মাধ্যমিক পড়াশোনা

মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

ঈদ এলাে, ঈদ এলাে চান্দু মিয়ার ঘরে, রঙিন পােশাক দামি খাবার আপনজনের তরে, পাশের ঘরে পড়ে আছে রহিমুদ্দির মা, পেটের ক্ষুধায় কেঁদে মরে তাকে দিলাম না। এইতাে মােদের ঈদ, গাই সাম্যের গীত।

ক. মসজিদে কে তালা দিল?

খ. মােল্লা সাহেব হেসে কুটি কুটি হয় কেন?

গ. উদ্দীপকের চান্দু মিয়ার সাথে মানুষ’ কবিতার মােল্লা-পুরােহিতের চরিত্রের যে সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয় তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের ‘রহিমুদ্দির মা’ ‘মানুষ’ কবিতার বতিদের যথার্থ প্রতিনিধি হয়ে উঠতে পেরেছে কি? তােমার মতামতের সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ মসজিদে মােল্লা সাহেব তালা দিল।

খ উত্তরঃ মােল্লা সাহেব হেসে কুটি কুটি হয় মসজিদের শিরনি থেকে অঢেল গােশত ও রুটি বেঁচে যাওয়ার আনন্দে। মসজিদের মােল্লা সাহেব নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সবসময় সচেষ্ট থেকেছে। মসজিদে গতকাল শিরনিতে অনেক গােশত রুটি বেঁচে যায়। বেঁচে যাওয়া গােশত-রুটি মােল্লা সাহেব একাই ভােগ করবে। এই খুশিতে সে হেসে কুটি কুটি হয়েছে। নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে পেরে মােল্লা সাহেব অত্যন্ত উল্লসিত।

সারকথা : মসজিদের শিরনিতে বেঁচে যাওয়া খাবার মােল্লা সাহেব একাই ভােগ করতে পারবে এই ভেবে সে হেসে কুটি কুটি হয়।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের চান্দু মিয়ার সঙ্গে ‘মানুষ’ কবিতার মােল্লা-পুরােহিতের স্বার্থপরতার সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।

মানুষকে ভালােবেসে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়ােগ না করলে মনুষ্যত্ব অর্জন করা যায় না। মানবসেবার মধ্য দিয়েই সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভ করা যায়।

উদ্দীপকের চান্দু মিয়ার মাঝে স্বার্থপরতা লক্ষ করা যায় । ঈদ আসে সবার জন্য। অথচ চান্দু মিয়া শুধু নিজের ব্যক্তিগত বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ঈদ উদ্যাপন করেছে। দামি খাবার, দামি পােশাকে আপনজনের খুশি নিশ্চিত করেছে। পাশে রহিমুদ্দির মা অভুক্ত রয়েছে, তাতে চান্দু মিয়ার কোনাে ভ্রুক্ষেপ নেই।

See also  সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

মানুষ’ কবিতায়ও মােল্লা-পুরােহিতের মাঝে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। ক্ষুধার্ত মানুষকে তাড়িয়ে দিয়ে তারা সমস্ত খাবার নিজেরা ভােগ করেছে। কবিতায় তাদের নির্দয় আচরণে যে স্বার্থপরতা ফুটে উঠেছে তা উদ্দীপকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

সারকথা : ‘মানুষ’ কবিতার মােল্লা-পুরােহিতের স্বার্থপরতার বিষয়টি উদ্দীপকের চান্দু মিয়ার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ফুটে উঠেছে।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ হঁ্যা, উদ্দীপকের রহিমুদ্দির মা’ ‘মানুষ’ কবিতার বঞ্চিতদের যথার্থ প্রতিনিধি হয়ে উঠতে পেরেছে।

পৃথিবীতে মানুষকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ ইত্যাদির বিচারে বিবেচনা করা উচিত নয়। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে আলাে-বাতাস দিয়ে প্রতিপালন করছেন। যারা মানুষে মানুষে বিভেদ করে তারা সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভে ব্যর্থ হয়।

উদ্দীপকে স্বার্থপর চান্দু মিয়ার ঈদ উদ্যাপনের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। পাশের ঘরের অভুক্ত রহিমুদ্দির মার প্রতি তার কোনাে ভুক্ষেপ নেই। ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয় রহিমুদ্দির মা।

মানুষ’ কবিতায় ক্ষুধার্ত ব্যক্তি মােল্লা-পুরােহিতের কাছ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাদের কাছে পর্যাপ্ত খাবার থাকার পরও তারা নিজেদের স্বার্থের কারণে ঐ ব্যক্তিকে বঞ্চিত করেছে। ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে তাড়িয়ে দিয়ে সমস্ত খাবার মােল্লা-পুরােহিত নিজেরা ভােগ করেছে। ‘মানুষ’ কবিতায় কবি সাম্যের গান গেয়েছেন।

ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্য দিয়ে তিনি মানুষের অসহায়ত্ব তুলে ধরেছেন। স্বার্থপরদের কারণে বঞ্চিত হয়েছে সাধারণ মানুষ। ক্ষুধার্ত ব্যক্তি মােল্লা-পুরােহিতের কারণে বনার শিকার হয়।

উদ্দীপকে রহিমুদ্দির মা চান্দু মিয়ার স্বার্থপরতায় বঞ্চিত হয়েছে। ঈদের আনন্দ চান্দু মিয়ার ঘরে এলেও রহিমুদ্দির মা এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই । বতিদের দিক থেকে উদ্দীপকের রহিমুদ্দির মা’ ‘মানুষ’ কবিতার ক্ষুধার্ত ব্যক্তির যথার্থ প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে।

সারকথা : উদ্দীপকের ‘রহিমুদ্দির মা’ ‘মানুষ’ কবিতার বতিদের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে। স্বার্থপর মানুষের আত্মকেন্দ্রিকতায় তারা বঞ্চিত হয়েছে।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

মরমি সাধক লালন ফকির মানুষে মানুষে ভেদ-বৈষম্যে বিশ্বাস করতেন না। তিনি সব মানুষকে ভালােবাসতেন। তাঁর গানে তিনি মানুষকে ভালােবাসার কথা বলে গেছেন। আর্তমানবতার সেবার পাশাপাশি তিনি বৈষম্যহীন একটি আদর্শ মানব সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।

ক. গােশত-রুটি নিয়ে কে মসজিদে তালা দিল?

See also  বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

খ. কবি ভজনালয়ের সব তালা দেওয়া দ্বার ভেঙ্গে ফেলতে বলেছেন কেন? 

গ. উদ্দীপকের লালন ফকিরের আদর্শের সঙ্গে মােল্লা-পুরুতের আদর্শগত যে পার্থক্য বিদ্যমান তা ‘মানুষ’ কবিতাবলম্বনে বর্ণনা কর।

ঘ. উদ্দীপকের প্রতিফলিত রূপই ‘মানুষ’ কবিতার মর্মকথা”- মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ গােশত-রুটি নিয়ে মােল্লা সাহেব মসজিদে তালা দিল।

খ উত্তরঃ কবি ভজনালয়ের সব তালা দেওয়া দ্বার ভেঙে ফেলতে বলেছেন সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

সৃষ্টিকর্তার কাছে সব মানুষ সমান। মানুষ বিভিন্ন ধর্ম বা বর্ণের হলেও স্রষ্টার কাছে সবই তাঁর সৃষ্টি। কিন্তু সমাজের একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে মানুষের মধ্যে বিভেদের দেয়াল টেনে রাখে ।

তারা ধর্মের ধারক ও বাহক সেজে অসহায় দরিদ্রদের বতি করে! দরিদ্রদের জন্য দান করা খাবারে এরা ভাগ বসায়। দরিদ্রের প্রাপ্য অন্ন কুক্ষিগত করে রাখে। সেই ভণ্ড ধার্মিকরা দরিদ্রের অন্ন ভজনালয়ে তালা দিয়ে রাখে । তাই কবি দরিদ্র মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ভজনালয়ের সব তালা দেওয়া দরজা ভেঙে ফেলতে বলেছেন।

সারকথা : পৃথিবীতে সব মানুষের অধিকার সমান। তাই মানুষের সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য কবি ভজনালয়ের সব তালা দেওয়া দ্বার তা ভেঙে ফেলতে বলেছেন।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের লালন ফকিরের আদর্শের সঙ্গে মােল্লা-পুরুতের আদর্শগত পার্থক্য বিদ্যমান। মানবকল্যাণ সব ধর্মের মূল কথা। মানবসেবার মধ্য দিয়েই মানুষ সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভ করে। কিন্তু কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে। সবার ঊর্ধ্বে যে মানুষের মানুষ’ পরিচয় তা তারা ভুলে যায়।

উদ্দীপকের লালন ফকির অসাম্প্রদায়িক-মানবতাবাদী চেতনার অধিকারী। তিনি জাতি-ভেদ বা বৈষম্যে বিশ্বাস করতেন না। তাঁর কাছে সব মানুষ সমান। তিনি তাঁর গানের মধ্য দিয়ে সাম্য-ভ্রাতৃত্ব ও ভালােবাসার কথা বলেছেন। প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন একটি বৈষম্যহীন আদর্শ মানব সমাজ।

