বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২
অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
Article Intro
বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
পরের মুখে শেখা বুলি পাখির মতাে কেন বলিস? পরের ভঙ্গি নকল করে নটের মতাে কেন চলিস? তাের নিজস্ব সর্বাঙ্গে তাের দিলেন ধাতা আপন হাতে মুছে সেটুক বাজে হলি, গৌরব কি বাড়ল তাতে? আপনারে যে ভেঙে চুরে গড়তে চায় পরের ছাঁচে অলীক, ফঁাকি, মেকি সেজন, নামটা তার কদিন বাঁচে?
ক. বঙ্গবাণী’ কবিতাটি কোন শতকে রচিত?
খ. হিন্দুর অক্ষর’ বলে বাংলাকে হিংসা করে কারা? বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকে যে ব্যক্তিসত্তার পরিচয় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে কবির অভিমত কী? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার মর্মবাণীকেই যেন ধারণ করে আছে।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর ।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ‘বঙ্গবাণী’ কবিতাটি সতেরাে শতকে রচিত হয়েছে।
খ উত্তরঃ ধর্ম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান না থাকায় মারফতে জ্ঞানহীনরা বাংলাকে ‘হিন্দুর অক্ষর’ মনে করে হিংসা করত।
সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর সব মানুষের ভাষাই বােঝেন। বিশেষ কোনাে ভাষার প্রতি তার পক্ষপাতিত্ব নেই। কাজেই তাকে পাওয়ার জন্য কোনাে বিশেষ ভাষায় সাধনা বা আরাধনার প্রয়ােজন নেই। এ বােধ যাদের নেই তারাই মারফতে জ্ঞানহীন । তারা মনে করে বাংলা ভাষার আদি উৎস বৈদিক ভাষা। আর বৈদিক ভাষা হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ বেদের ভাষা।
তাই বাংলা ভাষা প্রকারান্তরে হিন্দুর ভাষা । এই মারফতে জ্ঞানহীনরা হিন্দুর অক্ষর’ বলে বাংলাকে হিংসা করে। ম সারকথা : কোনাে ধর্মেই কোনাে বিশেষ ভাষায় প্রার্থনা করাকে স্রষ্টার নৈকট্য লাভের উপায় বলে নির্দেশ করেনি। তিনি সব মানুষের সব ভাষাই বােঝেন। কিন্তু জ্ঞানহীনরা তা বিশ্বাস করেন না।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে যে ব্যক্তিসত্তার পরিচয় পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে কবির অভিমত হচ্ছে তারা স্বদেশ ত্যাগ করে যেন বিদেশে চলে যায়। পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা নিজের রীতি-নীতি, সংস্কৃতি নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তারা সংকীর্ণচিত্ত বলে হীনম্মন্যতায় ভােগে।
তারা নিজের ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, পােশাক, রীতি-নীতি বর্জন করে অন্যকে অনুকরণে গৌরববােধ করে। তারা বুঝতে পারে । না যেকোনাে কৃত্রিমতাই গর্বের বস্তু বা বিষয় নয়। উদ্দীপকে পরের ভাষা-সংস্কৃতি অনুকরণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এখানে নিজের সমস্ত কিছু বর্জন করে পরের চালে চলে বাজে সাজার বিষয়টি নির্দেশ করা হয়েছে।
উদ্দীপকের কবিতাংশের কবি বলেছেন, যে নিজেকে ভেঙেচুরে পরের ছাঁচে নিজেকে গড়তে চায়, তা সত্য নয়, তা অলীক, কল্পনার মতাে মিথ্যা। এই বিষয়টি ‘বঙ্গবাণী’ কবিতায়ও প্রতিফলিত। স্বদেশের ভাষার প্রতি বিরাগভাজনদের স্বদেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যাওয়ার পরামর্শের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
কারণ যারা স্বজাতির ভাষাকে ও স্বদেশকে ঘৃণা করে তাদের এদেশে থাকার অধিকার নেই। যারা স্বভাষায় সাহিত্য রচনাকে লজ্জার বিষয় মনে করে, কবি তাদের জন্ম নিয়ে সন্দিহান। তাদেরকে কবি ধিক্কার জানিয়েছেন।
