বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২
অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
যতােই চাও না কেন আমার কণ্ঠ তুমি থামাতে পারবে না, যতােই করবে রুদ্ধ ততােই দেখবে আমি ধ্বনি প্রতিধ্বনিময়। আমার কণ্ঠকে কেউ কোনােদিন থামাতে পারেনি যেমন পারেনি কেউ কোনােকালে ঠেকাতে অরুণােদয়, চাও বা না চাও নৈঃশব্দ্যেও যদি কান পাতাে শুনবে আমারই কণ্ঠস্বর ।
ক. ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
খ. ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি নিয়ম-কানুন মানতে চান না কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সঙ্গে উদ্দীপকের মিলের দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক ও বিদ্রোহী কবিতার মূলভাব একসূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর ।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়।
খ উত্তরঃ শােষকের অন্যায়-অনাচার অবসানকল্পে তার চলার পথের সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ‘বিদ্রোহী কবিতায় কবি নিয়ম-কানুন মানতে চান না।
‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি নিজের শক্তির বহুমাত্রিকতাকে বিভিন্ন অনুষঙ্গে তুলে ধরেছেন। সেগুলাে দিয়ে তিনি মানব সমাজে চলমান সমস্ত অনিয়ম, উচ্ছঙ্খলতা দূর করতে চেয়েছেন। যারা মানুষের অধিকার হরণ করে এবং মানুষকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞিত করে তারা মানষের শত্র।
সেই শত্রদের তৈরি নিয়ম-কানন কবি মানতে চান না। তিনি শােষকের তৈরি সমস্ত নিয়ম ভেঙে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান। এ কারণেই তিনি প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে শােষকের জারি করা বিধিবিধানের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন। আর তাই তিনি নিয়ম-কানুন মানতে চান না।
সারকথা : কবি অন্যায়ের অবসান করতে চান বলে অন্যায়কারীদের তৈরি কোনাে নিয়ম-কানুন মানতে চান না।
গ উত্তরঃ ‘বিদ্রোহী’ কবিতার চেতনার সঙ্গে উদ্দীপকের চেতনাগত দিকটির মিল রয়েছে।
মানুষকে দীর্ঘদিন তার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা যায় না। কারণ তারা যথাসময়ে বিদ্রোহ ঘােষণা করে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করে। প্রতিরােধ গড়ে তুলতে সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে। কারণ শােষণ-পীড়ন করে মানুষকে, খুব বেশি দিন দমিয়ে রাখা যায় না।
উদ্দীপকের কবিতাংশে সংগ্রামী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। এখানে শত্রুরা যতই কবির কণ্ঠরােধ করার চেষ্টা করুক না কেন, শেষ পর্যন্ত তারা সফল হবে না। কারণ কবির জাতিগত ঐক্যের ধ্বনি ‘আমি’ প্রতিধ্বনিময় হয়ে বিস্তার লাভ করবে। তখন তারা কিছুতেই ঠেকাতে পারবে না। যেমন ঠেকানাে যায় না প্রকৃতির নিয়মে ওঠা অরুণােদয়কে।
মানুষের ঐক্যবদ্ধ বৈপ্লবিক চেতনার কাছে অশুভ শক্তি কোনােভাবেই টিকে থাকতে পারবে না। উদ্দীপকের এই চেতনাটি ‘বিদ্রোহী কবিতার বিদ্রোহী চেতনার সঙ্গে। সাদৃশ্যপূর্ণ। বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি ঔপনিবেশিক রাজশক্তির সমস্ত অন্যায়-অবিচারের বিরােধিতা করেছেন। এই বিদ্রোহের শক্তি তার একার শক্তি নয়, সমস্ত নির্যাতিত মানুষের ঐক্যশক্তি। এভাবে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার চেতনার সঙ্গে উদ্দীপকের মিল রয়েছে।
সারকথা : উদ্দীপকের সংগ্রামী চেতনা ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কবির বিপ্লবী চেতনাকে নির্দেশ করেছে। উভয় ক্ষেত্রে মানুষের ন্যায্য অধিকারের জন্য প্রতিবাদী দৃষ্টিভঙ্গির অভিন্ন প্রতিফলন ঘটেছে।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপক ও ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাব একসূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটি যথার্থ।
