মাধ্যমিক পড়াশোনা

বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

পীরের প্রতি অন্ধভক্তি ও কুসংস্কারে বিশ্বাস-এর আলােকে প্রণীত জীর্ণশীর্ণ মজিদ গারাে পাহাড় ছেড়ে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে মহব্বতনগর গ্রামে এসে হাজির হয়। অত্যন্ত সুকৌশলে ঐ গ্রামের লােকদের | গালাগালি শর করে। “আপনারা জাহেল, বেএলেম, আনপড়াহ। মােদাচ্ছের পীরের মাজারকে আপনারা এমন করি ফেলি রাখছেন? মহব্বতনগর গ্রামের বাইরে বাঁশঝাড়। সেই বাশঝাড়ের কাছে একটি পরিত্যক্ত পুকুরের পাশে ঘন গাছপালার ছায়ায় এক প্রাচীন কবর। গ্রামবাসীরা কেউ জানে । না। কেউ জানে না যে, ওটা মােদাচ্ছের পীরের মাজার। সভায় অশীতিপর বৃদ্ধ সুলেমানের বাপও ছিল। হাঁপানি রােগী। সে দম খিচে লজ্জায় মাথা নত করে রাখে।

ক. বহিপীর নাটকে তাহেরা বজরা থেকে জানালা দিয়ে কী দেখেছিল?

খ. “মনে হয় তাহাতে পবিত্রতা নাই, গাম্ভীর্য নাই।”- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি বহিপীর’ নাটকের কোন বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের পীরভক্তি এবং বহিপীর’ নাটকের পীরভক্তি একসূত্রে গাঁথা। মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ বহিপীর’ নাটকে তাহেরা বজরা থেকে জানালা দিয়ে নদীর কচুরিপানা দেখেছিল। ”

খ উত্তরঃ “মনে হয় তাহাতে পবিত্রতা নাই, গাম্ভীর্য নাই।”- উক্তিটি বহিপীর’ নাটকের পীর সাহেবের। তিনি আলিক কথ্য ভাষার দোষ বােঝাতে উক্তিটি করেছেন। বহিপীর’ নাটকের বহিপীর দেশের বিভিন্ন জেলায় তার মুরিদদের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে বেড়ান। সেখানে তাকে ভিন্ন ভিন্ন রকম ভাষা শুনতে হয়। সেই সমস্ত ভাষা আয়ত্ত করা তার পক্ষে কঠিন কাজ বলে তিনি বইয়ের ভাষায় কথা বলেন। এছাড়া তার মতে সেই সমস্ত আঞ্চলিক ভাষা তার কাছে কটু ঠেকে, ভাষাগুলােতে বিশেষত্ব নেই, নেই কোনাে গভীরতা। উক্তিটির মধ্য দিয়ে এ কথাই প্রকাশ পেয়েছে।

সারকথা : আলিক উপভাষাগুলাের দোষ-ত্রুটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বহিপীর আলােচ্য উক্তিটি করেছেন। তিনি বইয়ের ভাষা ব্যবহার করেন এবং আঞ্চলিক কথ্য ভাষাকে গাম্ভীর্যহীন মনে করেন।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি বহিপীর’ নাটকের জমিদারপত্নী খােদেজার পীরভক্তি এবং কুসংস্কারে বিশ্বাসের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।  মানুষ মানুষকে শ্রদ্ধা করে, ভালােবাসে। কিন্তু সেই শ্রদ্ধা যদি ভয়ের হয় তাহলে তা প্রকৃত শ্রদ্ধা নয়। অনেক ক্ষেত্রে আবার না বুঝে, ধর্মীয় সংস্কারের কারণেও একজন অন্যজনকে অন্ধভক্ত হয়ে মাত্রাতিরিক্ত শ্রদ্ধা করে।

উদ্দীপকের মজিদ অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির লােক। ভাগ্যান্বেষণে সে গারাে পাহাড় ছেড়ে মহব্বতনগরে গিয়ে ওঠে। একটি পুরনাে কবরকে কেন্দ্র করে তার মাজার ব্যবসায় শুরু করে। গ্রামে ঢুকেই সে অশিক্ষিত সাধারণ মানুষকে দোষারােপ করতে থাকে। পীরের মাজারকে ফেলে রাখার অপরাধে সবাই চুপ করে থাকে। আশি বছরের বৃদ্ধ সুলেমানের বাপও কথা বলে না।

