মাধ্যমিক পড়াশোনা

কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

ভীষণ যুদ্ধ চারদিকে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। গাঁয়ের মানুষেরা রেডিওতে যুদ্ধের খবর শুনেছে। পঁচিশের রাতের গণহত্যার খবর শুনে স্তব্ধ হয়ে গেছে গ্রামবাসী। মেহেরুন্নেসা বাড়ির বাইরে এসে চারদিকে তাকায়। বুঝতে পারে শান্ত নিরিবিলি এই গ্রামে যুদ্ধের দামামা বাজবে। মানুষ স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রাখবে।

মেহেরুন্নেসার কানে ভেসে আসে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের শেষ লাইনটি, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ওহ, কত লম্বা একটা লাইন। সারা দেশের সমান। নিজেকে উস্ফুল্ল করে ও ভাবে, স্বাধীনতা দেখতে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। নিজের কপালে হাত রেখে বাবার কথা মনে করে। বাবা বেঁচে থাকলে যুদ্ধ করত। বাবা ঘরে বসে থাকত না। এই গ্রামের মানুষ ওর বাবাকে মান্য করত। বলত, হামিদ মিয়া এই গ্রামের গর্ব। এই গ্রামের মানুষের জন্য কতকিছু করে। যে বিপদে পড়ে তাকে সাহায্য করে।

ক. শিলু আর তালেব কে?

খ. বুধা ঘুমপাড়ানি গান গাইত কেন?

গ. উদ্দীপ্যাকটি কোন দিক থেকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত বিষয়টি কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের পুরাে বিষয় নয়, আংশিক প্রতিফলন মাত্র।”— বিশ্লেষণ কর।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ শিলু আর তালেব বুধার ছােট ভাই বােন।

খ উত্তরঃ বুধা ঘুমপাড়ানি গান গাইত তিনুকে ঘুম পাড়ানাের জন্য। বুধার সবচেয়ে ছােট ভাই ছিল তিনু। ওর বয়স মাত্র দেড় বছর। রােগা শরীর। বুধাকে দেখলেই হাত বাড়িয়ে দিত কোলে ওঠার জন্য। বুধা ওকে কোলে নিয়ে উঠানে ঘুরত, ঘুমপাড়ানির গান গাইত। গান শুনতে শুনতে তিনু ঘুমিয়ে যেত। মূলত এ কারণেই বুধা ঘুমপাড়ানির গান গাইত।

সারকথা : বুধার সবচেয়ে ছােট ভাই ছিল তিনু। তাকে ঘুম পাড়ানাের জন্যই বুধা ঘুমপাড়ানির গান গাইত।।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দিক থেকে কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে এদেশের সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ নয় মাস শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করে।

বাঙালি জাতির এ অর্জন অনেক রক্তের বিনিময়ে মহা মূল্যবান ও সম্মানের। উদ্দীপকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। এখানে বাঙালির প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের অনুপ্রেরণায় এদেশের সর্বস্তরের মানুষের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের ইচ্ছা ও আবেগের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

See also  জীবন সঙ্গীত কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

উদ্দীপকে শান্ত নিরিবিলি গ্রামে যুদ্ধের দামামা বাজার বিষয়টি ভেবে মেহেরুন্নেসা আবেগে আপ্লুত হয়। নিজের কপালে হাত রেখে সে তার বাবার কথা ভাবে। সে ভাবে তার বাবা বেঁচে থাকলে যুদ্ধে যেতেন। গ্রামের সবার বিপদে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতাসম্পন্ন মেহেরুন্নেসার বাবা হামিদ মিয়া গ্রামের গর্ব ছিলেন।

তার এ ভাবনার মূল কারণও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এ ভাষণ শুনে কিশাের বুধাও স্বদেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত হয়েছে, গেরিলা কিশাের মুক্তিযােদ্ধা হয়ে উঠেছে। মধু জীবন দিয়েছে। শাহাবুদ্দিন ও আলিরা পাকিস্তানি মিলিটারিদের নিশ্চিহ্ন করার প্রতিজ্ঞা করেছে।

সারকথা : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে এতিম বুধা স্বদেশের শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের 1 ভাষণ শুনে। ঐ একই ভাষণ শুনে উদ্দীপকের মেহেরুন্নেসা স্বাধীনতার জন্য আবেগে আপ্লুত হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকে প্রতিফলিত বিষয়টি কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের পুরাে বিষয় নয়, আংশিক প্রতিফলন মাত্র।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের এক গৌরবময় অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের নির্মম নির্যাতন থেকে এদেশের নারী, শিশু-বৃদ্ধ কেউ রেহাই পায়নি। বাঙালিরা তাদের প্রিয় নেতার অনুপ্রেরণায় যার যা কিছু আছে তা নিয়েই শত্রুর মােকাবিলা করে বিজয় অর্জন করে।