বীরের ধর্ম হচ্ছে বীরত্ব নিয়ে যুদ্ধ করে দেশ ও দেশের মানুষকে অশুভ শক্তির কবল থেকে মুক্ত করা। আর এ লক্ষ্যেই জাতির। আত্মজাগরণ ঘটে। বীর তার উচ্চাসন মূল্য মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আত্মবিশ্বাসী। উদ্দীপকে আত্মমর্যাদা ও ন্যায্য অধিকারের জন্য ঐক্যবদ্ধ মানুষের প্রতিবাদের কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবাদী চেতনার বিস্তার ঠেকানাে কোনাে শক্তির পক্ষেই সম্ভব নয়। কারণ বিদ্রোহী চেতনাদীপ্ত মানুষের জাগরণ অরুণােদয়ের মতােই সত্য। এই সংগ্রামী চেতনার দিকটি ‘বিদ্রোহী কবিতায় প্রতিফলিত চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কবি ‘আমি’ শব্দটি ব্যবহার করে শক্তিমত্তার যে পরিচয় প্রকাশ করেছেন তা সমগ্র জাতির ঐক্যবদ্ধ জাগরণের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে।
‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি আত্মজাগরণ ঘটিয়ে নির্যাতিতদের নিয়ে ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেয়েছেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত উৎপীড়িতের ক্রন্দন ধ্বনি বন্ধ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি তাঁর বিদ্রোহ-প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন। তাঁর সেই সাহসী সংগ্রামী | চেতনাকে কেউ স্নান করতে পারবে না। উদ্দীপকের কবিতাংশের মূল বক্তব্যও তাই। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : বিদ্রোহী কবিতায় কবি সত্য ও কল্যাণের জন্য অসত্য ও অকল্যাণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। উদ্দীপকের মূলভাবেও তার প্রতিফলন ঘটেছে।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
বেজে উঠল কি সময়ের ঘড়ি?
এসাে তবে আজ বিদ্রোহ করি,
আমরা সবাই যে যার প্রহরী।
উঠুক ডাক।
উঠুক তুফান মাটিতে পাহাড়ে
জ্বলুক আগুন গরিবের হাড়ে
কোটি করাঘাত পৌছােক দ্বারে
ভীরুরা থাক।
মানবাে না বাধা, মানবাে না ক্ষতি,
চোখে যুদ্ধের দৃঢ় সম্মতি
রুখবে কে আর এ অগ্রগতি
সাধ্য কার?
রুটি দেবে নাকো? দেবে না অন্ন?
এ লড়াইয়ে তুমি নও প্রসন্ন?
চোখ-রাঙানিকে করি না গণ্য |
ধারি না ধার।
ক. ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবির ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের কততম কবিতা?
খ. ‘আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী’– কথাটি কবি কেন বলেছেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিদ্রোহী কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “চেতনাগত মিল থাকলেও উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবির ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় কবিতা ।।
খ উত্তরঃ কবি নিজের শক্তিমত্তার পরিচয় দিতে গিয়ে আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী’ কথাটি বলেছেন। ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি অন্যায়, অকল্যাণ দূর করে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য শােষকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। এ কবিতায় তিনি ‘আমি’ শব্দটি বারবার ব্যবহার করে এর সঙ্গে বিভিন্ন পৌরাণিক চরিত্রের তুলনা করেছেন।
অন্য সব চরিত্রের মতােই কবি অর্ফিয়াসের উল্লেখ করেছেন। অর্ফিয়াস ছিলেন গ্রিক পুরাণের দেবতা অ্যাপােলাে ও মিউজ ক্যাল্লোপির পুত্র মহান কবি ও শিল্পী। তিনি যন্ত্রসংগীতে পারদর্শী ছিলেন। তিনি যন্ত্রসংগীতে সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতেন। কবি তার মধ্যে সেই শক্তিমত্তা ও চেতনা অনুভব করেন। আর এ কারণেই তিনি নিজেকে অর্ফিয়াসের বাঁশরীর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
