লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
খামােশ। গর্জে ওঠে কাশেম খান। ফুলবানু ভয় পায় না। ও জানে বাষট্টি বছর বয়সের সঙ্গে আঠারাে বছর মেলে না। সুতরাং ওর কোনাে ভয় নাই। ও জীবনের একটি অধ্যায় শেষ করে এসেছে, এখন নতুন অধ্যায়ের শুরু। এখানেও ওকে জিততে হবে। বাবার বিরুদ্ধে ঘৃণা দিয়ে যে জীবনের মােকাবিলা ও করেছে তার শেষ দেখতে হবে। কাশেম খান ওর হাত মুচড়ে ধরে, মেয়ে মানুষের ত্যাজ হামি সবার প্যারি না।। – ক্যানহে প্যারবেন না? হামার বাপ গরীব হবার প্যারে, কিন্তু হামার ত্যাজ গরীব না। কাশেম খান বিস্ময়ে ফুলবানুর দিকে তাকিয়ে থাকে। জীবনে এই প্রথম কেউ ওর মুখের ওপর কথা বলছে, জীবনে এই প্রথম ওর পৌরুষ আহত হলেও ও রাগতে পারে না।
ক. আছরের সময় কোন নামাজ পড়া হয়েছিল?
খ. ধলা মিয়া কেন আওয়ালপুর যেতে ভয় পায়? বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের ফুলবানু লালসালু উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের কাশেম খানের সাথে উপন্যাসের মজিদের দৃষ্টিভঙ্গিগত মিল থাকলেও মজিদের চাতুর্য, নির্মমতা এবং অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়াস অনেক বেশি”- যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ আছরের সময় জোহরের নামাজ পড়া হয়েছিল।
খ উত্তরঃ আওয়ালপুর ও মহব্বতনগরের মাঝামাঝি থাকা তেঁতুলগাছের ভূত এবং আওয়ালপুরের লােকদের হাতে মার খাওয়ার ভয়ে ধলা মিয়া আওয়ালপুর যেতে ভয় পায়। খালেক ব্যাপারী ধলা মিয়াকে আওয়ালপুরে গিয়ে পীরের পানিপড়া আনতে বলে। কিন্তু কিছুদিন আগেই আওয়ালপুরের লােকজন মহব্বতনগরের লােকজনকে প্রচণ্ড মারধর করে। তার উপরে দুই গ্রামের মাঝখানের রাস্তায় রয়েছে প্রকাণ্ড এক তেঁতুলগাছ।
অনেকেই বলে যে, সেই তেঁতুলগাছটি কোনাে সাধারণ তেঁতুল গাছ নয়। রাতে যে সেই তেঁতুলগাছ কী বীভৎস আকার ধারণ করবে সে কথা ধলা মিয়া কল্পনাও করতে পারে না। একদিকে আওয়ালপুরের লােকের হাতে মার খাওয়ার ভয়, অন্যদিকে তেঁতুলগাছের ভূতের ভয়। এই দুই ভয়ের কারণে ধলা মিয়া আওয়ালপুর যেতে চায় না।
সারকথা : ধলা মিয়া সহজ-সরল ও ভিতু প্রকৃতির মানুষ। তাই সে আওয়ালপুরে যেতে ভয় পায়।।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের ফুলবানু লালসালু উপন্যাসের জমিলা চরিত্রের প্রতিনিধি। প্রতিবাদ অত্যাচারীকে দুর্বল করে তা সে যত ক্ষমতাবানই বা নির্মম হােক না কেন। আমাদের সমাজের নারীরা সেই প্রাচীন কাল থেকে অত্যাচারিত ও নিপীড়িত হয়ে এলেও এখন তারা প্রতিবাদ করতে শিখেছে। তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় কোনাে বিষয় এখন মুখ বুজে মেনে নেয় না।
উদ্দীপকের ফুলবানু একটি প্রতিবাদী চরিত্র। সে দেরিতে হলেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। স্বামীর অন্যায় ধমকে সে আর ভয় পায় না। স্বামীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজের সত্তা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এমনই এক প্রতিবাদী চরিত্র ‘লালসালু উপন্যাসের জমিলা। সে ধর্মব্যবসায়ী মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী।
অসম বিয়ের শিকার কিশােরী জমিলা মজিদের রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। মজিদ যে তাকে ধর্মের ভয় দেখিয়ে পদানত করে রাখতে চায় এটা বুঝতে পেরে সে স্বামীর অবাধ্য হয়। স্বামীর মুখে থুথু ছিটিয়ে দিয়ে স্বামীর অন্যায় কর্মের চূড়ান্ত প্রতিবাদ জানায়।
