অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২
অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
তিনিই বাড়ির কর্তা। তিনশত লােক থাকিলেও আমার দৃষ্টি বােধ হয় প্রথমেই তাঁহার মুখের প্রতি পড়িত। সেরূপ প্রসন্নতাব্যঞ্জক ওষ্ঠ আমি অতি অল্পই দেখিয়াছি। তখন তাঁহার বয়ঃক্রম বােধ হয় পঞ্চাশ অতীত হইয়াছিল, বৃদ্ধের তালিকায় তাহার নাম উঠিয়াছিল, তথাপি তাঁহাকে বড় সুন্দর দেখিয়াছিলাম।
ক. ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপম কোনােকালেই কিসের আশা করে না?
খ. সে যে আমার চিরজীবনের গানের ধুয়া হইয়া রহিল।’- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের ব্যক্তির শারীরিক সুষমা এবং ‘অপরিচিতা গল্পের শম্ভুনাথ সেনের শারীরিক বৈশিষ্ট্য একসূত্রে গাঁথা।” – মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপম কোনাে কালেই বিবাহের আশা করে না।
খ উত্তরঃ সে যে আমার চিরজীবনের গানের ধুয়া হইয়া রহিল।’- এ কথাটি অনুপম বলেছে অপরিচিত কণ্ঠের মধুর সুর শুনে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে। ‘অপরিচিতা’ গল্পে মামার হীন মানসিকতা এবং অনুপমের ব্যক্তিত্বহীনতার কারণে কল্যাণীর সঙ্গে তার বিয়ে ভেঙে যায়।
সেই ঘটনার অনেক দিন পর অনুপম মাকে নিয়ে তীর্থে যাওয়ার সময় তাদের ট্রেনের কামরায় দুই-তিনটি ছােট ছােট মেয়েকে নিয়ে ষােলাে-সতেরাে বছরের একটি মেয়ে ওঠে। ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার সময় অনুপমের মা মেয়েটির নাম জিজ্ঞাসা করেন ।
মেয়েটি যখন তার নাম কল্যাণী বলে তখন মা-ছেলে দুজনই চমকে ওঠেন। তার কথাগুলাে অনুপমের মনে আলােড়ন সৃষ্টি করে। পিতার আদর্শে গড়া কল্যাণীর বিয়ে না করার কারণ জানতে পেরে অনুপম কষ্ট পায়। কিন্তু রাতের অন্ধকারের মধ্যে ট্রেনে জায়গা আছে বলে যে সুর অনুপমের কানে এসেছিল তা সে কখনই ভুলতে পারে না। এই গভীর অনুভূতি প্রকাশ করতেই অনুপম প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছে।
সারকথা : পরিচয় পাওয়ার পর কল্যাণীর প্রতি অনুপম গভীর অনুরাগ প্রকাশ করতে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি অপরিচিতা’ গল্পের শম্ভুনাথ সেনের বৈশিষ্ট্যের দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের বাহ্যিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বেশকিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। মানুষের পরিপূর্ণ বিকাশ তার ব্যক্তিত্বে ধরা পড়ে। ফলে শারীরিক কাঠামাের সঙ্গে ব্যক্তির চারিত্রিক সৌন্দর্যের অনুপম দিকটি বাঙ্ময় হয়ে ওঠে।
উদ্দীপকে এক ব্যক্তির বাহ্যিক বর্ণনায় তাঁর ব্যক্তিত্বের বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে। এখানে তাঁর বাহ্যিক গড়ন ও ব্যক্তিত্ব কয়েকশ লােকের মধ্যেও আলাদা করে চেনার উপযােগী। তাঁর এই ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্য ‘অপরিচিতা’ গল্পের শম্ভুনাথ সেনের দৃঢ় ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যের দিকটিকে নির্দেশ করে।
গল্পের বর্ণনা অনুসারে শম্ভুনাথ বাবুর বয়স চল্লিশের কিছু এপারে বা ওপারে । তাঁর চুল কাচা, গোঁফে পাক ধরতে আরম্ভ করেছে। ভিড়ের মধ্যে দেখলে সবার আগে তার ওপরে চোখ পড়ার মতাে চেহারা। উদ্দীপকের ব্যক্তির বয়স পাশের বেশি হলেও প্রসন্নতাব্যঞ্জক ঠোট, সুন্দর চেহারা সবার দৃষ্টি কাড়ে। এভাবে উদ্দীপকের ব্যক্তি ‘অপরিচিতা’ গল্পের শম্ভুনাথ সেনের বৈশিষ্ট্য ইঙ্গিত করে।
সারকথা : উদ্দীপকের ব্যক্তি বয়স, শারীরিক গড়ন ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এ দিকটি অপরিচিতা গল্পের শম্ভুনাথ বাবুর বয়স, শারীরিক গড়ন ও ব্যক্তিত্বকে নির্দেশ করেছে।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের ব্যক্তির শারীরিক সুষমা এবং ‘অপরিচিতা’ গল্পের শম্ভুনাথ সেনের শারীরিক বৈশিষ্ট্য একসূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটি যথার্থ।
ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায় তার কথায়, কাজে এবং সামগ্রিক আচরণে। ব্যক্তিত্ববান মানুষ কখনাে অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেন না। মানুষের চারিত্রিক দৃঢ়তা তার বাহ্যিক অবয়বেও প্রকাশ পায়।
উদ্দীপকের ব্যক্তির আকর্ষণীয় বর্ণনার সঙ্গে ‘অপরিচিতা’ গল্পের শম্ভুনাথ সেনের আকর্ষণীয় শারীরিক বৈশিষ্ট্যের মিল রয়েছে।
উদ্দীপকে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, বাড়ির কর্তাকে তিনশত লােকের মধ্যে আকর্ষণীয় চেহারার জন্য আলাদা করে চেনা যায়। কারণ তাঁর পঞ্চাশাের্ধ্ব বয়সের প্রসন্নতাব্যঞ্জক ওষ্ঠ ও অবয়ব সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাঁর এই আকর্ষণীয় শারীরিক বৈশিষ্ট্যের যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তা অপরিচিতা গল্পের শম্ভুনাথ সেনের শারীরিক বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে। তিনি বিয়ের
আসরে বরের মামার আচরণে ব্যথিত হয়েও বরযাত্রীদের যথার্থ আপ্যায়ন শেষে বিয়ে না দিয়ে বিদায় করেছেন। • ‘অপরিচিতা’ গল্পে শম্ভুনাথ সেনের চারিত্রিক দৃঢ়তা তার দেহসৌষ্ঠবকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। উদ্দীপকের ব্যক্তির ব্যক্তিত্বও তাঁর বয়সকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল, যা উদ্দীপকের বর্ণনাকারীর ভালাে লেগেছিল। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যক্তির আকর্ষণীয় শারীরিক সুষমা ‘অপরিচিতা’ গল্পের শম্ভুনাথ সেনের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। উভয়েই আকর্ষণীয় যা ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
স্বল্প সংখ্যক সুনির্বাচিত ঘটনার সাহায্যে ইঙ্গিতপূর্ণ পরিণতি লাভই ছােটগল্পের উদ্দেশ্য। নাটকীয় আকর্ষণীয়তা থাকবে ছােটগল্পে, একটি উৎকণ্ঠা ও চরম মুহূর্ত উপস্থিত হবে অনিবার্য হয়ে।
ক. অপরিচিতা’ গল্পে ওকালতি করে প্রচুর অর্থ রােজগার করেছিলেন কে?
খ. ‘বিবাহ হইল না অথচ আমাদের ফাঁকি দিয়া খাওয়াইয়া দিল।’- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি অপরিচিতা’ গল্পের কোন অংশের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ছােটগল্পের যেসব বৈশিষ্ট্য নির্দেশিত হয়েছে তা কি ‘অপরিচিতা’ গল্পের বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে? তােমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ‘অপরিচিতা’ গল্পে ওকালতি করে প্রচুর অর্থ রােজগার করেছিলেন অনুপমের পিতা।
খ উত্তরঃ বিয়ে ভেঙে দিলেও শম্ভুনাথ সেন কৌশলে বরযাত্রীদের খাবার খাইয়ে দেন। বাড়ি ফিরে বরযাত্রীরা তাই আলােচ্য উক্তিটি করে।
অনুপমের বিয়ের দিনে তার মামা কল্যাণীর শরীর থেকে সমস্ত গহনা খুলিয়ে সেকরাকে দিয়ে পরীক্ষা করান। শম্ভুনাথ বাবুর কাছে বিষয়টি অত্যন্ত অমর্যাদার মনে হয়। তাই তিনি কৌশলে পাত্রপক্ষকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে তাদের চলে যেতে বলেন।
পাত্রের মামা বলেন, শম্ভুনাথ সেন তাদের সঙ্গে ঠাট্টা করছেন কিনা। তখন তিনি ঠাট্টার সম্পর্কটাকে আর স্থায়ী না করার ইচ্ছার কথা তাকে জানিয়ে দেন। তাতে মেয়ের পিতার কোনাে চিন্তা বা ইচ্ছার পরিবর্তন না দেখে অবশেষে বরযাত্রীরা ফিরে যায়। বাড়ি ফিরে তারা ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেদের কপাল চাপড়ে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে।
