ডিগ্রী পড়াশোনা

ঐকতান কবিতার মূলভাব ব্যাখা সহ জেনে নিন

ঐকতান কবিতার মূল বক্তব্য, সারমর্ম, সারাংশ ও বিশ্লেষণ

প্রিয় পাঠক অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের এই শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে আপনার পদাচরণ এর জন্য। আপনি যদি ইতিমধ্যে অনলাইনে এসে অনুসন্ধান করে থাকেন ঐকতান কবিতার মূলভাব কি, ব্যাখা, মূল বক্তব্য, সারমর্ম, সারাংশ ও বিশ্লেষণ ইত্যাদি নিয়ে তবে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। একই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে নিন সহজেই। চলুন তবে শুরু করা যাক।

ঐকতান কবিতার মূলভাব

ভূমিকা : রােমান্টিকতার বর্ণিল ভাবময়তা আর অধ্যাত্মবাদের সুউচ্চ চেতনালােকস্নাত রবীন্দ্র মানসের এক বিস্ময়কর বিবর্তন লক্ষ করা যায় কবির জীবনের শেষপ্রান্তে এসে। ঐকতান’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের মানসজগতের বাণীরূপ দলিল। এ কবিতায় কবি তাঁর বিশ্বজনীন জীবনদৃষ্টি এবং মানবচেতনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। চলুন তবে ঐকতান কবিতার মূলভাব সম্পর্কে আরও কিছু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

ঐকতান কবিতার ব্যাখ্যা

‘ঐকতান’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন সায়াহ্নের রচনা। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কবি যখন নিজের সাহিত্য সাধনার সামগ্রিক মূল্যায়নে ব্রতী হলেন তখন তার কাছে আপন সৃষ্টিকর্মের দুর্বল দিকগুলাে সুস্পষ্টভাবে ধরা পড়ল। কবি উপলব্ধি করলেন এ বিশাল বিশ্বের অনেক কিছুই তার অজানা-অদেখা।

তাঁর কাব্য-কবিতায় জগতের বৃহৎ জনগােষ্ঠী যাদের কর্মের উপর ভর করে সমস্ত জগৎ সংসার সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার প্রকৃত রূপ অনুপস্থিত রয়ে গেছে। তার সাহিত্যে উচ্চমার্গীয় ভাবাদর্শ যতখানি রয়েছে ততখানি সাধারণ মানুষের জীবনাকাঙ্ক্ষা, জীবনানুভূতির চিত্র প্রকাশিত হয়নি।

প্রিয় পাঠক আপনি এই আর্টিকেলে ঐকতান কবিতার ব্যাখা সম্পর্কে পড়তেছেন। পাশাপাশি আপনাদের পাঠ্যবইয়ের অন্যান্য সকল পাঠ্যও আমাদের সাইটে পেতে পারেন। চলুন ঐকতান কবিতার সারাংশ নিয়ে বাকী অংশ পড়ে শেষ করা যাক।

ঐকতান কবিতার মূল বক্তব্য

নিরঙ্কুশ শিল্পানুকৃতির বাইরে জীবনঘনিষ্ঠ সাহিত্য রচনার অভিপ্রায়টি কবির শেষ জীবনের অতৃপ্তির যন্ত্রণায় উদ্বেলিত হলাে ‘ঐকতান’ কবিতায়। কবির জীবনের সীমাবদ্ধতার কথা তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন। সমাজের উচ্চস্তরে অবস্থানের কারণে তিনি সাধারণের কাতারে গিয়ে মিশতে পারেননি।

কিন্তু তিনি জানতেন জীবনের সাথে জীবনকে যুক্ত না করতে পারলে সমস্ত সাহিত্য সাধনা ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই তিনি নবাগত কবিদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন তাদের সৃষ্টিকর্মে সমাজের শ্রমজীবী তথা অখ্যাতজনদের জীবনযন্ত্রণা, জীবনানুভূতিকে স্থান দেন।

মৃত্তিকা সংলগ্ন হয়ে তাদের মর্মবেদনা উদ্ধার করে সাহিত্যের সংগীতসভায় যােগ্য সম্মান দেন। নবীন কবিদের নমস্কার জানিয়ে রবীন্দ্রনাথ এ বিনীত অনুরােধ করেছেন ‘ঐকতান’ কবিতায়।

ঐকতান কবিতার সারমর্ম

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, জীবনের অসম্পূর্ণতার যে বেদনার কথা কবি একাধিকবার উল্লেখ করেছেন কাব্য-কবিতায়, সেই বেদনা এক অপূর্ব অনুভূতি সুগভীর আন্তরিকতায় সহজ বিনয়ে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত হয়েছে ‘ঐকতান’ কবিতায়।

প্রিয় পাঠক ধন্যবাদ জানাই আপনার অনুসন্ধানের জন্য এবং আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান অনুযায়ী ঐকতান কবিতার মূলভাব ব্যাখা আমাদের সাইটে জানতে সক্ষম হয়েছেন। ঐকতান কবিতা বিশ্লেষণ নিয়ে আপনার আর কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button