ সাজাচ্ছে। প্রায় সব বাড়িতেই রান্নাঘর আছে। গ্রামে বাড়িও টিনের তৈরি। গ্রামে ইটের মেঝে, দেয়াল, টিনের ছাদের ঘরও তৈরি হচ্ছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে গ্রামীণ এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান। গ্রামবাসীদের কাজের চাহিদার ভিত্তিতে একাধিক শিল্প স্থাপন করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে গ্রামীণ এলাকাগুলো এখন শহরের মতো হয়ে যাচ্ছে।

গ্রামের পেশা

আমাদের দেশের বেশিরভাগ এলাকা সবুজ গ্রাম এবং দিগন্ত ফসলের ক্ষেতে আচ্ছাদিত। পশুপালকরা মাঠে গরু চরায়। অলস দুপুরে কবুতর ডাকলে কখনো বটের ছায়ায় গামছা পেতে ঘুমায়, দলবেঁধে কথা বলে, কখনো আবার বাঁশি বাজায়। প্রতিটি গ্রামেই রয়েছে সুন্দর পরিবেশ। গ্রামের পরিবেশে প্রকৃতির মৃদু হাওয়ায় সময় কাটাতে পারেন। এদেশের কৃষকের মন দেশের নরম মাটির মতোই কোমল। তারা খুবই পরিশ্রমী। কৃষকরা কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে মাঠে যায়। বৃষ্টিতে ফসল পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে যায়। পাকা ধানের ডেনালি রঙ দেখে কৃষকের হাসি।

উপসংহার

বন্ধুরা আজকে আমরা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক অনেক সৌন্দর্য নিয়ে জেনেছি। এই দেশটি খুবই সুন্দর একটি দেশ। এ দেশের মানুষগুলিও খুবই সাধারন প্রকৃতির।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button