শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
Article Intro
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
যে সর্বজনীন শিক্ষা দেশের উচ্চশিক্ষার শিকড়ে রস জোগাইবে কোথাও তার সাড়া পাওয়া গেল না, তার উপরে আবার আর-এক উপসর্গ জুটিয়াছে। এক দিকে আসবাব বাড়াইয়া অন্য দিকে স্থান কমাইয়া আমাদের সংকীর্ণ উচ্চ শিক্ষার আয়তনকে আরাে সংকীর্ণ করা হইতেছে । ছাত্রের অভাব ঘটুক, কিন্তু সরঞ্জামের অভাব না ঘটে সে দিকে কড়া দৃষ্টি।
মানুষের পক্ষে অন্নেরও দরকার থালারও দরকার এ কথা মানি, কিন্তু গরিবের ভাগ্যে অন্ন যেখানে যথেষ্ট মিলিতেছে না সেখানে থালা সম্বন্ধে একটু কষাকষি করাই দরকার । যখন দেখিব ভারত জুড়িয়া বিদ্যার অন্নসত্র খােলা হইয়াছে তখন অন্নপূর্ণার কাছে সােনার থালা দাবি করিবার দিন আসিবে। আমাদের জীবনযাত্রা গরিবের অথচ আমাদের শিক্ষার বাহ্যাড়ম্বরটা যদি ধনীর চালে হয় তবে টাকা ঠুকিয়া দিয়া টাকার থলি তৈরি করার মতাে হইবে ।
ক. আত্মার পতন হয় কিসে?
খ. শিক্ষার অপ্রয়ােজনীয় দিকই শ্রেষ্ঠ দিক কেন? বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকের বিষয় শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে কোন ভাবের ইঙ্গিত বহন করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের উল্লিখিত ভাবটি শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের সম্পূর্ণ ভাবের ধারক হতে পারেনি।” মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ আত্মার পতন হয় আলস্য ও অসাধুতায়।
খ উত্তরঃ শিক্ষার অপ্রয়ােজনের দিকই শ্ৰেষ্ঠ দিক। কারণ এই দিক মানুষের মনকে বিকশিত করে, মনুষ্যত্ব অর্জনে সহায়তা করে।
শিক্ষার দুটি দিক- একটি প্রয়ােজনের, অপরটি অপ্রয়ােজনের। দ্বিতীয় দিকটি মানুষের মনের দুয়ার উন্মােচিত করে তাকে শেখায় কীভাবে জীবনকে উপভােগ করতে হয়। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমেই মানুষ অনুভূতি ও কল্পনার রস আস্বাদন করতে পারে। তার সুপ্ত মন শিক্ষার স্পর্শ পেয়ে আর দশজন সাধারণের থেকে পৃথক হয়ে ওঠে। এসব কারণে শিক্ষার অপ্রয়ােজনের দিকটিই শ্রেষ্ঠ।
সারকথা : মানুষের মন বিকশিত করতে সাহায্য করে বলেই শিক্ষার অপ্রয়ােজনের দিকটি শ্রেষ্ঠ।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের বিষয় শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে প্রকাশিত অন্নচিন্তা ও অর্থচিন্তা থেকে মুক্তিলাভের জন্য শিক্ষাকে ব্যবহার করার দিকটির প্রতি ইঙ্গিত করে । মানুষের জীবনে অন্নবস্ত্রের যেমন প্রয়ােজন আছে তেমনই প্রয়ােজন আছে মূল্যবােধ অর্জনের। তথাপি মানুষ বেঁচে থাকার জন্য এ চিন্তা থেকে বের হতে পারে না। মানুষ শিক্ষাকে এই ক্ষুদ্র উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে সংকীর্ণতার বেড়াজালে আবদ্ধ করে ফেলে।
উদ্দীপকে শিক্ষাকে অন্নসংস্থানের অন্যতম উপায় হিসেবে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই বিষয়ে আলােকপাত করা হয়েছে। শিক্ষার আস্ফালনে প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে মানুষ ছিটকে পড়ে অন্ন-বস্ত্র সংস্থানের ক্ষেত্রে শিক্ষাকে ব্যবহার করছে। এই দিকটি শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধেও আলােচিত হয়েছে।
লেখক এখানে শিক্ষার দুটি দিক তুলে ধরেছেন। এর প্রয়ােজনের দিক এবং অপ্রয়ােজনের দিক সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে লেখক বলেছেন অন্ন-বস্ত্রের চিন্তায় মানুষ শিক্ষাকে ব্যবহার করার ভুল পন্য গ্রহণ করছে, যা শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করছে। প্রবন্ধের এই ভাবটিই উদ্দীপকে উঠে এসেছে।