See also  অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

তাদের এই চুপ হয়ে যাওয়ার পেছনে পীরের কবরকে ফেলে রাখার অপরাধ। যা পীরভক্তির বিষয়টিকে তুলে ধরে। তাদের এ পীরভক্তির সঙ্গে বহিপীর নাটকের খােদেজা চরিত্রের পীরভক্তির সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। জমিদারপুত্র হাশেম তাহেরাকে বহিপীরের কাছে ফিরিয়ে দিতে না চাইলে, মা খােদেজা ছেলে হাশেমকে শাসিয়েছেন।

তিনি মনে করেন, পীরের বদদোয়ায় সংসারে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। তার এ ধরনের পীরভক্তির কারণ ধর্মীয় কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকটি বহিপীর নাটকের জমিদারপত্নী খােদেজার পীরভক্তি এবং কুসংস্কারে বিশ্বাসের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

সারকথা : ‘বহিপীর নাটকের খােদেজা বদদোয়ার আশঙ্কায় হাশেমকে তার কাজে বাধা দিয়েছেন। তিনি তাহেরাকে পীরের হাতে তুলে দিতে চেয়েছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকের গ্রামবাসী পীরভক্তি ও কুসংস্কারের জন্য মজিদের গালাগালি সহ্য করেছে।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের পীরভক্তি এবং বহিপীর নাটকের বহিপীর একসূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

বাঙালি মুসলমান সমাজে পীর সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হয় কুসংস্কার ও ধর্মীয় বইয়ের পাতা থেকে। অশিক্ষিত ধর্মান্ধ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির সুচতুর লােক নিজেদের ‘পীর’ বলে দাবি করে। কেউ কেউ আবার তাদের খাদেম হয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে।

উদ্দীপকে মহব্বতনগর গ্রামের অশিক্ষিত, ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের পীরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাভক্তি প্রকাশ পেয়েছে। মজিদ তাদেরকে ‘বে এলেম’ বলে দোষারােপ করলেও তারা তার উত্তর করেনি। আপন ভাগ্যের বিধাতা মজিদ এই সুযােগে জনৈক মােদাচ্ছের পীরের মাজারকে গ্রামবাসীর ভয়ের উৎস হিসেবে গড়ে তােলে।

গ্রামবাসীও পীরের প্রতি ভক্তিতে মাথা নত করে। মহব্বতনগর গ্রামের মানুষের এ ধরনের। পীরভক্তি বহিপীর’ নাটকে খােদেজার পীরভক্তির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। জমিদারের বজরায় ঘটনাক্রমে তাহেরা এবং পরবর্তী সময়ে বহিপীর । আশ্রয় লাভ করেন। সেখানে পীরের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা থেকে জমিদারের স্ত্রী খােদেজা ন্যায়-অন্যায় ভুলে যান।

যখন জানতে পারেন বহিপীর তার স্বামী তখন জোর করে তাকে পীরের হাতে তুলে দিতে চান। তিনি বলেন ছেলের কথায় পীরের বদদোয়া নিয়ে সংসারে আগুন ধরিয়ে দিতে পারবেন না। পীর সাহেবকে বলেছেন- পীরসাহেব আমাদের ওপর রাগ করবেন না; আমাদের বন্‌দোয়া দেবেন না।

বহিপীর’ নাটকে জমিদারের স্ত্রী খােদেজার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে পীরভক্তির পরিচয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যেমনভাবে উদ্দীপকের মহব্বতনগরের মানুষেরা মজিদের কথায় বিশ্বাস করে পীরের ওপর অন্ধবিশ্বাস স্থাপন করে। কাজেই বলা যায় যে, উদ্দীপকের পীরভক্তি এবং বহিপীর’ নাটকের পীরভক্তি একসূত্রে গাঁথা।

সারকথা : বহিপীর’ নাটকের খােদেজা বহিপীরের বদদোয়াকে ভয় করেছেন। তার এই ভয় উদ্দীপকের মহব্বতনগর গ্রামের লােকদের ভয়ের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের পীরভক্তি এবং আলােচ্য নাটকের পীরভক্তি একসূত্রে গাঁথা।

