মাধ্যমিক পড়াশোনা

বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

১৯২৩ সালের ১৪ এপ্রিল নজরুলকে আলীপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে হুগলি জেলে স্থানান্তর করা হয়। আলীপুরে নজরুল ছিলেন বিশেষ শ্রেণির কয়েদি। জেলখানার ভেতর অকথ্য নির্যাতন আর বৈষম্যের শিকার হয়ে এখানেও নজরুল বিদ্রোহ শুরু করলেন, শুরু করলেন আন্দোলন। পায়ে ডান্ডাবেড়ি, ভাতের বদলে মাড়ভাত ও রাজবন্দিদের নির্যাতন, এসব বন্ধের দাবিতে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২৩ সালের ১৪ এপ্রিল হুগলি জেলে বসে অনশন ধর্মঘট শুরু করেন।

ক. ফরিদপুর জেলে বসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কয়টি চিঠি লিখেছিলেন?

খ. যেকোনাে মুহূর্তে মৃত্যুর শান্তি-ছায়ায় চিরদিনের জন্য স্থান পেতে পারি।’— কথাটি কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। 

গ. উদ্দীপকে ‘বায়ান্নর দিনগুলাে রচনার যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে নির্দেশিত দিকটি বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় একটি বিশেষ তাৎপর্য লাভ করেছে।”- বিশ্লেষণ কর। 

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর

ক উত্তরঃ ফরিদপুর জেলে বসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চারটি চিঠি লিখেছিলেন।

খ উত্তরঃ ‘যেকোনাে মুহূর্তে মৃত্যুর শান্তি-ছায়ায় চিরদিনের জন্য স্থান পেতে পারি।’- কথাটি অনশনের ফলে শরীরের অবস্থা বােঝানাে প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। ‘বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জেলজীবনের অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করেছেন। তিনি পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর অত্যাচার-শােষণ থেকে, এদেশের মানুষকে রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন।

তাই শাসকগােষ্ঠীর অপশাসন এবং রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। অনশনের ফলে তার শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। পাঁচ-ছয় দিন পরে তিনি বিছানা থেকে ওঠার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। এর মধ্যে ভাষা আন্দোলনে ছাত্রদের গুলি করে হত্যা, নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার নির্যাতনের খবর শুনে তিনি আরও কষ্ট পান। সিভিল সার্জন এসে তাদের পরীক্ষা করে মুখ কালাে করে বেরিয়ে যান। তিনি বুঝতে পারেন তার মৃত্যু খুব কাছে চলে এসেছে। এ কথা ভেবেই তিনি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন।

সারকথা : ফরিদপুর জেলে অনশন ধর্মঘট করার সময় শেষের দিকে শরীরের অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশ্নোক্ত কথাটি মনে হয়েছে।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকে বায়ান্নর দিনগুলাে রচনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলজীবনের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাসক-শােষকদের অনেক অন্যায়-নির্যাতন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। তাতে তিনি দমে যাননি।

See also  বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর অত্যাচার-শােষণ থেকে এদেশের মানুষকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। নিজের জীবন দিয়ে হলেও বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। | বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলজীবনের একটা অংশ প্রতিফলিত হয়েছে।

তিনি ১৯৫২ সালে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে রাজবন্দি ছিলেন। সেখানে তিনি শাসকগােষ্ঠীর অপশাসন এবং রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে অনশন ধর্মঘট শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় তাকে ঢাকা সেন্ট্রাল থেকে ফরিদপুর জেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে মহিউদ্দিন আহমদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি আমরণ অনশন ধর্মঘট শুরু করেন।

এ দিকটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে। উদ্দীপকেও কাজী নজরুল ইসলামের জেলজীবন এবং জেলখানায় তার অনশন ধর্মঘট পালনের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯২৩ সালের ১৪ এপ্রিল তাকে আলীপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে একজুন সাধারণ বন্দি হিসেবে হুগলি জেলে স্থানান্তর করা হয়।

জেলখানার ভেতরে নজরুলও অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন, শাসকগােষ্ঠীর নির্যাতন-বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। দাবি আদায়ের জন্য তিনিও সেখানে অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। এভাবে উদ্দীপকে বায়ান্নর দিনগুলাে রচনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলজীবনের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।

সারকথা : বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনায় উল্লিখিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলজীবন এবং অনশন ধর্মঘট পালনের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকে নির্দেশিত দিকটি ‘বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনায় একটি বিশেষ তাৎপর্য লাভ করেছে।”- মন্তব্যটি যথার্থ ।

যুগে যুগে দেশপ্রেমিক মহান ব্যক্তিরা স্বদেশের স্বাধীনতা ও শােষণমুক্ত সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তারা শাসক-শােষকদের অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ করেছেন। মানুষের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তারা দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতেও পিছপা হননি।

উদ্দীপকে রাজবন্দিদের ওপর অন্যায়-অত্যাচার-নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ করার কথা বলা হয়েছে। এখানে জেলখানায় থেকেও কাজী নজরুল ইসলাম অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। অন্যায়ের প্রতিকার এবং বন্দিদের মুক্তির দাবিতে তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন।