সারকথা : উদ্দীপকে অন্ন-বস্ত্রের সংস্থান করতে শিক্ষার ব্যবহারের দিকটি উঠে এসেছে, যা শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধেও বর্ণিত হয়েছে। প্রবন্ধের এই ভাবটির প্রতি উদ্দীপকের বিষয়টি ইঙ্গিত করে ।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের উল্লিখিত ভাবটি ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের সম্পূর্ণ ভাবের ধারক হতে পারেনি।”- মন্তব্যটি যথার্থ। • আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা অর্থকেই জীবনের সবকিছু মনে করে। অন্ন-বস্ত্র সংস্থানের জন্য অনেকে নৈতিকতাও বিসর্জন দিতে কুণ্ঠিত হয় না। ফলে মনুষ্যত্বলােকের সন্ধান তারা কোনােদিনই পায় না। উদ্দীপকে বলা হয়েছে মানুষের পক্ষে অন্নের দরকার রয়েছে।
সর্বজনীন শিক্ষা দেশের উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে গিয়ে সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। তাকে টাকার থলি তৈরির মাধ্যম হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই দিকটি শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে প্রকাশিত অন্নবস্ত্রের চিন্তায় শিক্ষার প্রকৃত লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়ার দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে এটি ছাড়াও আলােচ্য প্রবন্ধে অন্যান্য বিষয় আলােচিত হয়েছে যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক শিক্ষার দুটি দিক সম্পর্কে আলােচনা করেছেন। মানবজীবনকে দোতলা ঘরের সঙ্গে তুলনা করে লেখক সেখানে শিক্ষার প্রভাব সম্পর্কে আলােকপাত করেছেন। তার মতে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য হলাে মনুষ্যত্ব ও মূল্যবােধ সৃষ্টি করা। তা না হলে মানবজীবনে সােনা ফলবে না, কখনাে মুক্তি আসবে না। শিক্ষা লাভের মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে পারলেই অন্ন-বস্ত্র সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। প্রবন্ধের এসব দিক উদ্দীপকে অনুপস্থিত। সুতরাং বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকে শিক্ষাকে অন্ন-বস্ত্র সংস্থানের মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যা শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের অন্যতম আলােচ্য দিক। = প্রবন্ধের অন্যান্য বিষয় উদ্দীপকে অনুপস্থিত। সুতরাং বলা যায়, মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
প্রকৃত শিক্ষার উদ্দেশ্য ও সার্থকতা-এর আলােকে প্রণীত কিন্তু কথা হচ্ছে, শিক্ষা কি শুধু চাকুরীর জন্যই করতে হবে? শিক্ষার কি আর কোন সার্থকতা নাই? আমার মনে হয়, শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে এই সুন্দর ভুবনে কল্যাণ, প্রেম ও সৌন্দর্য্যপুষ্ট জীবন যাপনে শক্তিমান ও নানা দৃষ্টিক্ষম করে তােলা। মানুষ বিশ্ব-প্রভুর। সৃষ্টি-ভূষণ। তাই তার জীবনে চাই সুরুচি, সৌন্দর্য, সম্পদ, প্রেম, শক্তি ও স্রষ্টাকে উপলব্ধি করবার প্রকৃষ্ট জ্ঞান।
যে-মানুষের জীবনে এ সমস্তের যেকোনাে একটির অভাব ঘটেছে সে মানুষ নামের অযােগ্য। আর যে শিক্ষা মানুষকে এ সমস্ত দিতে পারছে না সে শিক্ষা নিরর্থক। এতেই বুঝতে পারা যাবে, মানুষ-মাত্রকেই শিক্ষা লাভ করতে হবে- এমন শিক্ষা যাতে করে সে পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তিত্ব অর্জনে সক্ষম হতে পারে । যে-জাতি এ-কথা ভুলে গিয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজেদের নিশ্চেষ্টতা, দৈন্য ও ভণ্ডামীকে লুকিয়ে রাখে ও রাখতে চেষ্টা করে, সে জাতির মুক্তি অসম্ভব।
ক. চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই সেখানে কী নেই?
