মাধ্যমিক পড়াশোনা

রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

কার জামাটা ময়লা হয়েছে, কে চা খাবে, কখন খালাআম্মাকে ওষুধ খাওয়াতে হবে প্রায় সব কাজ একা সামলায় দশ বছরের ফুলি। বাড়ির সকলের প্রতি তার সমান দায়িত্ব। বাইরের কোনাে মানুষ দেখে বুঝতেই পারবে না যে সে এ বাড়ির কাজের মেয়ে। বাড়ির সবাই তাকে অনেক আদর-যত্নে রেখেছে। ফুলির সামান্য সর্দি-জ্বরে সবাই অস্থির হয়ে ওঠে। ফুলি নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে করে ।

ক. রানারের কাজ কী?

খ. রানারের কাছে পৃথিবীটা কালাে ধোঁয়া’ মনে হয় কেন?

গ. উদ্দীপকের ফুলি’ ও ‘রানার কবিতার রানারের সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের বাড়ির লােকজন যেন রানার কবিতার রচয়িতার চেতনারই ধারক।”- মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ রানারের কাজ হচ্ছে ডাক বহন করা এবং নতুন খবর বয়ে আনা।

খ উত্তরঃ ঘরে অভাবের কারণে রানারের কাছে পৃথিবীটা কালাে ধোঁয়া’ মনে হয়। রানার শ্রমজীবী মানুষ। দায়িত্বের কারণে তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। রাতের ঘুম বিসর্জন দিয়ে রানার ছুটে চলে।

নির্জন রাতে বন্ধুর পথ সে অতিক্রম করে অসীম সাহসিকতায়। রানারের ঘামের চিহ্ন পড়ে থাকে পথের তৃণের উপর। কিন্তু প্রতিদানে রানার তেমন কিছুই পায় না। অভাবের কথা মনে হলে রানারের কাছে পৃথিবীটা কালাে ধোঁয়ার মতাে মনে হয়। 

সারকথা : পরিশ্রমের সঠিক পারিশ্রমিক না পাওয়ায় রানারের অভাব যায় না। সেই অভাবের কথা মনে হলে তার কাছে পৃথিবীটাকে কালাে ধোয়ার মতাে মনে হয় ।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের ফুলি ও ‘রানার কবিতার রানারের সাদৃশ্য রয়েছে দায়িত্ববােধ এবং অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেতনতায়।  জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ নানা রকম কাজ করে। কোনাে কাজই তুচ্ছ নয়। কাজের প্রতি যত্নবান এবং দায়িত্বশীলতাই মানুষকে মর্যাদাবান করে। জগতে শ্রম ও শ্রমের মর্যাদা যত বৃদ্ধি পায়, সভ্যতারও তত অগ্রগতি সাধিত হয়।

See also  মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

উদ্দীপকে বাসার কাজে নিয়ােজিত দশ বছরের এক বালিকার দায়িত্ববােধ, কর্মদক্ষতা এবং তার প্রতি গৃহকর্তার পরিবারের লােকদের। মানবিক আচরণের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে ফুলি রােগীকে ওষুধ খাওয়ানাে, কাপড় কাচা, চা বানানাে প্রভৃতি কাজ করে। বাড়ির সবার প্রতি সে সমান যত্ন ও দায়িত্ববােধ নিয়ে কাজ করে।

এই দায়িত্বশীলতা ও কর্মর্সচেতনার দিকটি ‘রানার’ কবিতার রানারের দায়িত্ববােধ ও কর্মসচেতনতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। রানারও সর্বদা সজাগ থাকে সূর্য ওঠার আগেই খবরের বােঝা নিয়ে শহরে পৌছে যাওয়ার জন্য; নিজে কষ্ট স্বীকার করে কিন্তু দায়িত্বে অবহেলা করে না।

সারকথা : কাজের ধরন ভিন্ন হলেও অর্পিত দায়িত্ব পালনে উদ্দীপকের ফুলি এবং ‘রানার কবিতার রানার পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ। তারা উভয়ই কর্মসচেতন ও দায়িত্বশীল।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের বাড়ির লােকজন যেন ‘রানার কবিতার রচয়িতার চেতনারই ধারক।”- মন্তব্যটি যথার্থ। মানুষ সামাজিক জীব। পারস্পরিক সাহায্য-সহযােগিতার ভিত্তিতেই সমাজ উন্নত ও গতিশীল হয়। সমাজের মানুষ নানা রকম কাজে নিয়ােজিত থাকে। কর্মে দায়িত্ব ও কর্তব্যনিষ্ঠার পরিচয় দিলে সবাই তাকে ভালােবাসে এবং তার সঙ্গে মানবিক আচরণ করে।