উদ্দীপকে রেডিওতে যুদ্ধের খবর শুনে মেহেরুন্নেসা এবং তার গ্রামবাসীর অভিব্যক্তির দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে বাঙালি জাতির প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ কথাটিকে মেহেরুন্নেসার জবানিতে সবচেয়ে লম্বা ও সারা দেশের সমান বলে অভিহিত করা হয়েছে। তার এ অনুভূতির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব প্রকাশ পেয়েছে।

মেহেরুন্নেসার বাবা বেঁচে থাকলে যুদ্ধে যেতেন। কারণ তিনি গ্রামের সবার বিপদে এগিয়ে যেতেন। তাই দেশের বিপদে বসে থাকলে পারতেন না। কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধাও কানু দয়ালের বাড়িতে গিয়ে রেডিওতে এই ভাষণ শুনে মুক্তিযুদ্ধে যেতে অনুপ্রাণিত হয়েছে।

মুক্তিযােদ্ধারা শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের স্বপ্ন দেখেছে। এ দিক থেকে উপন্যাসের সঙ্গে উদ্দীপকের মিল রয়েছে। তবে তা উপন্যাসের সম্পূর্ণ বিষয় নয়। কারণ এ বিষয় ছাড়াও উপন্যাসে আরও বিষয় রয়েছে। কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধা কিশাের মুক্তিযােদ্ধা।

গ্রামে পাকিস্তানি মিলিটারির নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিশােধ নিতে বুধার চোখ লাল হয়ে ওঠে। সে তাদের সহযােগী রাজাকার আহাদ মুন্সির ঘর পুড়িয়ে দেয়। আবার এ বাড়ির কাজের মেয়েকে সে সাহায্য করে। মুক্তিযােদ্ধা শাহাবুদ্দিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঝুঁকি নিয়ে মিলিটারি ক্যাম্প রেকি করে এবং বাঙ্কারে মাইন পুঁতে তাদের ক্যাম্প উড়িয়ে দেয়।

See also  তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

এসব বিষয় উদ্দীপকে নেই। এখানে কিশাের বুধার এতিম হওয়া এবং নিজের মতাে করে বেড়ে ওঠার মতাে বিষয়ও নেই। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : উদ্দীপকের মেহেরুন্নেসার স্বাধীনতা দেখতে পাওয়ার প্রত্যাশা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে । প্রতিফলিত স্বাধীনতার মূলমন্ত্রের চেতনার দিকটি কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে প্রতিফলিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এদিকটি ছাড়াও উপন্যাসে কিশাের বুধার দেশপ্রেম ও গেরিলা মুক্তিযােদ্ধা হয়ে ওঠার বিষয় উদ্দীপকে নেই। এদিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

বঙ্গবন্ধু তাে বলেই দিয়েছেন, রক্ত যখন দিয়েছি প্রয়ােজন হলে আরও রক্ত দেব। দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বাে ইনশাল্লাহ। বঙ্গবন্ধুর সেই সাতই মার্চের কণ্ঠস্বর একবার তা যে বাঙালির কানে গেছে জীবনের মতাে সে হয়ে গেছে অন্য মানুষ।….. সাতই মার্চের রেসকোর্স মাঠে এখন ফিরে যেতে ইচ্ছে করে । বঙ্গবন্ধুর নির্দেশকে জপমন্ত্রের মতাে সারাক্ষণ মনের মধ্যে জাগ্রত রেখে কর্মের পথ বেছে নিতে হবে। 

ক. কে এক আশ্চর্য বীর কাকতাড়ুয়া?

খ. রাত নিয়ে কেন বুধার কোনাে ঝামেলা নেই?

গ. কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন ঘটনাটি উদ্দীপকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তা নির্দেশ কর।

ঘ. “কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার সংগ্রাম উদ্দীপকের ভাষণের পরবর্তী রূপ।” স্বীকার কর কি? তােমার মতের পক্ষে যুক্তি | দেখাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ বুধা এক আশ্চর্য বীর কাকতাড়ুয়া।

খ উত্তরঃ ঘুমানাের জায়গার অভাব নেই বলে রাত নিয়ে বুধার কোনাে ঝামেলা নেই। বাবা-মা, ভাই-বােনদের হারানাের পর বুধা বিশ্বসংসারে ভীষণ একা হয়ে পড়ে। খােলা আকাশের নিচে সে দিন কাটাতে থাকে। রাতেও তার ঘুমানাের স্থানাভাব হয় না। কারণ যেখানে খুশি সে সেখানেই ঘুমিয়ে যায়।