সারকথা : উদ্দীপকে অন্যের সংস্কৃতি অনুকরণ করে নকল মানুষ সাজাকে কবি ঘৃণা করেন। আলােচ্য কবিতায়ও স্বকীয়তা পরিহার করে যারা অন্যের অনুকরণ দ্বারা আভিজাত্য সন্ধান করে কবি তাদের ঘৃণা করেন।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকটি বঙ্গবাণী’ কবিতার মর্মবাণীকেই যেন ধারণ করে আছে।” মন্তব্যটি যথার্থ । স্বদেশের ভাষা-সংস্কৃতির প্রতি মানুষের অনুরাগ থাকা উচিত। কারণ তা একটি জাতিসত্তার পরিচয় বহন করে। অথচ এমন অনেকে আছে যারা নিজ দেশ, দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যকে অবজ্ঞা করে এবং বিজাতীয় ভাষা-সংস্কৃতির প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখায়।
এসব লােকের পরিণাম খুব ভয়াবহ হয়। তারা শিকড়শূন্য পরগাছা সদৃশ। উদ্দীপকে অন্যের অনুকরণ করতে গিয়ে নিজের অস্তিত বিলীন করে ফেলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে একান্ত নিজস্বতা পরিহার করে কৃত্রিম বস্তুতে অনুরাগী হয়ে মিথ্যা গৌরববােধ করাকে নিন্দা করা হয়েছে।
এই বিষয়টি ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কবির অভিমতের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কবিও স্বদেশের ভাষা-সংস্কৃতির প্রতি অবজ্ঞাকারীদের দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাদের জন্ম নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। কবিতায় কবি তাঁর স্বদেশ ও স্বভাষার প্রতি যে অনুরাগ দেখিয়েছেন, অনুরূপ অনুরাগ থেকেই উদ্দীপকের কবি পরানুকরণকে ঘৃণা করেছেন। তাতে যে গৌরব বাড়ে না তা বােঝাতে চেয়েছেন।
উদ্দীপকে বঙ্গবাণী’ কবিতার মতাে স্বদেশের ভাষা-সংস্কৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালােবাসা প্রকাশ পেয়েছে। আর যারা বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করে তাদের প্রতি ক্ষোভের প্রকাশও উভয় ক্ষেত্রে এক ও অভিন্ন। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ ।
সারকথা : অন্যের অনুকরণ ও কৃত্রিম অর্জন কখনাে গৌরবের বিষয় হতে পারে না। কারণ নিজস্ব যা কিছু তা অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে থাকে। । আর বাইরে থেকে যা গ্রহণ করা হয় তা বাইরেই থাকে; তা হৃদয়ের বা মনের তুষ্টি সাধন করতে পারে না। উদ্দীপক ও বঙ্গবাণী’ কবিতায় অভিন্নভাবে এ সত্যই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
আমাদের বাড়ি নােয়াখালি হলে কী হবে কখনও আমাদের নােয়াখালি যাওয়া হয়নি। মার দেশ ছিল কুমিল্লা। ভাগ্য ভালাে আব্বা বাড়িতে নােয়াখালির আঞ্চলিক ভাষা মিলিয়ে কথা বলতেন। বাবার কথাবার্তা এবং দেশের বাড়ি থেকে যে আত্মীয়স্বজন, লােকজন আসত, ওদের কাছ থেকেই নিজের জেলার আঞ্চলিক ভাষাটা একটু শিখতে পেরেছি। নিজের জেলার ভাষা না জানলে কী লজ্জার ব্যাপার হতাে না? এমনিতেও ভাষার প্রতি আমার একটু দুর্বলতা আছে। আমার বড় ইচ্ছে হয়, আহা! আমি যদি সব অঞলের ভাষা বলতে পারতাম, তবে কী ভালােই না হতাে।
ক. আপে’ শব্দের অর্থ লেখ।
খ. নিজ দেশ তেয়াগী কেন বিদেশ ন যায়”- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি বঙ্গবাণী’ কবিতার কোন দিকটিকে নির্দেশ করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব এবং বঙ্গবাণী’ কবিতার মূলভাব একসূত্রে গাঁথা”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ আপে’ শব্দের অর্থ স্বয়ং, আপনি।
খ উত্তরঃ স্বদেশ ও মাতৃভাষার প্রতি যাদের বিন্দুমাত্র অনুরাগ নেই কবি তাদেরকে আলােচ্য কথাটি বলেছেন।
বাংলাদেশ মাতৃভূমি হলেও কিছু কূপমণ্ডুক ব্যক্তি বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করে। বিদেশি ভাষা ও বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রতি তারা আগ্রহী। অন্যদিকে বাংলা ভাষার প্রতি তাদের কোনাে আগ্রহ ও মমতা নেই। কবি এ শ্রেণির মানুষকে নিজ দেশ ত্যাগ করে বিদেশে চলে যেতে বলেছেন।
” সারকথা : স্বদেশ ও মাতৃভাষার প্রতি অনুরাগ না থাকার কারণে কবি তাদের নিজ দেশ ত্যাগ করে বিদেশে যেতে বলেছেন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার নিজের মাতৃভাষার প্রতি গভীর অনুরাগের দিকটিকে নির্দেশ করেছে। ০ মানুষের আত্মপ্রকাশের সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে তার মাতৃভাষা। মাতৃভাষার মাধ্যমেই মানুষের বিকাশ ঘটে। মানুষের চিন্তা-চেতনা,
