সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 2022
অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 2022 অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
রিপের এই আড্ডাবাজ মনােভাব গ্রামের অলস বন্ধুরা মেনে নিলেও তার স্ত্রী কিন্তু মেনে নিল না। নিজের কোনাে দোষ খুঁজে পায় না রিপ। দোষের মধ্যে শুধু সে কখনাে বিশেষ কাজ করত না। পরিশ্রম বা অধ্যবসায়ের ভয়ে কিন্তু সে অমন করত না। কারণ প্রায়ই সে এক টুকরাে ভিজে পাথরের উপর বসে থাকত। হাতে থাকত ইয়া বড় এক লাঠি।
শান্তশিষ্টভাবে বসে বসে সে মাছ ধরত। কিন্তু ভুলেও কোনাে মাছ তার বড়শিতে ধরা পড়ত না। সে একটা ফঁাদ কাঁধে করে উঁচু পাহাড় আর বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়াত কাঠবিড়ালি আর বুনাে কবুতর ধরার জন্য। পাড়াপড়শির সবচেয়ে কঠিন কাজটাও সে করে দিত। পেঁকিতে ধান ভানতে অথবা পাথরের প্রাচীর গড়তেও সে তাদের সাহায্য করত। এককথায় রিপভ্যান উইংকল অন্যের উপকার করে দেওয়ার জন্য সবসময় রাজি থাকত।
ক. সুভাকে কে ‘সু বলে ডাকত?
খ. “মাছ ধরার সময় বাক্যহীন সঙ্গীই সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ”- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের রিপভ্যান উইংকল সুভা’ গল্পের কোন চরিত্রকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “আংশিক মিল থাকলেও উদ্দীপকটি সুভা’ গল্পের বিষয়বস্তুকে ধারণ করে না”—মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ সুভাকে প্রতাপ সু’ বলে ডাকত।
খ উত্তরঃ “মাছ ধরার সময় বাক্যহীন সঙ্গীই সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ”- উক্তিটি দ্বারা মাছ ধরার ক্ষেত্রে নীরব পরিবেশের প্রয়ােজনীয়তা প্রকাশ করা হয়েছে। মাছ পানির নিচে বাস করলেও পানির উপরে হওয়া সামান্য শব্দও মাছ শুনতে পায়।
ছিপ দিয়ে মাছ ধরার সময় টোপ ফেলে মাছ একত্র করার চেষ্টা করা হয়। টোপের খাবারের লােভে মাছ এক স্থানে জড়াে হয় তখন ছিপে বেশি মাছ ওঠে। কিন্তু যদি পরিবেশ কোলাহলপূর্ণ হয়, তবে ভয় পেয়ে মাছ পালায়। এ জন্যই মাছ ধরার স্থানে চুপচাপ থাকতে হয়। “মাছ ধরার সময় বাক্যহীন সঙ্গীই সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ”- উক্তিটি দ্বারা নীরব ও নিশ্ৰুপ অবস্থার কথা বােঝানাে হয়েছে।
সারকথা : মাছ ধরার সময় নীরব পরিবেশ প্রয়ােজন। কারণ কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ হলে মাছ ভয় পায় এবং সেখান থেকে চলে যায়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের রিপভ্যান উইংকল সুভা’ গল্পের প্রতাপ চরিত্রকে নির্দেশ করে। সংসার বড় বিচিত্র জায়গা। এখানে কে কীভাবে সুখী থাকে, কার মনের প্রত্যাশা কী তা সহজে বলা কঠিন। কেউ পরিকল্পনা মাফিক সৃজনশীল
কাজ করে জীবন চালনা করতে চায়, আবার কেউবা সংসার সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন থেকে ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে। উদ্দীপকের রিপভ্যান উইংকল এমন একজন ব্যক্তি যার সংসারের প্রতি কোনাে আকর্ষণ ছিল না।
