তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর pdf সহ
আপনি যদি ইতিমধ্যে তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর pdf সহ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
Article Intro
তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
‘ব্যথা পাও? কবে আমি মরে গেছি আজও মনে কর? দুই হাত চুপে চুপে নাড়ে তাই আমার চোখের ‘পরে, আমার মুখের ‘পরে মৃত মেয়ে; আমিও তাহার মুখে দু’হাত বুলাই; তবু তার মুখ নাই চোখ চুল নাই। তবু তারে চাই আমি তারে শুধু পৃথিবীতে আর কিছু নয় রক্ত মাংস চোখ চুল— আমার সে মেয়ে আমার প্রথম মেয়ে সেই পাখি– শাদা পাখি তারে আমি চাই; সে যেন বুঝিল সব নতুন জীবন তাই পেয়ে হঠাৎ দাঁড়াল কাছে সেই মৃত মেয়ে।
ক. শীতের রিক্ততার সঙ্গে কবি কিসের সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন?
খ. কবি বসন্ত আগমনের খবর রাখেন না কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির কোন অনুভূতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাবটি কি ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার মূল সুর? তােমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী তাহারেই পড়ে মনে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ শীতের রিক্ততার সঙ্গে কবি নিজ জীবনের অনন্ত শূন্যতার সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন।
খ উত্তরঃ প্রিয়জন হারানাের বিরহে কবির মন দুঃখভারাক্রান্ত। তাই প্রকৃতিতে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন ঘটেছে কিনা সেই সন্ধান তিনি রাখেননি। বসন্তের আগমনে বাংলা প্রকৃতি তার অপার সৌন্দর্যে সবকিছু ভরিয়ে তােলে। কবির জীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে। প্রিয়জনের অকাল প্রয়াণে তাঁর কাব্যসাধনার ক্ষেত্রে নেমে আসে বিষন্নতা। তাই প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন ঘটলেও তিনি তার সন্ধান রাখেন না।
সারকথা : কবি তাঁর প্রিয়জনকে হারানাের বেদনায় মুহ্যমান। তাই প্রকৃতিতে বসন্ত এলেও তিনি তার খবর রাখেন না।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার স্মৃতিকাতরতার অনুভূতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। প্রিয়জন হারানাের স্মৃতি মানুষের মনে চির জাগ্রত থাকে। কারণ প্রিয়জন হারানাের বিরহবেদনার হাহাকার থেকে মানুষ নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে পারে না। হৃদয়ের গভীর বেদনাবােধের জন্য মানুষ জীবনের সব আনন্দ থেকে দূরে থাকে।
উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি মৃত মেয়ের স্মৃতিচারণ করেছেন। এখানে হারানাে সন্তানের স্মৃতি স্বপ্নে বিভাের এক পিতার আকুতি প্রকাশ পেয়েছে, যা ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির প্রিয়জন হারানাের স্মৃতিকাতরতার অনুভূতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কবিও তাঁর কাব্য সাধনার অনুপ্রেরণাদাতা প্রিয় স্বামীর মৃত্যুতে শােকাহত। অনেক চেষ্টা করেও কবি স্বামী হারানাের শােকস্মৃতি ভুলতে পারেন না।
উদ্দীপকের পিতাও তাঁর সন্তানের স্মৃতি ভুলতে পারেন না। তাঁর সন্তান সেই কবে মরে গেছে, কিন্তু সন্তানের স্মৃতি তার কাছে আগের মতােই অমলিন । তিনি তার কল্পনায় মেয়ের মুখে দু’হাত বুলান। তাঁর অনুভূতিতে মেয়েটির স্মৃতি জীবন্ত হয়ে ওঠে। উদ্দীপকের কবিতাংশের কবির এই অনুভূতি ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির অনুভূতির অভিন্ন প্রতিফলন।
সারকথা : উদ্দীপকের কবিতাংশে সন্তান হারানাের স্মৃতিচারণ ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির স্বামী হারানাের স্মৃতিকাতরতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট তাহারেই পড়ে মনে সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ হ্যা, উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাবটি ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার মূল সুর।
প্রিয়জনের মৃত্যু মানুষকে দুঃখভারাক্রান্ত করে তােলে। এই বিয়ােগব্যথা তাকে তার চারপাশের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে। তার জীবনে নেমে আসে রিক্ততা, বিষণ্ণতা। তখন কোনাে সৌন্দর্য, কোনাে আনন্দ তার মনকে প্রভাবিত করতে পারে না।
‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবির ব্যক্তিগত শােক ও দুঃখবােধের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। কবির সাহিত্যসাধনার প্রধান সহায়ক তাঁর স্বামী সৈয়দ নেহাল হােসেন। তাঁর মৃত্যুতে কবির জীবনে বিশাল শূন্যতা নেমে আসে। প্রকৃতিতে বসন্ত এলেও কবির অন্তরজুড়ে শীতের রিক্ততা বিরাজ করে। তিনি কোনােমতেই তাঁকে ভুলতে পারেন না। এই মনােবেদনার সঙ্গে উদ্দীপকের সন্তান হারানাে বাবার মনােবেদনার দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
উদ্দীপকে মৃত মেয়ের স্মৃতি তার বাবা কোনােভাবেই ভুলতে পারেন না। সবসময় মেয়ের মুখচ্ছবি তার চোখের সামনে ভাসে। পৃথিবীতে অন্য কিছু নয়, তিনি শুধু তাঁর প্রথম সন্তানকে ফিরে পেতে চান। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবি শীতকে মাঘের সন্ন্যাসীরূপে কল্পনা করে তার সঙ্গে নিজের রিক্ততাকে এক করে দেখেছেন।
উদ্দীপকেও শােকাচ্ছন্ন পিতা তাঁর মেয়েকে কল্পনায় প্রত্যক্ষ করে, তাকে ফিরে পেতে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। এই দিক থেকে তাদের উভয়ের হৃদয়ানুভূতি একসূত্রে গাঁথা। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাবটি ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার মূল সুর ।
সারকথা : উদ্দীপকে মৃত মেয়ের শােকস্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকা এক পিতার মনােবেদনার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর এই বেদনাবােধ তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির মনােবেদনার সঙ্গে এক ও অভিন্ন। এই দিক থেকে উদ্দীপক ও কবিতার মূল সুর একই।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে তাহারেই পড়ে মনে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
প্রিয় মানুষের প্রতি জাতির গভীর ভালােবাসা-এর আলােকে প্রণীত। কাইয়ুম চৌধুরীর অকস্মাৎ মহাপ্রয়াণে সত্যি আমাদের শিল্পাঙ্গনে শােকের ছায়া নেমে এসেছে; কারণ কাইয়ুমবিহীন আমাদের এই শিল্পের ভুবন কল্পনাই করা যায় না। তিনি ছিলেন আমাদের এই ভুবনের সুরুচির বরপুত্র। আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণির রুচিনির্মাণে তিনি ছিলেন কাণ্ডারি। স্বাধীনতা-উত্তর এই দেশের শিল্পের সুলুক সন্ধানে কাইয়ুম চৌধুরী ছিলেন নিরলস অভিযাত্রী। তাঁর শিল্পযাত্রা হয়ে। উঠেছিল বহুমুখী, চিত্রকলার নিজস্ব ঘেরাটোপ পেরিয়ে তিনি স্পর্শ করতে পেরেছিলেন আমজনতার রুচি ও মননকে, অথবা, তিনি এক সহজিয়া শিল্পশৈলী নির্মাণের মধ্য দিয়ে আমজনতার শিল্পবােধের উত্তরণে নির্মাণসৃজনে হয়ে উঠেছিলেন এক অনিন্দ্যকারিগর।
ক. “তরী তার এসেছে কি?” কবি কার তরী আসার কথা বলেছেন?
খ. “কহিল সে পরম হেলায়”- কবির এই হেলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার সঙ্গে কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “মিল থাকলেও উদ্দীপকের মূলভাব এবং তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার মূলভাব এক নয়।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ “তরী তার এসেছে কি?”– এখানে কবি বসন্তের তরি আসার কথা বলেছেন।
খ উত্তরঃ “কহিল সে পরম হেলায়” কবির এই হেলার কারণ প্রিয়জনের বিয়ােগ যন্ত্রণা। প্রকৃতিতে বসন্ত এলেও কবিমন বিরহ যন্ত্রণায় কাতর। তিনি বসন্তকে বন্দনা করেননি। বসন্ত ঋতুর রূপসৌন্দর্য তাঁকে আকৃষ্ট করে না। এই কারণে কবির ভক্তদের মনে অনুযােগ সৃষ্টি হয়। তারা কবিকে বসন্তের বন্দনা করতে বলে। তারা মনে করে, কবি অভিমান করেছেন।
তাদের মতে, প্রকৃতিতে বসন্ত এলেও কবি তাকে বৃথা করেছেন। কবি তখন তাদের পরম অবহেলায় বলেন, তিনি বসন্ত বন্দনা না করলে বসন্ত বৃথা হবে কেন? ফুল তাে ফুটেছে, চারদিকে সুবাস বইছে। ফুলেরা ফুটে বসন্তকে কি অর্ঘ্য নিবেদন করেনি? মূলত বসন্তের প্রতি কবির এই উদাসীনতা ও হেলার কারণ কবির প্রিয়জনকে হারানাের ব্যথা।।
সারকথা : মানুষ যখন প্রিয়জনকে হারায় তখন পৃথিবী তার কাছে বিষাদময় হয়ে ওঠে। পৃথিবীর সবকিছুকে মানুষ তখন অবহেলা করে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার প্রিয়জন হারানাের বেদনা ও শােকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
