ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
আপনি যদি ইতিমধ্যে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
Article Intro
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
সালাম, রফিক, শফিক, জব্বার এমন কিছু নামের জ্যোতিতে সূর্য ম্লান হয়ে যায়। বাঙলা বর্ণমালায় একুশে ফেব্রুয়ারি আমার কবিতার প্রতি পঙক্তি সেই জ্যোতিতে ঝলসে ওঠে ।
ক. ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় রৌদ্র কিসের প্রতীক?
খ. চতুর্দিকে মানবিক বাগান, কমলবন হচ্ছে তছনছ’- কেন?
গ. উদ্দীপকটিতে ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. এমন কিছু নামের জ্যোতিতে সূর্য ম্লান হয়ে যায়’- উদ্দীপকের এই পঙক্তির মাধ্যমে একুশের মূল চেতনাকে ব্যাখ্যা করা যায় ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার আলােকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় রৌদ্র আনন্দের প্রতীক।
খ উত্তরঃ চতুর্দিকে মানবিক বাগান, কমলবন হচ্ছে তছনছ কারণ ঘাতকের অশুভ ছােবল। কবি এখানে মানবিকতা, সুন্দর ও কল্যাণের জগৎ তছনছ হওয়াকে বুঝিয়েছেন। জীবনের প্রাত্যহিকতায় নানা রকম কল্যাণকর ঘটনার পাশাপাশি অপ্রীতিকর বা অশুভ পরিস্থিতির মুখােমুখিও হতে হয়।
আলােচ্য লাইনে কবি বাঙালির সহজ-সরল জীবনে স্বৈরাচারী শাসকগােষ্ঠীর শােষণ, নির্যাতন, নিপীড়নে যে বিরূপ প্রভাব ফেলে সেই বিষয় বর্ণনা করতে চেয়েছেন। ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা অসন্তোষ ১৯৬৯-এ ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। জাতিগত শােষণ ও নিপীড়নে দেশ ও জনগণের জীবনযাত্রার বিধ্বস্ত রূপটি প্রশ্নোক্ত লাইনে প্রকাশিত হয়েছে।
সারকথা : প্রশ্নোক্ত চরণ দ্বারা কবি মানবিকতা, সুন্দর ও কল্যাণের জগৎ তছনছ হওয়াকে বুঝিয়েছেন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটিতে ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার একুশের চেতনার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। | মাতৃভাষা প্রত্যেকের কাছেই অত্যন্ত প্রিয়। এই ভাষা মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। মানুষের চিন্তা-চেতনা, সাধনা ও মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে মাতৃভাষা শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। কারণ মাতৃভাষা মানুষের সহজাত ভাষা।
বাঙালির মাতৃভাষা বাংলা। এই ভাষার মর্যাদার জন্য বাঙালি রক্ত দিয়েছে। উদ্দীপকে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বাঙালি সন্তানদের আত্মদানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেকের শহিদ হওয়ার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাষা আন্দোলনে শহিদদের এই সংগ্রামী চেতনা ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার একুশের চেতনার দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। উদ্দীপকে ভাষাশহিদদের প্রতি যে শ্রদ্ধা ও ভালােবাসার ইঙ্গিত রয়েছে তা ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় প্রতিফলিত শহিদদের প্রতি কবির গভীর শ্রদ্ধা ও ভালােবাসার অনুরূপ। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকে যে চেতনা প্রকাশ পেয়েছে তা ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার একুশের চেতনাকেই নির্দেশ করে।