সারকথা : উদ্দীপকের ফুলবানু এবং উপন্যাসের জমিলা উভয়ই প্রতিবাদী নারী। আপন ব্যক্তিত্ব রক্ষার্থে তারা প্রথা ভেঙে স্বামীর অবাধ্য হয় এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। তাই ফুলবানুকে উপন্যাসের জমিলার প্রতিনিধি বলা যায়।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের কাশেম খানের সাথে উপন্যাসের মজিদের দৃষ্টিভঙ্গিগত মিল থাকলেও মজিদের চাতুর্য, নির্মমতা এবং অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়াস অনেক বেশি”- মন্তব্যটি যথার্থ । আপন অস্তিত্ব রক্ষা যে ব্যক্তির কাছে প্রধান লক্ষ্য সে তার উদ্দেশ্য সফল করতে যেকোনাে কাজ করতে পারে।
অন্যের ওপর নির্যাতন বা অত্যাচার করে হােক, আর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পদানত করে হােক— সে তার স্বার্থসিদ্ধি করার চেষ্টা করে। উদ্দীপকের বাষট্টি বছর বয়সী কাশেম খান তার আঠারাে বছর বয়সী স্ত্রী ফুলবানুকে তর্জন-গর্জন করে। ধমক দিয়ে দমিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু ফুলবানু স্বামীর অন্যায় ধমককে ভয় পায় না।
এতে করে কাশেম খানের পৌরুষে আঘাত লাগে। একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ। সেও তার কিশােরী স্ত্রী জমিলাকে ধর্মের ভয় দেখিয়ে পদানত করে রাখতে চায়। কিন্তু জমিলা স্বামীর কথা শােনে না। স্ত্রীর ওপর প্রভুত্ব না করতে পেরে মজিদও আহত হয়। তবে মজিদ উদ্দীপকের কাশেমের তুলনায় বেশি নির্মম, স্বার্থান্বেষী ও অস্তিত্ব রক্ষায় প্রয়াসী।
উদ্দীপকের হাশেম খান শুধু স্ত্রীর ওপর কর্তৃত্ব করতে চেয়েছে। কিন্তু উপন্যাসের মজিদ উক্ত বিষয়ের পাশাপাশি আপন অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করেছে। মানুষ ঠকিয়েছে। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে খালেক ব্যাপারীকে দিয়ে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে । জমিলাকে ঝড়বৃষ্টির মধ্যে মাজারের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখেছে। এসব বিচারে বলা যায়, মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকের কাশেম খানের মধ্যে স্ত্রীর ওপর কর্তৃত্ব করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। কিন্তু উপন্যাসের মজিদ আপন অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কাশেম খানের চেয়ে অনেক বেশি নির্মমতা দেখায়। চতুরতার মাধ্যমে লােক ঠকিয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
নারীদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের চিত্র-এর আলােকে প্রণীত। শুনিয়াছি নাকি বিলাত প্রভৃতি ম্লেচ্ছদেশে পুরুষদের মধ্যে একটা কুসংস্কার আছে, স্ত্রীলােক দুর্বল এবং নিরুপায় বলিয়া তাহার গায়ে হাত তুলিতে নাই। এ আবার একটা কী কথা! সনাতন হিন্দু এ কুসংস্কার মানে না। আমরা বলি যাহারই গায়ে জোর নাই, তাহারই গায়ে হাত তুলিতে পারা যায়। তা সে নরনারী যাই হােক না কেন! মেয়েটি প্রথমেই সেই যা একবার আর্তনাদ করিয়া উঠিয়াছিল, তারপর একেবারে চুপ করিয়া গেল। কিন্তু আমরা যখন তাহাকে গ্রামের বাহিরে রাখিয়া আসিবার জন্য হিঁচড়াইয়া লইয়া চলিলাম, তখন মিনতি করিয়া বলিতে লাগিল, “বাবুরা, আমাকে একটিবার ছেড়ে দাও। আমি রুটিগুলাে ঘরে দিয়ে আসি। বাইরে শিয়াল কুকুরে খেয়ে যাবে- রােগা মানুষ সমস্ত রাত খেতে পাবে না।”
ক. কার মনে সন্দেহ ছিল, ভয়ও ছিল?
খ. মজিদ কেন আমেনা বিবিকে তালাক দেওয়ার জন্য খালেক ব্যাপারীকে আদেশ করল?
গ. উদ্দীপকের মেয়েটির প্রতি নির্যাতনের সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে?