খ. ক্ষুৎপিপাসায় তৃপ্তির প্রয়ােজন বুঝিয়ে লেখ ।
গ. উদ্দীপকটি ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের কোন বিষয়টি তুলে ধরেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “প্রকৃত শিক্ষা সম্বন্ধে উদ্দীপক এবং শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধ উভয় লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবােধ সমান্তরাল।” মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর ।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই সেখানে মুক্তি নেই।
খ উত্তরঃ ক্ষুৎপিপাসায় কাতর মানুষটিকে তৃপ্ত রাখতে না পারলে আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না বলেই ক্ষুৎপিপাসার তৃপ্তির প্রয়ােজন। চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই সেখানে মুক্তি অসম্ভব। মানুষের অন্নবস্ত্রের সমস্যা সমাধানের | চেষ্টা করতে হবে এই মুক্তির দিকে লক্ষ্য রেখে। তাই ক্ষুৎপিপাসায় কাতর মানুষটিকে তৃপ্ত রাখতে না পারলে আত্মার উপলব্ধি করা যায় না বলেই ক্ষুৎপিপাসায় তৃপ্তির প্রয়ােজন।
সারকথা : মানুষের আত্মার অমৃত উপলব্ধি করার জন্যই ক্ষুৎপিপাসায় তৃপ্তির প্রয়ােজন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে প্রকাশিত শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য তুলে ধরেছে। মানুষের জীবনে মৌলিক চাহিদা মেটানােই সর্বশেষ কথা নয়। অন্ন-বস্ত্রের যেমন প্রয়ােজন রয়েছে তেমনই প্রকৃত শিক্ষারও প্রয়ােজন রয়েছে। মনুষ্যত্ব অর্জন করতে না পারলে অগাধ সম্পদের মালিক হলেও প্রকৃত সুখ পাওয়া যায় না।
উদ্দীপকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত অর্থাৎ মনুষ্যত্ব অর্জনের প্রতি গুরুত্ব আরােপ করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে এই সুন্দর ভুবনে কল্যাণ, প্রেম ও সৌন্দর্যপুষ্ট জীবনযাপনে শক্তিমান করে তােলা। শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিকের মতে শিক্ষার আসল কাজ হচ্ছে মানুষকে মনুষ্যত্বলােকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।
জীবনকে কীভাবে উপভােগ করতে হয়, কীভাবে মানবিক গুণাবলির অধিকারী হতে হয় তা জানা যায় শিক্ষার অপ্রয়ােজনীয় দিকটির মাধ্যমে । অন্নপ্রাচুর্যের চেয়ে মুক্তিকে এখানে বড় করে দেখানাে হয়েছে। তাই বলা যায় যে, প্রবন্ধের এই দিকটিই উদ্দীপকটি তুলে ধরেছে।
সারকথা : উদ্দীপকে প্রকৃত শিক্ষা দ্বারা মনুষ্যত্ববােধের উন্মেষ ঘটানাের কথা বলা হয়েছে। আলােচ্য প্রবন্ধেও মনুষ্যত্বলােকে পৌছাতে শিক্ষার প্রয়ােজনীয়তা উপস্থাপন করা হয়েছে।
আপনি এই পোষ্টে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “প্রকৃত শিক্ষা সম্বন্ধে উদ্দীপক এবং শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধ উভয় লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবােধ সমান্তরাল।”- মন্তব্যটি যথার্থ। প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্ব লাভ করা যায় যা মানবজীবনের সর্বাপেক্ষা প্রয়ােজনীয় বস্তু । শিক্ষার লক্ষ্য সম্বন্ধে সচেতন থাকলে সহজেই কাঙ্ক্ষিত বস্তুর দেখা পাওয়া সম্ভব হয়। তাই মানুষের মতাে মানুষ হতে হলে, মানবীয় গুণাবলির অধিকারী হতে হলে অবশ্যই প্রকৃত শিক্ষা লাভ করতে হবে ।
উদ্দীপকে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলােকপাত করা হয়েছে। এখানে লেখক বলেছেন শুধু চাকরির জন্যই শিক্ষা লাভ করা উচিত নয়। এতে শিক্ষার কোনাে সার্থকতা থাকে না। শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে এই সুন্দর ভুবনে কল্যাণ, প্রেম ও সৌন্দর্যপুষ্ট জীবনযাপনে শক্তিমান ও দৃষ্টিক্ষম করে তােলা।
লেখকের এই দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের লেখকের চেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গির সমান্তরাল। কেননা আলােচ্য প্রবন্ধে লেখক এই বিষয় নিয়ে আলােচনা করেছেন। ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বলেছেন শিক্ষাই আমাদের মানবতার ঘরে নিয়ে যেতে পারে। অর্থ-চিন্তার নিগড়ে বন্দি থাকলে কখনই প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা যায় না।
প্রাবন্ধিকের মতে অন্ন-বস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়ে মুক্তি বড়। আর এই মুক্তি এনে দিতে পারে যথার্থ শিক্ষা। শিক্ষা লাভের মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে। শিক্ষার আসল কাজ হচ্ছে মূল্যবােধ সৃষ্টি করা। প্রাবন্ধিকের এই চেতনা উদ্দীপকের লেখকের চেতনার সঙ্গে মিলে যায়। সুতরাং বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকে বলা হয়েছে শিক্ষার যথার্থ লক্ষ্য মনুষ্যত্ব ও মূল্যবােধ সৃষ্টি। আলােচ্য প্রবন্ধেও লেখক একই কথা বলেছেন। উভয়ের = দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবােধ সমান্তরাল। সুতরাং বলা যায়, মন্তব্যটি যথার্থ।
আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।