সারকথা : প্রশ্নোক্ত কথাটির মাধ্যমে কবি গ্রিক পুরাণের গানের দেবতার কৃতিত্ব চেতনার সঙ্গে নিজের শক্তিমত্তার তুলনা করেছেন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার বিদ্রোহী চেতনার দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। নিরীহ হলেও বাঙালি জাতি অন্যায়ের কাছে কখনাে মাথা নত করেনি। যুগে যুগে তারা শাসক-শােষকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। ন্যায্য অধিকারের দাবিতে শত্রুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে।
উদ্দীপকে অন্যায়ের অবসানকল্পে এবং ন্যায্য অধিকারের দাবিতে বিদ্রোহের আহ্বান করা হয়েছে। উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি বলেছেন যে সময়ের ঘড়ি বেজে উঠেছে, এখন প্রত্যেকেই প্রত্যেকের প্রহরী। তাই ভীরুদের রেখে সাহসীদের সামনে এগিয়ে যেতে বলেছেন আপন শক্তিমত্তা নিয়ে।
বেঁচে থাকার অন্নের দাবিতে, শােষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে উদ্দীপকের এই চেতনা ‘বিদ্রোহী কবিতায় প্রতিফলিত কবির সংগ্রামী চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ কবিতায় সগর্বে কবি নিজের বিদ্রোহী কবিসত্তার প্রকাশ ঘটিয়ে ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষের শাসকদের শাসন ক্ষমতার ভিত কাঁপিয়ে দেন। বিদ্রোহী’ কবি উৎকণ্ঠ ঘােষণায় জানিয়ে দেন যে, উৎপীড়িত জনতার ক্রন্দন-রােল যত দিন পর্যন্ত প্রশমিত না হবে তত দিন এই বিদ্রোহী কবিসত্তা শান্ত হবে না। বিদ্রোহী কবিতার আত্মজাগরণের এ চেতনাই প্রতিফলিত হয়েছে আলােচ্য উদ্দীপকে।।
সারকথা : ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় আত্মজাগরণে উন্মুখ কবির মদমত্ত আত্মপ্রকাশ ঘােষিত হয়েছে। এ চেতনাই উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।
আপনি এই পোষ্টে বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “চেতনাগত মিল থাকলেও উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।”- মন্তব্যটি যথার্থ। যুগে যুগে বিদেশিরা এদেশের মানুষের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। তাদের সেই অত্যাচার এদেশের মানুষ মেনে না নিয়ে প্রতিবাদ করেছে। শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। যতক্ষণ দেহে প্রাণ থাকবে ততক্ষণ তারা লড়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে।
উদ্দীপকের কবিতাংশের কবি বেঁচে থাকার অন্নের অধিকারের জন্য সাহসীদের সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহ্বান করেছেন। তিনি গরিবদের বিদ্রোহ করতে বলেছেন। এখানে অধিকার আদায়ের যে সংগ্রামী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে তার সঙ্গে ‘বিদ্রোহী কবিতার সংগ্রামী চেতনার মিল রয়েছে। এই মিলের দিকটি ছাড়াও এ কবিতায় আত্মশক্তি, সাহস ও চেতনার আরও অনেক দিক। রয়েছে, যা উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি।
‘বিদ্রোহী কবিতায় কবি অসত্য, অকল্যাণ ও অমঙ্গলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। তিনি আত্মজাগরণ ঘটিয়ে নির্যাতিতদের নিয়ে ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেয়েছেন। এ কারণে ‘বিদ্রোহী কবিতায় তাঁর ‘আমি’ ব্যক্তি ‘আমি’ নয়; তা জাতিগত চেতনার প্রতীক ‘আমি’ । উদ্দীপকে কবির এ চেতনাটি যথাযথভাবে প্রকাশ পায়নি। এসব দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : ‘বিদ্রোহী কবিতার সঙ্গে উদ্দীপকের চেতনাগত মিল রয়েছে। তবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রােল না থামা পর্যন্ত বিদ্রোহ অব্যাহত রাখার যে প্রতিজ্ঞা কবি করেছেন, তার সঙ্গে মিল নেই। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ ।
আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।