শান্তশিষ্টভাবে বসে বসে সে মাছ ধরত। নিজের কাজ অপেক্ষা অন্যের কাজ করতে সে অধিক পছন্দ করত। পড়শির সবচেয়ে কঠিন কাজটিও সে করে দিত। সুভা’ গল্পেও এমনই একজন মানুষের পরিচয় পাওয়া যায়। গোঁসাইদের ছােট ছেলে প্রতাপ। সে যে কাজকর্ম করে সংসারের উন্নতি করবে সে আশা তার বাবা-মা ত্যাগ করেছিলেন। সে সারা দিন ছিপ ফেলে মাছ ধরত। এ ছাড়া অন্যের কাজ করার জন্য গ্রামে তার সুখ্যাতি ছিল। উদ্দীপকের রিপভ্যান উইংকল গল্পের এই প্রতাপ চরিত্রকেই নির্দেশ করে।
সারকথা : উদ্দীপকের রিপভ্যান সংসারউদাসী একজন মানুষ, যে নিজের কাজ অপেক্ষা পড়শির কাজ করতে পছন্দ করত। সুভা’ গল্পের প্রতাপও এমনই সংসারউদাসী ও পরােপকারী একজন মানুষ। উভয় চরিত্রের সাদৃশ্য এখানেই লক্ষযােগ্য।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ আংশিক মিল থাকলেও উদ্দীপকটি ‘সুভা’ গল্পের বিষয়বস্তুকে ধারণ করে না- মন্তব্যটি যথার্থ। অন্যের উপকার করে যারা যথার্থ সুখী হয় তারা মহৎ। অথচ এসব লােককে মানুষ সহজে চিনতে পারে না। ভুল বুঝে তাদের সঙ্গে রূঢ় ব্যবহার করে। সংসারের স্বাভাবিক নিয়মে তাদের বিচার করা যায় না।
উদ্দীপকের রিপভ্যান এমনই একজন পরােপকারী মানুষ ছিল। সে নিজের সংসারের ওপর তেমন একটা গুরুত্ব দিত না। পড়শির কাজ করতে সে বেশি উৎসাহী ছিল এবং শান্তশিষ্টভাবে বসে মাছ ধরত। এ ধরনের একটি চরিত্র সুভা’ গল্পের প্রতাপ। সেও সারা দিন মাছ ধরার জন্য ছিপ ফেলে বসে থাকত। অন্যের কাজ করে আনন্দ পেত।
উদ্দীপকটি গল্পের এই দিকটি ছাড়া অন্য কোনাে ভাব ও বিষয় প্রকাশ করতে পারেনি। ‘সুভা’ গল্পটিতে বাকপ্রতিবন্ধী কিশােরী সুভার প্রতি লেখকের ভালােবাসা ও মমত্ববােধ প্রকাশ পেয়েছে। লেখক মূলত এ গল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী মানুষের আশ্রয়ের জন্য একটি জগৎ তৈরি করেছেন এবং সেই সঙ্গে তাদের প্রতি আমাদের মমত্ববােধের উন্মেষ ঘটাতে চেয়েছেন।
গল্পের এই উদ্দেশ্য সফল করার জন্য লেখক অনেক ঘটনা, চরিত্র ও অনুষঙ্গ উপস্থাপন করেছেন যার মধ্যে প্রতাপ চরিত্র অন্যতম। উদ্দীপকটি শুধু উক্ত চরিত্রকে নির্দেশ করতে সক্ষম হয়েছে, মূলভাব ধারণ করতে পারেনি। সুতরাং বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকের রিপভ্যানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে ‘সুভা’ গল্পের প্রতাপ চরিত্রের ছায়া দৃশ্যমান হলেও গল্পের ভাব ও বিষয় সম্পূর্ণরূপে স্ত অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
আবেগ-অনুভূতির মূল্যায়ন করতে না পারা-এর আলােকে প্রণীত তিন্নি সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঝাপসা চোখে তপুকে আদর করতে গেল। তপু আনন্দে ডুবে আছে। সে আদরের কোনাে মূল্যই দিল না। বরং সে বলল, তুমি গাড়িতে গিয়ে বসাে। আমি ঠেলা দেই। তিন্নি বরের সাথে গাড়িতে গিয়ে বসল। তপু তার সমবয়সী কয়জনকে নিয়ে মনের আনন্দে গাড়ি ঠেলছে আর সুর করে বলছে- হেঁইয়াে রে হেঁইয়াে, আপু যায় হেঁইয়াে, গাড়ি যায় হেঁইয়াে। তপু গাড়িটা ঠেলতে ঠেলতে কতটুকু গেল। তারপর গাড়িটা তপুর হাতছাড়া হয়ে গেল। তপু গাড়ির সাথে দৌড়ে আর কুলােতে পারছে না। সে হাতছাড়া চলন্ত গাড়ির দিকে তাকিয়ে দু’হাতের আঙুল চিমটাচ্ছে। এ আর খেলা নয়- বিদায়!