উদ্দীপকে বাসা-বাড়ির কাজে নিয়ােজিত ফুলি নামের দশ বছরের এক বালিকার দায়িত্ব সচেতনতা এবং তার প্রতি বাড়ির লােকের সহানুভূতিশীল আচরণের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। এখানে বাড়ির সবার প্রতি দায়িত্বশীল থাকার কারণে সে ঐ বাড়িরই একজন হয়ে উঠেছে। কাজের মেয়ে ফুলির অসুস্থতায় বাড়ির সবাই অস্থির হয়ে ওঠে।

কাজের লােকের প্রতি এই মানবিকতার দিকটি ‘রানার কবিতার রচয়িতার চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ রানার কবিতায় কবি রানারের কষ্টকর জীবনের অবসান এবং তার প্রতি অন্যের সহানুভূতি প্রত্যাশা করেছেন।

রানার কবিতায় কবি রানারের ক্লান্তিকর কষ্টের জীবনে অন্যদের সহানুভূতি যে প্রত্যাশা করেছেন তা উদ্দীপকের বাড়ির লােকদের মধ্যে দেখা যায়। তারা বাড়ির কাজের মেয়ে ফুলির অসুস্থতায় অস্থির হয়ে উঠেছে, তার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছে। রানার কবিতার কবিও অনুরূপ সহানুভূতি প্রত্যাশা করেছেন ক্লান্তিতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাওয়া রানারের জীবনের জন্য। সুতরাং বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : উদ্দীপকে কাজের মেয়ে ফুলির জন্য যে সহানুভূতি বাড়ির লােকেরা দেখিয়েছে, তা ‘রানার’ কবিতার রচয়িতাও রানারের জন্য তা অন্যদের কাছে প্রত্যাশা করেছেন। এই দিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

See also  কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

সভ্যতা গড়েছি আমি শ্রমে আর ঘামে বুনেছি আমার নামে। হে পৃথিবী শােন, পানির দামে বেচেছি আমি শরীরের সব নুন। আমি সেই নিঃস্ব কাতর হতভাগ্য শ্রমিক। আমি চাই, পৃথিবী আমার ঘামের মূল্য দিক।

ক. রানার কিসের বােঝা হাতে নিয়ে চলেছে?

খ. তবু এই টাকাকে যাবে না ছোঁয়া’- কেন?

গ. উদ্দীপকের হতভাগ্য শ্রমিকের সঙ্গে রানার কবিতার যে দিকের সাদৃশ্য আছে তা ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. উদ্দীপকে ব্যক্ত দিক ‘আমি চাই, পৃথিবী আমার ঘামের মূল্য দিক’ রানার কবিতায় প্রতিফলিত হয়নি”- মন্তব্যটি বিচার কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ রানার খবরের বােঝা হাতে নিয়ে চলেছে।

খ উত্তরঃ ‘তবু এই টাকাকে যাবে না ছোঁয়া’– কারণ তা অন্যের টাকা, রানার কেবল তা পৌছে দেওয়ার দায়িত্বে নিয়ােজিত।  রানার কবিতার রানার খবরের বােঝা কঁাধে শহরের পথে ছুটে চলে। তার কাঁধে খবরের সঙ্গে টাকার বােঝাও থাকে। সে জানে যে তার কাছে টাকা আছে। কিন্তু সেই টাকা সে ছুঁয়ে দেখতে পারে না।

অভাবের কারণে তার কাছে পৃথিবীটা কালাে ধোঁয়ার মতাে মনে। হয় । তবু সে ছুটে চলে। পথে দস্যু অপেক্ষা সূর্য ওঠার ভয় তার কাছে বেশি। ভাের হওয়ার আগেই তাকে সেসব চিঠি আর টাকার বােঝা শহরের মানুষের কাছে পৌছে দিতে হবে। রানার অক্লান্ত পরিশ্রম করে। অথচ তার পারিশ্রমিক অতি সামান্য। সেই সামান্য টাকায় তার জীবনের সব রাত মালিক-মহাজনরা কিনে নিয়েছেন।

 সারকথা : রানারের পিঠে টাকার বােঝা থাকা সত্ত্বেও সে তা ছোঁবে না। কারণ সেই টাকা তার নয়। সে কেবল তা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে নিয়ােজিত।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের হতভাগ্য শ্রমিকের সঙ্গে রানার কবিতার রানারের কর্মক্লান্ত অভাবী জীবনের সাদৃশ্য রয়েছে।