গৃহস্থের কাছারির বারান্দায়, দরজাবিহীন টেকিঘরে, গাছতলায়, হাটের চালায়, নৌকায় সব জায়গায় সে ঘুমাতে পারে। পরিবার-পরিজনের স্নেহ-মমতা থেকে চিরবঞ্চিত হয়ে সে এসবে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। তাই রাত নিয়ে বুধার কোনাে ঝামেলা নেই।

সারকথা ; ঘুমানাের জায়গায় অভাব নেই বলে রাত নিয়ে বুধার কোনাে ঝামেলা নেই।

গ উত্তরঃ কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধার মুখে বঙ্গবন্ধু’ শব্দের প্রকাশ এবং তাকে প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করার ঘটনাটি উদ্দীপকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।।

যেকোনাে যুদ্ধে নেতৃত্ব ও নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রয়ােজন হয় একজন বলিষ্ঠ নেতার। যােদ্ধারা সাধারণত সেই নেতার নির্দেশমতােই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর সেই নেতা যদি হন সব মানুষের আপনজন, তাহলে তিনি হয়ে ওঠেন সংগ্রামের অনুপ্রেরণা।

‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে গ্রামে এসে পাকিস্তানি মিলিটারি অতর্কিত হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অনেক মানুষকে হত্যা করে। তখন বুধার মনে পড়ে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের কথা। এমন অত্যাচারের বিরুদ্ধেই তাে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ করতে বলেছেন।

See also  বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

বুধা তখন মধুকে বলেছিল, এখন থেকে তােরা আমাকে বঙ্গবন্ধু বলে ডাকবি। আহাদ মুন্সির বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর আলি বুধাকে ‘জয় বাংলা’ বলে পরিচয় দেয়। জয় বাংলা’ বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আরেক জ্বালাময়ী স্লোগান। যে স্লোগান বাঙালির মুক্তির স্লোগানে পরিণত হয়।

উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের সেই জ্বালাময়ী ভাষণের কথাই বলা হয়েছে, যে ভাষণ বুধা শুনেছিল কানু দয়ালের রেডিওতে। এই ভাষণই বুধাকে উজ্জীবিত করে, প্রেরণা দেয় দেশের জন্য যুদ্ধ করার । কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের উপযুক্ত ঘটনাগুলাে তাই উদ্দীপকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

সারকথা : বাঙালি জাতির প্রতি অকৃত্রিম ভালােবাসার এবং তাদের মুক্তি ও স্বাধীনতার মন্ত্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বুধার শ্রদ্ধা জেগে ওঠে।

আপনি এই পোষ্টে কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার সংগ্রাম উদ্দীপকের ভাষণের পরবর্তী রূপ!”- মন্তব্যটির সঙ্গে আমি একমত।  যুদ্ধ, সংগ্রাম কিংবা কোনাে মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এগিয়ে যেতে হলে প্রয়ােজন সঠিক নির্দেশনার। সেই নির্দেশনাই পথপ্রদর্শকের কাজ করে।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ছিল এমনই এক নির্দেশনা। কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে পাকিস্তানি সেনাদের অত্যাচারের পাশাপাশি তাদের প্রতিহত করার নানা দৃশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। বিশেষ করে কিশাের বুধা তার বুদ্ধি, সাহস আর কৌশলের মধ্য দিয়ে পরিণত হয়েছে মুক্তিযােদ্ধায়।

বুধা আলির দোকান থেকে কেরােসিন এনে মশাল বানিয়ে সেই মশালে কেরােসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে ধরিয়ে দেয় শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আহাদ মুন্সির বাড়িতে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে মাইন পুঁতে রেখে আসে। এভাবে গ্রামে রাজাকার, শান্তি কমিটির সদস্য এবং পাকিস্তানি হানাদার দেশের অন্যান্য শত্রুকে ধ্বংস করতে থাকে কিশাের বুধা।

মুক্তিযােদ্ধা কমান্ডার শাহাবুদ্দিন বুধার সাহস আর বুদ্ধি দেখে বলেছিলেন, “তুই তাে এই গায়ে একাই যুদ্ধ করছিস। উদ্দীপকের ভাষণে এই যুদ্ধেরই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সেই সংগ্রামই শুরু করেছিল কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা, শাহাবুদ্দিন, আলি ও মিঠু।

বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশমতাে প্রয়ােজনে নিজেদের রক্ত দিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত করার শপথ নেয় তারা। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ। সেই যুদ্ধের পটভূমিতেই লেখা কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাস। আর তাই বলা হয়েছে, “বুধার সংগ্রাম উদ্দীপকের ভাষণের পরবর্তী রূপ।” সুতরাং মন্তব্যটি সঠিক।

সারকথা : ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দেন, সেই ভাষণের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল বাঙালির স্বপ্ন, যা ‘ কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধাসহ অন্যান্য মুক্তিযােদ্ধার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।

আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button