লোডশেডিং নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস (সেরা ১০টি)
বর্তমান সময়ে আমাদের এই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা হলো লোডশেডিং। আর সে কারণেই আমাদের দেশের মানুষরা এখন লোডশেডিং নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, কবিতা এবং কিছু কথা সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকে। আমাদের আর্টিকেল ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাকে জনপ্রিয় লোডশেডিং নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস (সেরা ১০টি) শেয়ার করার চেষ্টা করব।
লোডশেডিং নিয়ে স্ট্যাটাস
যে গুলো বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করে আছে। এবং আমার দীর্ঘ বিশ্বাস আছে যে, এই লোডশেডিং নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস গুলো আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক।
এখন প্রচুর পরিমাণে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে লোডশেডিং হচ্ছে হোক। আমি এই তীব্র গরমের মধ্যেও আরাম খুঁজে নেয়ার মত লোক।
আমি আমার শৈশবকে ফিরে পেয়েছি। যখন আমি খুব ছোট্ট ছিলাম, তখন ঠিক আজকের দিনের মত লোডশেডিং হত। আর যখন লোডশেডিং হতো, তখন আমি হারিকেনের আলোয় বই পড়তাম। সেই হারিকেনের মধ্যে থাকা আগুনের মধ্যে রাতের পোকা গুলোকে পুড়িয়ে দিতাম। নিজের কলম গুলো কে সেই আগুনের মধ্যে পুড়িয়ে দিতাম। আর আজকে আমি সেই শৈশবকে আবার ফিরে পেয়েছি।
আমরা সবাই বলি যে, প্রিয়জনের শূন্যতা আমাদের একেবারেই নিঃশেষ করে দেয়। কিন্তু এই কথার মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ভুল রয়েছে। কারণ আজকের দিনে আমার মনে হচ্ছে যে, কারেন্টের শূন্যতা আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে।
আমাদের জীবনে আসা মনের মানুষ গুলো যখন বেইমানি করে আমাদের জীবন থেকে একেবারেই চলে যায়। তখন যে ব্যথাটা অনুভব হয়। তার থেকে অধিক ব্যথা অনুভব হয় তখন, যখন আমার বাসায় দেখি কারেন্ট আছে। কারণ এই কারেন্ট যে কখন চলে যাবে, সে সম্পর্কে আমরা কেউ ধারণা করতে পারি না।
প্রিয় পাঠক আপনি এই আর্টিকেলে পড়ছেন লোডশেডিং নিয়ে স্ট্যাটাস সম্পর্কে। পাশাপাশি নিম্নোক্ত আর্টিকেল গুলো ও পড়ে নিতে পারেন।
আমার প্রিয় শহরের সেই প্রিয় লোডশেডিং, আমার এই পুরো শহরটা কে করে দিয়েছে একেবারে রঙিন। ক্ষণিকের জন্য আলোয় আলোকিত হয়, আবার ক্ষণিকের জন্য ডুবে যায় অন্ধকারের গভীর সাগরে। আর সে কারণেই এই শহরকে নিয়ে আমার বলার অনেক কিছু আছে। যেন এই শহরটি আলোয় আলোকিত হয়ে বাঁচে।
যখন কারেন্ট ছিল না, তখন আমরা তালপাতার পাখা দিয়ে নিজের শরীরে বাতাস করতাম। কিন্তু এখন কারেন্ট এসেছে। তবে সেই সাথে সাথে আমরা উপহার হিসেবে পেয়েছি লোডশেডিং। যার কারণে এখন যদি এই কারেন্ট চলে যায়। তাহলে সেই তাল পাখার বাতাসের নয় বরং অসহ্য গরমে আমাদের মাথা গুলো ঘুরতে থাকে।
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের মানুষ বিদ্যুৎ যাওয়া নিয়ে ভয় করে। অথচ আমি তাদের থেকে একটু আলাদা। কারণ যখন আমি দেখি যে আমার বাসায় কারেন্ট আছে। এই কারেন্ট আবার যে কখন চলে যায়। সে নিয়ে আমি বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ি।
দেশে কারেন্ট আছে অথচ আমরা রাতের অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ছি। কি ভাগ্য আর কি কপাল চিন্তা করে দেখুন। হয়তোবা ভবিষ্যতে শুধুমাত্র তার আর কারেন্ট এর পোল গুলোই দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু সে গুলোর মধ্যে কোন প্রকার কারেন্ট খুঁজে পাওয়া যাবে না।
যেহেতু এতটুকু পড়ে আসলেন তবে ধরেই নিচ্ছি আপনার কাছে আমাদের এই আর্টিকেল ভালোই লাগছে। অনেকে অনলাইনে লোডশেডিং নিয়ে মজার স্ট্যাটাস ও অনুসন্ধান করে থাকে। তবে এ সম্পর্কিত নিচের দেওয়া আরও একটি আর্টিকেল পড়ে আসতে পারেন।
বর্তমান সময়ের এই লোডশেডিং এর সমস্যা গুলো সেই সব মানুষদের কোন প্রকার ক্ষতি করতে পারেনি। যে মানুষ গুলো সত্যিকার অর্থেই অন্ধকারে থাকতে ভালোবাসে। কারণ আজকের দিনে লোডশেডিং এর পরিমাণ এত পরিমাণে বেড়ে গেছে। যার কারণে রাত হলেই এখন আমাদের অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে।
আমি একটা প্রবাদে দেখেছিলাম, আর সেখানে লেখা ছিল যে, ধর্ষণ যেখানে অনিবার্য সেখানে আনন্দ নিয়েই বুদ্ধিমানের কাজ। ঠিক তেমনি ভাবে এখন লোডশেডিং এর মাত্রা এত পরিমাণে বেড়ে গেছে। যার কারণে আমাদের কষ্ট পাওয়াটা রীতিমত বোকামী। বরং আমাদের উচিত এই লোডশেডিং কে উপভোগ করা।
প্রিয় লোডশেডিং, দেখতে দেখতে তুমি আমার অনেক কাছের একজন হয়ে গেছো। এখন যদি তোমাকে দেখতে না পাই, তাহলে আমি অনেক কষ্ট পাই। কারণ তুমি না আসলে রাত যে অন্ধকার হয় না। তুমি না আসলে মাথার উপরে ঘুরতে থাকা ফ্যান গুলো বন্ধ হয় না। সত্যি আমি তোমাকে অনেক অনেক বেশি মিস করি। তুমি আবার ফিরে এসো লোডশেডিং।
প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান লোডশেডিং নিয়ে স্ট্যাটাস আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এ সম্পর্কিত আপনার অনুভূতি অবশ্যই কমেন্ট বক্সে দিয়ে যাওয়ার শ্রেষ্ঠা করবেন।