ক. প্রতাপ সুভাকে আদর করে কী নামে ডাকত?
খ. কেন বাণীকণ্ঠকে লােকে নিন্দা করতে শুরু করে?
গ. উদ্দীপকে ‘সুভা’ গল্পের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত বিষয়টি সুভা’ গল্পের সামগ্রিক বিষয়কে ধারণ করে না।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ প্রতাপ সুভাকে আদর করে সু বলে ডাকত।
খ উত্তরঃ সুভার বিয়ে না দেওয়ায় বাণীকণ্ঠকে লােকে নিন্দা করতে শুরু করে। সুভা বাণীকণ্ঠের তৃতীয় মেয়ে । সুভা বােবা হওয়াতে তাকে বিয়ে দিতে অসুবিধা হচ্ছিল।
অন্যদিকে সুভার বয়স বাড়ছিল, তবু তার। বাবা তাকে বিয়ে দিতে পারছিলেন না। এই কারণে সবাই বাণীকণ্ঠকে নিন্দা করতে শুরু করেছিল। তার ওপরে বাণীকণ্ঠ সচ্ছল ছিলেন, তারা দুবেলা মাছ-ভাত খেতে পারতেন বলে তার শত্রুরও শেষ ছিল না। গ্রামের লােকজন তাদেরকে একঘরে করারও গুঞ্জন তােলে।
সারকথা : সুভার বিয়ের বয়স হওয়ার পরও তার পিতা বাণীকণ্ঠ তাকে বিয়ে না দেওয়ায় লােকে তাকে নিন্দা করতে শুরু করল।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে ‘সুভা’ গল্পের সুভার কলকাতা যাওয়ার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। মানুষ প্রয়ােজনের তাগিদে চেনা-জানা পরিবেশ ছেড়ে অচেনা স্থানের দিকে পা বাড়ায়। যাওয়ার সময় চিরচেনা পরিবেশ-পরিজনের জন্য বেদনাহত হয়। ব্যক্তি সেই বেদনা মুখে প্রকাশ না করলেও অনুভূতিশীল মানুষ তা সহজেই অনুধাবন করতে পারে।
উদ্দীপকে তিন্নি সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ভেজা চোখে ছােট ভাই তপুকে আদর করতে যায়, তপু তিন্নির সেই অনুভূতি বুঝতে পারে না। সে গাড়ি ঠেলে দিতে দিতে আনন্দ অনুভব করে। তারপর গাড়ি যখন অপুর হাতছাড়া হয়ে যায়, তখন সে বুঝতে পারে যে তা এখন আর খেলা নয়, বিদায়।
এই বিষয়টি ‘সুভা’ গল্পের বাবা বাণীকণ্ঠের সঙ্গে সুভার কলকাতা যাত্রার দিকটি সম্পর্কিত। সুভাও কলকাতায় যাওয়ার আগে প্রতাপের কাছে তার মনােবেদনা প্রকাশ করতে চায় চোখের করণ চাহনি দিয়ে। কিন্ত প্রতাপ তার অর্থ বুঝতে পারে না। এরপর সে তার বাল্য-সখীদের কাছ থেকে বিদায় নেয়।
গাভী দুটির গলা ধরে আদর করে। সুভা কথা বলতে পারে | না, চোখের জলে তাদেরকে ছেড়ে যাওয়ার বেদনা বােঝায়। উদ্দীপকের তপু যেমন তার তিন্নি আপুর বিদায় বুঝতে পারে না তেমনই এরাও সুভার বিদায় বুঝতে পারে না।