সাধনা, মত প্রকাশ, ভাব বিনিময় ইত্যাদি বিষয় সুন্দর ও সার্থকতা লাভ করে মাতৃভাষার মাধ্যমে। উদ্দীপকে মাতৃভাষা বাংলার আঞ্চলিক রূপের প্রতি অনুরাগের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে লেখক নিজের অঞ্চলের ভাষা না জানাকে লজ্জার বিষয় মনে করেছেন।
লেখক যতটুকু আয়ত্ত করেছেন তাতেই আত্মতৃপ্তি পেয়েছেন। সেই সঙ্গে এদেশের সব অঞলের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলার ইচ্ছাপােষণ করেছেন। উদ্দীপকের লেখকের হৃদয়ের এই অভিব্যক্তি স্বভাষা তথা মাতৃভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালােবাসার প্রকাশ। বঙ্গবাণী’ কবিতায়ও কবি বাংলা ভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি এ ভাষায় কাব্য রচনাকে সাধারণ মানুষের কল্যাণের কাজ মনে করেছেন। আর যারা এদেশে জন্মগ্রহণ করেও নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে। অবহেলা করে হিন্দুর বাণী’ বলে নিন্দা করে তাদেরকে তিনি এ দেশ ছেড়ে অন্য কোনাে দেশে চলে যেতে বলেছেন। কবি তাদের জন্মকে কটাক্ষ করে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন; যার মধ্য দিয়ে তার মাতৃভাষাপ্রীতিই প্রকাশ পেয়েছে।
সারকথা : পৃথিবীতে সব জাতি-গােষ্ঠীর মানুষের কাছেই তার মাতৃভাষা অত্যন্ত প্রিয়। মাতৃভাষার মাধ্যমেই তারা মনের ভাব প্রকাশ করে।
আপনি এই পোষ্টে বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের মূলভাব এবং বঙ্গবাণী’ কবিতার মূলভাব একসূত্রে গাঁথা”- মন্তব্যটি যথার্থ । মাতৃভাষা সবার কাছে অত্যন্ত পবিত্র। জন্মের পর শেখা মাতৃভাষা মানুষের মানসিক বিকাশের প্রধান মাধ্যম। পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষ ও জাতিই তার মাতৃভাষাকে নিয়ে গর্ববােধ করে।
‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় কবি আবদুল হাকিম বাংলা ভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ ও ভালােবাসা প্রকাশ করেছেন। তিনি মাতৃভাষায় কাব্যচর্চাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন। মাতৃভাষাকে যারা অবহেলা ও অবজ্ঞা করে, তাদের প্রতি কবি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। কারণ কবি মনে করেন, যে ভাষা সবার বােধগম্য সেই মাতৃভাষাই মানুষের জন্য হিতকর এবং তার প্রতি সবার শ্রদ্ধা থাকা উচিত।
উদ্দীপকের লেখকের উক্তিতে ভাষার প্রতি এই শ্রদ্ধার প্রকাশ লক্ষ করা যায়। সেখানে সাধারণ মানুষের মুখের আঞ্চলিক ভাষা না জানাকে অসম্মানের এবং জানাকে সম্মানের বিষয় হিসেবে নির্দেশ করা হয়েছে। নিজের জেলার ভাষা না জানাকে লজ্জার বিষয়। হিসেবে উল্লেখ করার মধ্যেই তার স্বভাষানুরাগের বিষয়টি স্পষ্ট।
বঙ্গবাণী’ কবিতায় কবি বাংলা ভাষার জয়গান করেছেন। অন্য কোনাে ভাষার প্রতি তার কোনাে ক্ষোভ নেই। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাদের প্রতি, যারা এদেশে জন্মগ্রহণ করে এদেশের মানুষের ভাষা, তথা মাতৃভাষা বাংলাকে ঘৃণা করে এবং এ ভাষায় সাহিত্য রচনা করতে অনীহা প্রকাশ করে।
কবি তাদেরকে এদেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে বলেছেন। কবির এই অনুরাগ এবং ভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা উদ্দীপকের লেখকের চেতনাতেও প্রকাশ পেয়েছে। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকে মাতৃভাষাপ্রীতির দিকটি আঞ্চলিক ভাষা আয়ত্ত করার অনুরাগের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, যা আলােচ্য কবিতার মূলভাবের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা।
আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।