সারকথা : অনুপমের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর বরযাত্রীরা বাড়ি ফিরে এসে উল্লিখিত উক্তিটি করে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি অপরিচিতা’ গল্পের শুরু এবং শেষ অংশের নাটকীয়তার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ছােটগল্প বাংলা সাহিত্যের অন্যতম একটি ধারা। এটি বয়সে নবীন এবং অত্যন্ত জনপ্রিয়। এতে উপন্যাসের মতাে পূর্ণাঙ্গ আখ্যান থাকে না। পাশ্চাত্য সাহিত্যের প্রভাবে বাংলা সাহিত্যে এ ধারার সূচনা হয়েছে।
উদ্দীপকে ছােটগল্পের কয়েকটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে। এখানে ছােটগল্পের শুরুতে চমক এবং সমাপ্তিতে অতৃপ্তি বিরাজ করার কথা বলা হয়েছে। এ দিকটি অপরিচিতা’ ছােটগল্পে প্রতিফলিত হয়েছে। এ গল্পের শুরুতেই কথক বলেছেন ওই দিন তার বয়স সাতাশ মাত্র এবং পরক্ষণেই বলেছেন তার এ ক্ষুদ্র জীবনের একটু বিশেষ মূল্য আছে।
এভাবে গল্পের শুরুতেই একধরনের চমক লক্ষ করা যায়। এ গল্পের সমাপ্তিতেও চরম নাটকীয়তা বিদ্যমান। বিয়ে না হলেও কল্যাণীর প্রতি অনুপমের গভীর অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে। তার ভাষ্যে নারীর প্রশস্তি কীর্তিত হয়েছে। তিনি বলেছেন দেখা হয়, সেই কণ্ঠ শুনি, যখন সুবিধা পাই কিছু তার কাজ করিয়া দিই আর মন বলে, এই তাে জায়গা পাইয়াছি। ওগাে অপরিচিতা, তােমার পরিচয়ের শেষ হইল না, শেষ হইবে না; এভাবে গল্পের সমাপ্তিতে নাটকীয়তা প্রকাশ পেয়েছে, যা উদ্দীপকেও প্রতিফলিত।
সারকথা : উদ্দীপকে ছােটগল্পের শুরু ও শেষে যে নাটকীয়তার কথা বলা হয়েছে তা অপরিচিতা গল্পের শুরুতে অনুপমের সাতাশ বছরের তা জীবনের গুরুত্ব এবং কল্যাণীকে না পেয়েও অনুভব করার নাটকীয়তার সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা।
আপনি এই পোষ্টে অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ হা, উদ্দীপকে ছােটগল্পের যেসব বৈশিষ্ট্য নির্দেশিত হয়েছে তা ‘অপরিচিতা গল্পের বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে। এর সপক্ষে আমার যুক্তিগুলাে নিচে উপস্থাপন করছি।
সাহিত্যে মানুষের সমাজ ও জীবনের প্রতিফলন ঘটে। বাংলা সাহিত্যের নতুন ধারা ছােটগল্পেও তার প্রতিফলন লক্ষ করা যায় । উদ্দীপকে বাংলা ছােটগল্পের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। এই ধারাগুলাে ‘অপরিচিতা ছােটগল্পে প্রতিফলিত হয়েছে।
উদ্দীপকে ছােটগল্পের শুরুতে যে চমকের কথা বলা হয়েছে তা অপরিচিতা’ গল্পের শুরুতে লক্ষ করা গেছে। উদ্দীপকে ছােটগল্পের বিশেষ বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ ছােটগল্পের সমাপ্তিত্বে যে নাটকীয়তার কথা বলা হয়েছে তা এ গল্পের শেষে প্রকাশ পেয়েছে।
এ গল্পেও স্বল্পসংখ্যক ঘটনা যেমন- পাত্রের পরিচয়, স্বভাব-বৈশিষ্ট্য, তার নির্ভরতা, বন্ধুদের স্বভাব-বৈশিষ্ট্য, তার শিক্ষা ও শিক্ষকদের উক্তি, পাত্রের মামার স্বভাব-বৈশিষ্ট্য, লােভী মানসিকতা, সেকরা দিয়ে গহনা পরীক্ষা, বিয়েবাড়িতে ভাঙচুর, মেয়ের বাবা শম্ভুনাথ সেনের স্বভাব-বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব, আত্মমর্যাদা বােধ, গল্পের নায়িকার সঙ্গে নায়কের পরিচয় ইত্যাদি প্রকাশ পেয়েছে।
‘অপরিচিতা’ গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আকর্ষণীয়তা, উৎকণ্ঠা ও নাটকীয়তা লক্ষ করা যায়, যা উদ্দীপকে বর্ণিত ছােটগল্পের বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছােটগল্পের ঘটনাপ্রবাহ, ব্যাপ্তি উদ্দীপকের বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ। তাই বলা যায়, ‘অপরিচিতা’ গল্পটি উদ্দীপকে নির্দেশিত ছােটগল্পের বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
সারকথা : ছােটগল্পের যেসব বৈশিষ্ট্যের কথা উদ্দীপকে তুলে ধরা হয়েছে তা অপরিচিতা’ গল্পে অভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।