প্রিয়জন হারানাের বেদনা অত্যন্ত করুণ ও মর্মান্তিক। সুখ-দুঃখের সাথি প্রিয় মানুষকে কখনই ভােলা যায় না। তার স্মৃতি বারবার মনে। পড়ে। জাতীয় জীবনেও অনেক গুণীজন সবাইকে কাঁদিয়ে জাতির কাছ থেকে চির বিদায় নেন। জাতিও তাকে ভুলতে পারে না।
উদ্দীপকে একজন শিল্পীর মহাপ্রয়াণে জাতীয় জীবনে শূন্যতা এবং শিল্পাঙ্গনে শােকের ছায়া নেমে আসার কথা বলা হয়েছে। শ্রেষ্ঠ শিল্পীকে হারিয়ে বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গনও গভীরভাবে বেদনাহত শিল্পের সঙ্গে জড়িত সব মানুষের কাছে কাইয়ুম চৌধুরী ছিলেন একজন আদর্শ। গুণীজনকে হারিয়ে। এদেশের মানুষ তাই গভীরভাবে শােকাহত।
শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর অকস্মাৎ মহাপ্রয়াণে আমাদের শিল্পাঙ্গনে যে শােকের ছায়া নেমে এসেছে তা ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির জীবনে শােকের ছায়া নেমে আসার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কবিও প্রিয় স্বামীকে হারিয়ে গভীরভাবে বেদনাহত। প্রিয়জনকে হারিয়ে কবির ব্যক্তিজীবন ও কাব্যসাধনার ক্ষেত্রে নেমে আসে এক দুঃসহ বিষন্নতা।
কবিমন আচ্ছন্ন হয়ে যায় রিক্ততার হাহাকারে। তাই বেদনা ও শােকাহতের দিক থেকে উদ্দীপকের প্রিয়জন হারানাের বেদনা ও শােক আলােচ্য কবিতার শােকের সঙ্গে পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ।
সারকথা : উদ্দীপকে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর মহাপ্রয়াণের শােক ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির প্রিয়জন হারানাের শােকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। উভয় ক্ষেত্রেই প্রিয়জন হারানাের বেদনা ও অপূরণীয় ক্ষতির দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
আপনি এই পোষ্টে তাহারেই পড়ে মনে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “মিল থাকলেও উদ্দীপকের মূলভাব এবং তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার মূলভাব এক নয়।”- মন্তব্যটি যথার্থ ।
মানুষের জীবন সুখ-দুঃখের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। মানুষ তার যাপিত জীবনে সুখের স্মৃতি ভুলে গেলেও দুঃখের স্মৃতি ভুলতে পারে না। প্রিয়জন হারানাের স্মৃতি মানুষকে সবসময় কষ্ট দেয়। প্রিয়জনকে হারিয়ে শূন্য হৃদয়ে মানুষ তখন কোনাে আনন্দকেই স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারে না। প্রকৃতির কোনাে পরিবর্তনও তার মনে কোনাে প্রভাব ফেলতে পারে না।
উদ্দীপকে একজন বিখ্যাত শিল্পীর মহাপ্রয়াণে শিল্পাঙ্গনে শােকের ছায়া নেমে আসার কথা বলা হয়েছে। এখানে শিল্পাঙ্গনে।শিল্পীর অবদান এবং গ্রহযােগ্যতার দিকটি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী চিত্রশিল্পের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং আমজনতার শিল্পবােধকে জাগিয়ে তুলেছিলেন।
উদ্দীপকের এই শিল্পীর মহাপ্রয়াণে শিল্পাঙ্গনে যে শােকের ছায়া নেমে এসেছে। তার সঙ্গে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির প্রিয়জন হারানাের মিল আছে। কিন্তু উদ্দীপক ও কবিতার মূলভাবের মিল নেই। কারণ উদ্দীপকের শিল্পীর জন্য শােক বহু মানুষের।
অন্যদিকে কবির শােক তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবির ব্যক্তিজীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে। প্রিয়জয়নকে হারিয়ে কবির হৃদয় বিচ্ছেদ বেদনায় ভারাক্রান্ত। তাই বসন্তের আগমনেও তার মনে জাগেনি সাহিত্য রচনার আকাঙ্ক্ষা। ভক্তদের অনুরােধেও তিনি বসন্ত সংগীত রচনায় আগ্রহী হন না। উদ্দীপকে এই বিষয়টি নেই। সেখানে শিল্পীর ভক্ত থাকলেও কবিতার মতাে ভক্তের কোনাে। আকাঙ্ক্ষা নয় বরং শােক প্রকাশ পেয়েছে। এসব দিক বিচারে বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর মহাপ্রয়াণে শিল্পাঙ্গনে শােকের ছায়া নেমে এসেছে। তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় প্রিয় স্বামীকে হারিয়ে কবির ব্যক্তিগত জীবনে শােকের ছায়া নেমে এসেছে। উদ্দীপকে শােকাহত শিল্পানুরাগী অসংখ্য মানুষ। অন্যদিকে কবিতায় শােকাহত। কবি নিজে। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ ।
আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান তাহারেই পড়ে মনে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।