ঘ. উদ্দীপকের ঘটনাটি ‘লালসালু উপন্যাসের একটি খণ্ডাংশমাত্র।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ মজিদের মনে সন্দেহ ছিল, ভয়ও ছিল।
খ উত্তরঃ মজিদ প্রতিহিংসাবশত আমেনা বিবিকে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে খালেক ব্যাপারীকে তালাক দিতে আদেশ করল।
নিঃসন্তান আমেনা বিবি মজিদের নিষেধ অমান্য করে আওয়ালপুরে আগত পীরের পানিপড়া খেতে চেয়েছিল। মজিদ অমানবিক, নিষ্ঠুর, ধর্মব্যবসায়ী। সে নিজের প্রতিপত্তি বজায় রাখতে গ্রামের সবাইকে উক্ত পীরের কাছ থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিল। আমেনা বিবি তা অমান্য করায় মজিদ তাকে শাস্তি দিতে খালেক ব্যাপারীকে তার স্ত্রী আমেনা বিবিকে তালাক দিতে আদেশ করল।
সারকথা : মজিদ আমেনা বিবিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য খালেক ব্যাপারীকে তালাক দিতে আদেশ করল।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মেয়েটির প্রতি নির্যাতনের সঙ্গে লালসালু উপন্যাসের মজিদের জমিলার ওপর নির্যাতনের ঘটনার মিল রয়েছে। আমাদের সমাজব্যবস্থায় নারীদের বিভিন্নভাবে শােষণ-নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বিশেষ করে একশ্রেণির স্বার্থপর মানুষ রয়েছে, যারা আপ স্বার্থোদ্ধারের জন্য নারীদের হাতের পুতুলের মতাে ব্যবহার করে।
নারীরা এর প্রতিবাদ করতে গেলেই তাদের ওপর চালায় নির্মম নির্যাতন। ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চেয়েছিল রহিমার মতাে জমিলাও স্বামীর সব আদেশ-নির্দেশ পালন করুক। কিন্তু জমিলা এমনটি না করায় মজিদে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। ধর্মের ভয় দেখিয়ে জমিলাকে শাসন করতে গিয়ে ব্যর্থ হলে মজিদ তাকে সারা রাত অন্ধকার মাজার ঘরের খুঁটির সঙে বেঁধে রাখে।
উদ্দীপকেও নারীর প্রতি অত্যাচার ও নির্যাতনের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। পুরুষদের আধিপত্যের এই সমাজে মেয়েটির আর্তনা কারও কানে যায়নি। মেয়েটি নির্যাতনের শিকার হয়েও বাবুদের কাছে মিনতি করেছিল তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মেয়েটির প্রতি নির্যাতনের সঙ্গে লালসালু উপন্যাসের মজিদ কর্তৃক জমিলার ওপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনার মিল রয়েছে।
সারকথা : নিজের কর্তৃত্ব স্থাপনের জন্য মজিদ জমিলার ওপর অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন করে। ‘লালসালু’ উপন্যাসের এই ঘটনার সঙ্গে উদ্দীপকের মেয়েটির প্রতি নির্যাতনের সাদৃশ্য রয়েছে।
আপনি এই পোষ্টে লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের ঘটনাটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের একটি খণ্ডাংশমাত্র।”- মন্তব্যটি যথার্থ। মানুষ নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য, আপন অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিতেও কুণ্ঠিত হয় না। এসব হীন মানসিকতার মানুষ ধর্মীয় ব্যাপারেও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করে। তারা মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের সুযােগ নিয়ে স্বীয় স্বার্থোদ্ধারের জন্য নারীদেরও বিভিন্নভাবে শােষণ-নির্যাতন করে।
উদ্দীপকে নারীর প্রতি অত্যাচার ও নির্যাতনের চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। মেয়েটির আর্তনাদ ও মিনতি উপেক্ষা করে তারা মেয়েটিকে গ্রামের বাইরে রেখে আসার জন্য টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে চলে। লালসালু’ উপন্যাসে মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী জমিলাও মজিদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
নিজের কর্তৃত্ব স্থাপনের জন্য জমিলার ওপর সে নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে। ধর্মের ভয় দেখিয়ে জমিলাকে শাসন করতে ব্যর্থ হয়ে মজিদ তাকে সারা রাত অন্ধকার মাজারের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে। তবে এই দিকটিই উপন্যাসের একমাত্র দিক নয় ।
উপন্যাসের মূল বিষয়ের বর্ণনায় আমাদের সমাজের এমন একশ্রেণির লােকের কথা এসেছে যারা মানুষের ধর্মবিশ্বাসের সুযােগ নিয়ে নিজেদের স্বার্থোদ্ধার করে। এখানে একে একে উঠে এসেছে সমাজে জেঁকে বসা ধর্মীয় কুসংস্কার, মজিদের ভণ্ডামি, প্রতারণা ও ধর্মব্যবসায়ী মনােভাব ।
‘লালসালু উপন্যাসজুড়েই রয়েছে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দ্বারা সাধারণ মানুষের বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে মজিদের কর্তৃত্ব স্থাপনের সচেষ্টতার দিকটি। বিভিন্ন প্রতিবাদের মুখে মজিদের আধিপত্যের ভিত নড়ে উঠলেও সে নিজেকে সামলে নিয়েছে। উপন্যাসে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর মাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ধর্মব্যবসায়ী মজিদের মুখােশ উন্মােচনের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। উদ্দীপকের ঘটনাটি ‘লালসালু উপন্যাসের একটি খণ্ডাংশ বলেই বিবেচিত হয়েছে। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকে ‘লালসালু’ উপন্যাসে জমিলার প্রতি মজিদের নির্মম নির্যাতনের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু উপন্যাসে এই বিষয়টি তা ছাড়াও ধর্মব্যবসায়ীদের চিত্র বিস্তারিত পরিসরে প্রকাশিত । তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ঘটনাটি ‘লালসালু উপন্যাসের একটি খণ্ডাংশমাত্র ।
আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।