সারকথা : উদ্দীপকে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে শহিদদের কথা স্মরণের মধ্য দিয়ে যে চেতনার কথা বলা হয়েছে তা ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ তা কবিতায় প্রতিফলিত একুশের চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ এমন কিছু নামের জ্যোতিতে সূর্য ম্লান হয়ে যায়’- উদ্দীপকের এই পঙক্তির মাধ্যমে একুশের মূল চেতনাকে ব্যাখ্যা করা যায়।- মন্তব্যটি যথার্থ ।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগােষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে নানাভাবে শােষণ করতে থাকে। তারা অন্যায়ভাবে এদেশের মানুষের অধিকার হরণ করে। একসময় তারা বাঙালির ভাষার ওপর হস্তক্ষেপ করে। বাঙালি তা মেনে না নিয়ে বুকের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করে।
‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় কবি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। এই বিষয়টির সঙ্গে উদ্দীপকের মূলভাব সাদৃশ্যপূর্ণ। উদ্দীপকে ভাষা আন্দোলনে শহিদের স্মরণ করে তাদের চেতনার জ্যোতিকে সূর্যের জ্যোতি অপেক্ষা উজ্জ্বল এবং তেজোদীপ্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কবির মতে একুশের চেতনায় কবির ভাষা উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে ওঠে। উদ্দীপকের এই চেতনা এবং ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় বর্ণিত একুশের চেতনা একসূত্রে গাঁথা। কারণ আলােচ্য কবিতাটিতে একুশের রক্তঝরা দিনগুলােতে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এদেশের সংগ্রামী মানুষের আত্মাহুতির মহাত্মে প্রগাঢ়তা লাভ করেছে, যা পরবর্তী আন্দোলনগুলােকেও করেছে গতিশীল।
‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতাটিতে বাঙালির সংগ্রামী চেতনা, দেশপ্রেম ও গণজাগরণের আহ্বান ধ্বনিত হয়েছে। এই কবিতায় কবি একুশের চেতনায় এদেশের সাধারণ মানুষের জাগরণ এবং ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলনের সূচনার দিকটি তুলে ধরেছেন। ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ক্রমধারায় ছাত্র অসন্তোষকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলন কীভাবে উনিশশাে উনসত্তরে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় তা এখানে কবি স্মরণ করেছেন।
উদ্দীপকেও একুশের শহিদদের শক্তিকে জ্যোতি হিসেবে বিবেচনার বিষয়টি কবিতায় প্রতিফলিত একুশের তেজোদীপ্ত চেতনাকে নির্দেশ করে। এই দিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : একুশ বাঙালির অর্জনের প্রথম ধাপ। একুশের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালিরা আরও বেশি সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। i একুশের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়েই বাঙালি ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা করে। উদ্দীপক ও ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় সেই চেতনারই অভিন্ন প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
বারবার ফিরে আসে রক্তাপ্লুত শার্ট ময়দানে ফিরে আসে, ব্যাপক নিসর্গে ফিরে আসে। ফিরে আসে থমথমে শহরের প্রকাণ্ড চোয়ালে। হাওয়ায় হাওয়ায় ওড়ে, ঘােরে হাতে হাতে, মিছিলে পতাকা হয় বারবার রক্তাপ্লুত শার্ট। বিষম দামাল দিনগুলি ফিরে আসে বারবার, বারবার কল্লোলিত আমাদের শহর ও গ্রাম।
ক. ঘাতকের আস্তানায় কারা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে?