উদ্দীপকের তিন্নি বিয়ের পর বরের সঙ্গে গাড়িতে করে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগে ছােট ভাই তপুকে আদর করে। তেমনই সুভা’ গল্পের সুভাও তার সঙ্গী সর্বশী ও পাগুলিকে আদর করে বাবার সঙ্গে বিয়ের উদ্দেশ্যে কলকাতায় যাত্রা করে। এদিক থেকে উভয়ে পরস্পর সম্পর্কিত।
আপনি এই পোষ্টে সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকে প্রতিফলিত বিষয়টি সুভা’ গল্পের সামগ্রিক বিষয়কে ধারণ করে না।”- মন্তব্যটি যথার্থ ।
প্রতিবন্ধীরা সমাজে অবহেলিত। প্রতিবন্ধীদের অভিভাবকরাও নিজেদের ভাগ্যহত বলে মনে করেন এবং প্রতিবন্ধী সন্তানকে স্বাভাবিক সন্তানের মতাে গ্রহণ করতে পারেন না। সামাজিক কারণেই তাদের এমন মানসিকতা লক্ষ করা যায়।
কিন্তু প্রতিবন্ধীরাও অন্যদের মতাে সমান অধিকার ভােগ করার দাবি রাখে। তাদের প্রতি সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের সহনশীল ও সহযােগিতাপূর্ণ আচরণ করা উচিত। ‘সুভা’ গল্পে সুভা বাকপ্রতিবন্ধী, সে কথা বলতে পারে না। এ কারণে শৈশব থেকেই সে অবহেলার শিকার। সমবয়সীরা তাকে খেলায় নেয় না, তার সঙ্গে খেলে না।
সুভার মা সুভাকে তার গর্ভের কলঙ্ক মনে করেন। ফলে সুভা নির্বাক প্রকৃতির কাছে তার মুক্তির আনন্দ খুঁজে পায়। নির্বাক হওয়ায় বাণীকণ্ঠ মেয়েকে পাত্রস্থ করতে পারেন না। তাই নিরুপায় হয়ে সুভার বিয়ের কথা ভেবে তাকে। নিয়ে কলকাতায় যাওয়ার আয়ােজন করেন।
সুভা যাওয়ার আগে তার নির্বাক সঙ্গীদের কাছে বিদায় নেয়। এই বিষয়টির সঙ্গে উদ্দীপকের তপুকে স্নেহ-আদর দিয়ে তিন্নির বিদায় নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে তিন্নি প্রতিবন্ধী বা নির্বাক নয়। এই বিষয়টি ছাড়া উদ্দীপকে ভাইয়ের জন্য বােনের এবং বােনের গাড়ি হাতছাড়া হওয়ার পর পথের দিকে ভাইয়ের তাকিয়ে থাকার অনুভূতি ছাড়া অন্য কোনাে বিষয় ‘সুভা’ গল্পের সঙ্গে মেলে না।
‘সুভা’ গল্পে সুভার পারিবারিক পরিচয়, প্রতিবন্ধী হওয়ায় পরিবারে সুভার অবস্থান, সমাজের চোখে সুভার মূল্যায়ন, নির্বাক সঙ্গী হিসেবে প্রতাপের কাছে সুভার গুরুত্ব, প্রতাপের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এসব বিষয় উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকে তিন্নির শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার সঙ্গে ‘সুভা’ গল্পের সুভার বিয়ের উদ্দেশ্যে কলকাতা যাওয়ার মিল থাকলেও অন্যান্য বহু বিষয়ে সুভার সঙ্গে তিন্নির মিল নেই। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।