পৃথিবীজুড়েই শ্রমজীবীরা নানাভাবে শােষিত ও বঞ্চিত। তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সামান্য বেতন পায়। অথচ এসব নিম্নশ্রেণির শ্রমজীবীর শ্রমেই দেশ এগিয়ে যায়। এদের শ্রমের ওপর দেশের উন্নতি নির্ভর করে।

উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি শ্রমজীবীদের শ্রমের উপযুক্ত মূল্য ও মর্যাদার কথা বলেছেন। তিনি শ্রমজীবীদের ন্যায্য পাওনা পরিশােধের দাবি করেছেন। কারণ নিম্নশ্রেণির শ্রমজীবীরাই সভ্যতার নির্মাতা। তাদের ঘাম জড়ানাে পরিশ্রমেই সভ্যতার উন্নতি ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

উদ্দীপকের কবিতাংশের কবির এই প্রত্যাশা রানার কবিতায় প্রতিফলিত নিম্ন আয়ের চাকরিজীবী রানারের জীবনের পরিবর্তন প্রত্যাশার সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা। উদ্দীপকে শ্রমজীবীদের যে দুঃখ, যন্ত্রণা এবং শ্রমের মূল্য ও মর্যাদা না পাওয়ার কথা বলা হয়েছে এ বিষয়টি রানার’ কবিতার রানারের কর্মক্লান্ত অভাবী জীবনের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। উদ্দীপক ও কবিতা উভয় স্থানেই শ্রমিকরা বনার শিকার।

See also  পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সারকথা : ‘রানার কবিতায় রানার অক্লান্ত পরিশ্রম করে। দায়িত্ব পালনে রানার সর্বদা তৎপর। অথচ তার সেই শ্রমের উপযুক্ত মূল্য সে পায় না ! এ দিকটি উদ্দীপকেও প্রতিফলিত হয়েছে। যা রানারের জীবনের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

আপনি এই পোষ্টে রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকে ব্যক্ত দিক ‘আমি চাই, পৃথিবী আমার ঘামের মূল্য দিক’ ‘রানার’ কবিতায় প্রতিফলিত হয়নি”- মন্তব্যটি যথার্থ।  পৃথিবীতে কেউ কাউকে অধিকার দেয় না। অধিকার আদায় করে নিতে হয়। শ্রমজীবীরা তাদের ন্যায্য অধিকার দাবি করলে মালিক মহাজনেরা অবশ্যই তা দিতে বাধ্য। অথচ কর্ম হারানাের ভয়ে তারা তা করে না।

উদ্দীপকের কবিতাংশের কবি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির কথা বলেছেন। এখানে তিনি শ্রমিকদের ঘামের মূল্য প্রত্যাশার দিকটি তুলে ধরেছেন। পৃথিবীজুড়ে শ্রমিকদের যেভাবে ঠকানাে হচ্ছে সেই দিক বিবেচনা করে কবি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

উদ্দীপকের কবির এই অবস্থান এবং রানার কবিতার রানারের অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে কবির অবস্থান সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে উদ্দীপকে শ্রমিক যেমন তার অধিকার পেতে চায় রানার কবিতায় রানার তা পেতে চায় না। কারণ রানারের জীবনের সমস্ত রাত যারা স্বল্প মূল্যে কিনে নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সে দাঁড়াতে চায় না। তাই সে ক্ষুধায় ক্লান্ত হয়েও প্রতিবাদ করে না, ন্যায্য মজুরি দাবি করতে পারে না।

‘রানার কবিতার রানার শ্রমজীবী নিম্নশ্রেণির মানুষের প্রতিনিধি। সে অসাম্যের, অমানবিকতার শিকার। তার জীবনের সমস্ত দুঃখ কালাে রাতের খামে ঢাকা থাকে। উদ্দীপকে শ্রমিকদের ক্ষেত্রে তা প্রযােজ্য নয়। তারা পৃথিবীর কাছে তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য দাবি করে। রানার কবিতার রানার তা করে না। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : রানার কবিতায় রানার সামান্য বেতনভুক্ত কর্মচারী হলেও অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করে যায়। অথচ তার ন্যায্য পাওনা দাবি করে না। অন্যদিকে উদ্দীপকের শ্রমিক তার ন্যায্য পাওনা দাবি করে। উভয় স্থানেই কর্মক্লান্ত জীবনের কথা রয়েছে। এই দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ !

আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button