খ. ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় কবি রক্তবর্ণের কৃষ্ণচূড়া ফুল দ্বারা কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের রক্তাপ্লুত শার্ট ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার কোন চেতনার সঙ্গে তুলনীয়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার সংগ্রামী মানুষের আত্মত্যাগের আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে, পুরাে বিষয় সেখানে অনুপস্থিত।- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ঘাতকের আস্তানায় বাঙালিরা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
খ উত্তরঃ ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় কবি রক্তবর্ণের কৃষ্ণচূড়া ফুল দ্বারা ভাষা আন্দোলনে শহিদদের রক্তের চেতনার প্রতিফলনকে বুঝিয়েছেন।
‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় কবির চেতনায় ভাষাশহিদদের রক্তের বুদ্বুদ কৃষ্ণচূড়ার ফুল হয়ে ফুটেছে শহরের পথে। কবির চেতনাজুড়ে ভাষা শহিদের স্মৃতি বিরাজমান। তাই ১৯৬৯-এ এসেও তিনি সেই স্মৃতি ভুলতে পারেন না। তিনি সেই চেতনায় অনুপ্রাণিত হন। তারা যেমন কোনাে বাধা মানেননি কবিও তেমনই চেতনাদীপ্ত। কবির কাছে ১৯৬৯ সালের কৃষ্ণচূড়ার রং ১৯৫২ সালের কৃষ্ণচূড়ার রং এক। তাই তিনি সেদিনের ভাষা আন্দোলনের চেতনার সঙ্গে বর্তমানকে এক করে দেখেছেন।
সারকথা : একুশের কৃষ্ণচূড়া ফুলের রক্তবর্ণকে কবি ১৯৫২ সালের ভাষাশহিদদের আত্মত্যাগ ও রক্তদানের চেতনার প্রতিফলন মনে করেছেন ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের কবিতাংশের রক্তাপ্লুত শার্ট ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার ১৯৫২ সালের ভাষাশহিদদের চেতনার সঙ্গে তুলনীয়।
বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে ১৯৫২ সালের এদেশের ছাত্র-জনতা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে মিছিল করে। সেই। | মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, বরকত, জব্বার, রফিকসহ আরও অনেকে শহিদ হন। ভাষা আন্দোলনের এ চেতনা পরবর্তী সময়ে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
উদ্দীপকে, উনসত্তরের ছাত্র-জনতার সংগ্রামী চেতনা ও আত্মত্যাগের প্রতিফলন ঘটেছে। এখানে রক্তাপ্লুত শার্টের ময়দানে ফিরে আসার যে কথা বলা হয়েছে তা বায়ান্নর ভাষাশহিদের চেতনার সঙ্গে তুলনীয়। ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের চেতনার কথা বলা হয়েছে। সেই ‘৫২-এর পথ ধরে বাঙালি ‘৬৯-এ এসে আরও বেশি সংগ্রামী চেতনায় প্রদীপ্ত হয়েছে।
ছাত্র অসন্তোষকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলন উনিশশাে উনসত্তরে ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছে। গ্রাম-গঞ্জশহরে সর্বত্র শােষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে। এসব দিকের সমন্বয়ে উদ্দীপকের সংগ্রামী চেতনার ভাবটি ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার সঙ্গে তাৎপর্যময় হয়ে উঠেছে।
সারকথা : উদ্দীপকে রক্তাপ্লুত শার্টের ফিরে আসার সঙ্গে ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার ভাষা আন্দোলনকারীদের সংগ্রামী চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে বাঙালিদের অংশগ্রহণের সাদৃশ্য রয়েছে।
আপনি এই পোষ্টে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকটি ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার সংগ্রামী মানুষের আত্মাহুতির মাহাত্মের আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে, পুরাে বিষয় সেখানে অনুপস্থিত।- মন্তব্যটি যথার্থ।
বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন বাঙালির মধ্যে যে ঐক্যচেতনার জন্ম দিয়েছিল সেই চেতনাই ১৯৬৯-এ গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১-এ স্বাধীনতা অর্জনের পথ প্রশস্ত করেছে।
উদ্দীপকের কবিতাংশে অধিকার আদায়-সংগ্রামে উনিশশাে উনসত্তরে শহিদ আসাদের প্রতিবাদী চেতনার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এই চেতনা ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলার জন্য এদেশের মানুষ জীবন উৎসর্গ করার চেতনাকে নির্দেশ করে।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শত্রুর কাছে মাথা নত না করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তারা রাজপথে মিছিল করে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করেছে। উদ্দীপকে সেই চেতনা প্রতিফলিত। এখানে রক্তাপ্লুত যে শার্টের কথা বলা হয়েছে তা সংগ্রামী চেতনার প্রতীক।
‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পথে অগ্রসরের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে, যা উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি। এ কবিতায় কবি একুশের রক্তঝরা দিনের কথা স্মরণ করেছেন যা উদ্দীপকে নেই। ভাষার জন্য আত্মত্যাগের বিষয়টিও উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা ; উদ্দীপকে উপস্থাপিত ভাবটি ছাড়া ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় আরও কিছু বিষয় রয়েছে যা উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি। এ দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।