See also  বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

কুসংস্কারে বিশ্বাস ও সচেতনতাবােধ-এর আলােকে প্রণীত সে পরী নয়, একেবারে ছেলেধরা পরী । ছাড়বে না, কাউকেই ছাড়বে না। এই ছেলেদের আগেই নজর দিয়েছিল। এখন আর ছাড়বে না। মায়েরা ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠল। কামালের মা বলল, রাইতের বেলা বের হইতে গ্যাদারে কত নিষেধ করছি; শােনে নাই। চোখের জল ফেলতে ফেলতে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেল। তাকে ধরাধরি করে ঘরে নেওয়া হলাে। চাল-ডাল নিয়ে ওঝা চলে গেল। যাবার আগে বলে গেল, সাতদিন পর সে আবার আসবে। এসে কিছু একটা ব্যবস্থা করবে। আপাতত আর কারাে যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য গ্রামটা বন্ধ করে দিয়ে যাচ্ছে সে। কামালের বােন রত্না। দূর থেকে ওঝার কারবার সবই দেখছে। কিছু বলছে না। খুব রাগ হচ্ছে তার। তবুও কিছু বলছে না।

ক. বহিপীর নাটকে ‘লেবাস’ শুকাতে দিয়েছিলেন কে?

খ. কথ্য ভাষা হইল মাঠ-ঘাটের ভাষা, খােদার বাণী বহন করার উপযুক্ততা তাহার নাই।’ – কেন নাই?

গ. উদ্দীপকের কামালের মা বহিপীর’ নাটকের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন? ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. উদ্দীপকের রত্নাকে কি বহিপীর’ নাটকের তাহেরা চরিত্রের চেতনাদীপ্ত নারী চরিত্র বলা যায়? তােমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। 

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ বহিপীর’ নাটকে লেবাস শুকাতে দিয়েছিলেন বহিপীর।

খ উত্তরঃ ‘কথ্য ভাষা হইল মাঠ-ঘাটের ভাষা, খােদার বাণী বহন করার উপযুক্ততা তাহার নাই।’- উক্তিটি বহিপীর’ নাটকের বহিপীরের। বহিপীর’ নাটকে বহিপীর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়ান। সেখানে নানা রকম আলিক ভাষা লক্ষ করেন।

তার পক্ষে সেগুলাে  আয়ত্ত করা কষ্টকর বিধায় তিনি বইয়ের ভাষায় কথা বলেন। এজন্য তার নাম বহিপীর। বহিপীরের মতে আঞ্চলিক বা কথ্য ভাষায় খােদার বাণী প্রচার সম্ভব নয়। কারণ আঞ্চলিক ভাষা এ পবিত্র বাণী বহনের উপযুক্ত ভাষা নয়। মূলত বৈচিত্র্যময় আঞ্চলিক ভাষায় কোনাে বিষয় উপস্থাপনের চেয়ে একটি নির্দিষ্ট ভাষায় তা করলে সবার পক্ষে গ্রহণ করা সহজ হয়।

সারকথা : সব অঞলের মানুষের বােধগম্যের জন্য বইয়ের ভাষাকে উপযুক্ত মনে করেছেন বহিপীর’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র বহিপীর। তাই তিনি আঞ্চলিক ভাষার সমালােচনা করে সে ভাষার দোষ-ত্রুটির দিকে ইঙ্গিত করেছেন ।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের কামালের মা বহিপীর’ নাটকের খােদেজা চরিত্রের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন। কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস মানুষের জন্য অভিশাপ। কুসংস্কারের কারণে অনেক সময় মানুষ ভুল পথে পা বাড়ায়। কুসংস্কার মানুষের বিপদ ডেকে আনে। আর আধুনিক মানসিকতা ও চিন্তা-চেতনা সমাজের জন্য, মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে।

উদ্দীপকে ওঝার কথায় কামালের মায়ের বিশ্বাস স্থাপনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ছেলেধরা পরী ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে এমন বিশ্বাসে কামালের মা এখানে রাইতের বেলা বের হইতে গ্যাদারে কত নিষেধ করছি, শােনে নাই’ বলে কান্নাকাটি করেছে এবং জ্ঞান হারিয়েছে।