অন্যদিকে মানুষ’ কবিতার মােল্লা-পুরুত উদ্দীপকের লালন ফকিরের ঠিক বিপরীত আদর্শের প্রকাশ ঘটায়। তারা ধর্মের নামে অধর্ম করে। স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের চেয়ে তারা নিজেদের স্বার্থ লাভে সদা ব্যস্ত। নিরন্ন মানুষের অন্ন তারা ভােগদখল করে।

ক্ষুধার তাড়নায় মুসাফির তাদের কাছে গেলে অপমানিত হয়ে ফিরে আসে। তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মানও করে না। নামাজ পড়ে না বলে মােল্লা ভুখারিকে খাবার দেয় না। পুরােহিত জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থায় ভুখারিকে দেখে মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেয়।

এ ধরনের কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে তাদের সাম্প্রদায়িক ও অমানবিকতার পরিচয় প্রকাশ পায়, যা লালন ফকিরের আদর্শের ঠিক বিপরীত। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের লালন ফকিরের সঙ্গে মােল্লা-পুরুতের আদর্শগত পার্থক্য বিদ্যমান।

See also  তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সারকথা : উদ্দীপকে লালন ফকির মানবতার কথা বলেছেন, সাম্যের কথা বলেছেন। আর আলােচ্য কবিতার মােল্লা-পুরােহিত নিজের স্বার্থের = জন্য মানবতাহীন কাজ করেছে। তাই বলা যায় যে, লালন ফকিরের আদর্শের সঙ্গে মােল্লা তাই বলা যায় যে, লালন ফকিরের আদর্শের সঙ্গে মােল্লা-পুরােহিতের আদর্শগত পার্থক্য রয়েছে।

আপনি এই পোষ্টে মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের প্রতিফলিত রূপই ‘মানুষ’ কবিতার মর্মকথা”- মন্তব্যটি যথার্থ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই পৃথিবীর সব মানুষ সমান। কিছু স্বার্থপর মানুষ নিজেদের স্বার্থের জন্য উঁচু-নিচু, ছােট-বড়, ধনী-দরিদ্র বিভেদ সৃষ্টি করে রেখেছে সমাজে। অথচ একটু সহনশীলতা ও সহমর্মিতায় সমাজে কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে ।

উদ্দীপকে মানবতাবাদী মরমি সাধক লালন ফকিরের আদর্শের কথা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি মানুষের মধ্যে ভেদ-বৈষম্য বিশ্বাস করতেন না। তিনি মানুষকে মানুষ হিসেবে ভালােবাসতেন। তিনি তাঁর গানের মধ্য দিয়ে মানুষকে ভালােবাসার কথা বলেছেন।

আর্তমানবতার সেবায় নিজেদেরকে নিয়ােজিত করতে বলেছেন। তিনি চেয়েছেন একটি বৈষম্যহীন আদর্শ মানব সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। মানুষ’ কবিতার কবিও আলােচ্য কবিতার মধ্য দিয়ে সমাজে সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। এ কারণেই তিনি ধর্মীয় সংকীর্ণতার গণ্ডি অতিক্রম করে মানুষকে সবকিছুর উপরে স্থান দিয়েছেন।

কবি সব মানুষকে সমান করে দেখেন বলেই ভণ্ড মােল্লা-পুরােহিতদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ঘােষণা করেছেন। ভণ্ড ধার্মিকদের ধ্বংস করার জন্য ও সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন চেঙ্গিস, গজনি মামুদ ও কালাপাহাড়কে।

উদ্দীপকে লালন ফকিরের যে মত ও আদর্শ প্রকাশ পেয়েছে তা সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের কথা বলে। একটি সুন্দর বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার কথাও তিনি বলেছেন যা মানুষ’ কবিতার মর্মকথাকেই ধারণ করে। মানুষ’ কবিতায় মােল্লা ও পুরােহিতের ধ্বংস কামনা ও মানুষকে সবচেয়ে বড় করে দেখার মধ্য দিয়ে কবি এমন চেতনা ও আকাঙ্ক্ষাই প্রকাশ করেছেন। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : উদ্দীপকে লালন ফকির মানবতার কথা ও সাম্যের কথা বলেছেন। সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। মানুষ’ কবিতার i) কবিও আলােচ্য কবিতার মধ্য দিয়ে সমাজের সব মানুষ যে এক এবং সব মানুষের অধিকার যে সমান সে কথাই প্রকাশ করতে চেয়েছেন। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button