See also  কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের পটভূমি কি বা মূলভাব বিষয়বস্তু জেনে নিন

এখানে ওঝার কথায় কামালের মায়ের মধ্যে অন্ধবিশ্বাসের যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা বহিপীর নাটকে হাশেমের মা খােদেজার পীরভক্তি ও কুসংস্কারে বিশ্বাসের দিকটিকে নির্দেশ করে। খােদেজাও পীরের সঙ্গে তাহেরার বিয়েকে সৌভাগ্যের মনে করেছে।

উদ্দীপকে ছেলেকে রাতে বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে মা নিষেধ করেছে। তার সে নিষেধ মানলে তার ছেলেকে পরী নিয়ে যেতে পারত না। কামালের মায়ের এ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বহিপীর’ নাটকের খােদেজা চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।’

সারকথা : বহিপীর’ নাটকে খােদেজা চরিত্রটি ধর্মভীরু, অন্ধ পীরভক্ত এবং কুসংস্কারে বিশ্বাসী সরল চরিত্র। উদ্দীপকের কামালের মাও অনুরূপ য় চরিত্রের অধিকারী। কারণ সেও ওঝার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং ছেলের কথা চিন্তা করে জ্ঞান হারিয়েছে।

আপনি এই পোষ্টে বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ হঁ্যা, উদ্দীপকের রত্নাকে বহিপীর’ নাটকের তাহেরা চরিত্রের চেতনাদীপ্ত নারী চরিত্র বলা যায়। শিক্ষা মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মনের অন্ধকার দূর হয়, ন্যায়-অন্যায়বােধ জন্মে। মানুষের হীন স্বার্থপরতা ও ভণ্ডামির মুখােশ উন্মােচনের জন্য মানবসমাজে প্রকৃত শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ একান্ত জরুরি।

উদ্দীপকে কুসংস্কারে বিশ্বাস ও অবিশ্বাসী মানুষের পরিচয় দেওয়া হয়েছে। এখানে ছেলে ধরা পরী ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে একথা ওঝার কাছে শুনে কামালের মা বিশ্বাস করেছে। এ বিষয়টি কুসংস্কারে বিশ্বাস এবং ওঝার ভণ্ডামি বুঝতে পারা রত্নার মনােভাবটি অবিশ্বাসের দিককে নির্দেশ করছে।

গ্রামের অসচেতন ও অন্ধবিশ্বাসীরা ওঝার গ্রাম বন্ধ করে যাওয়ার বিষয়টি বিশ্বাস করলেও রত্না তা বিশ্বাস করে না। কারণ রত্না জানে তার ভাইকে কোনাে ছেলে ধরা পরী ধরে নিয়ে যায়নি। তার ভাই কামাল কোথায় গেছে সেটাও সে জানে। সময় খুব অসময় বলে সে তা প্রকাশ করে না।

উদ্দীপকে ওঝার কথায় বিশ্বাস স্থাপন না করার ক্ষেত্রে রত্নার সচেতনতার দিকটি বহিপীর নাটকের তাহেরার সচেতন ও স্বাধীনচেতা মানসিকতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ তাহেরাও পীরের কথা বিশ্বাস করেনি। বহিপীর নাটকে সামাজিক কুসংস্কার ও নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের দিক তুলে ধরা হয়েছে। এখানে তাহেরা প্রতিবাদী নারী চরিত্র। সে বহিপীর, তার বাবা, সম্মা, জমিদারপত্নী খােদেজা প্রমুখের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছে। এখানে তার যে সচেতন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়, তার সঙ্গে উদ্দীপকের রত্নার মিল রয়েছে।

সারকথা : উদ্দীপকের কামালকে ছেলে ধরা পরীতে ধরে নিয়ে গেছে ওঝার এই কথায় মা বিশ্বাস করলেও রত্না বিশ্বাস করেনি। বহিপীর’ i) নাটকে পীরের অবাধ্য হলে পীর তাকে অভিশাপ দেবেন একথা বাবা, সৎ-মা, খােদেজা বিশ্বাস করলেও তাহেরা বিশ্বাস করেনি। এ দিক থেকে উদ্দীপকের রত্নাকে বহিপীর’ নাটকের তাহেরা চরিত্রের চেতনাদীপ্ত নারী চরিত্র বলা যায়।

আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button