মানুষের অধিকার রক্ষার দাবিতে তার এ অনশন বায়ান্নর দিনগুলাে রচনার শাসকগােষ্ঠীর অপশাসন রােধ করা এবং রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনশন একসূত্রে গাঁথা। উভয় ক্ষেত্রেই সংগ্রামী চেতনার অভিন্নতা প্রকাশ পেয়েছে।

বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে উদ্দেশ্যে জেলখানায় অনশনের প্রস্তুতি নেন এবং অনশন শুরু করেন অনুরূপ উদ্দেশ্য উদ্দীপকের কাজী নজরুল ইসলামের অনশন ধর্মঘটেও প্রকাশ পেয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল জেল থেকে ফরিদপুর জেলে পাঠালেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্দোলন ও অনশনকে যেমন ঠেকাতে পারেনি তেমনই উদ্দীপকেও কাজী নজরুল ইসলামের অনশন তারা বন্ধ করতে পারেনি।

এভাবে উদ্দীপকে নির্দেশিত দিকটি বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনার একটি বিশেষ তাৎপর্য লাভ করেছে। তবে তা রচনার পূর্ণ প্রতিফলন নয়।

See also  তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সারকথা : উদ্দীপকের বিদ্রোহ চেতনা বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনার একটি বিশেষ দিককে নির্দেশ করেছে। তবে তা রচনার পুরাে বিষয়কে প্রতিফলিত করে না। সুতরাং মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

আমি বর্ণমালা হাতে নিয়ে দেখি তার ছয়টি অক্ষর দেশে দেশে, সভায়, সম্মেলনে, জাতিসঙ্ঘের সদর দরজায় কখন যে হয়ে গেছে বাঙালির নাম, সবখানে বলেছি, এই যে বাঙালি আমি, কখন যে হয়ে গেছে বাংলার সজল আকাশ হয়ে গেছে তেরাে শত নদী; আমার পরিচয়পত্র শেখ মুজিবর, এই ছয়টি অক্ষর, আর কোনাে পরিচয় নেই। এই ছয়টি অক্ষর আমি বুকে গেঁথে নিয়ে, কোথায় না গেছি

ক, কত সালের ইলেকশনে লেখক ফরিদপুরে ওয়ার্কার ইনচার্জ ছিলেন? |

খ. ‘এদের কথা হলাে মরতে দেবে না। লেখক কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি বায়ান্নর দিনগুলাে রচনার কোন দিকটিকে নির্দেশ করেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের মূলভাবে বায়ান্নর দিনগুলাে রচনার লেখকের প্রতি মানুষের গভীর ভালােবাসার প্রতিফলন ঘটেছে।”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ ১৯৪৬ সালের ইলেকশনে লেখক ফরিদপুরে ওয়ার্কার ইনচার্জ ছিলেন ।

খ উত্তরঃ ফরিদপুর জেলে অনশন করার সময় লেখককে খাওয়ানাের জন্য জেল কর্তৃপক্ষের বাড়াবাড়ি প্রসঙ্গে লেখক এ কথা বলেছেন।  বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় ফরিদপুর জেলখানায় অনশন ধর্মঘট শুরু করার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহিউদ্দিন আহমদের স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি হলে তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানে কারা-কর্তৃপক্ষ জোর করে নাক দিয়ে তাদের খাওয়াতে আরম্ভ করে। দুই-তিনবার নাকে নল দেওয়ার পরেই লেখকের নাকে ঘা হয়ে যায়। রক্ত আসে, যন্ত্রণা হয় বলে লেখক আপত্তি জানালেও জেল কর্তৃপক্ষ শােনে না। তারা হ্যান্ডকাফ পরানাের লােকজন নিয়ে আসে। বাধা দিলে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে জোর করে খাওয়াবে । তাদের এ ধরনের কলাকৌশল ও জবরদস্তি দেখে লেখক প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন।

সারকথা : নাকের ভিতর নল দিয়ে বিশেষ কায়দায় পেটে তরল খাবার পাঠানাের পদ্ধতি ও জেল কর্তৃপক্ষের বাড়াবাড়িতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনার বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের গভীর অনুরাগ ও ভালােবাসার দিকটিকে নির্দেশ করেছে।

একজন দেশপ্রেমিক নেতা জাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তার যােগ্য নেতৃত্বের ওপর একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। তিনি জাতির মুক্তি, উন্নতি ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পিছপা হন না। উদ্দীপকের কবিতাংশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর ভালােবাসা প্রকাশ পেয়েছে।

কবি এখানে একজন আপসনহীন সংগ্রামী নেতার প্রতি যথাযােগ্য মর্যাদা প্রদানে তার আবেগ তুলে ধরেছেন। তিনি বাংলা বর্ণমালা থেকে ছয়টি অক্ষরে লেখা একটি নাম বাঙালির নাম হয়ে ওঠার কথা বলেছেন। সেই নাম নিয়ে কবি দেশে দেশে, সভায়, সম্মেলনে, জাতিসংঘে যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই সম্মানিত হয়েছেন।

See also  পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

কবির আত্মপরিচয় গঠনে এ নামের অবদানের কারণে তিনি তার গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। উদ্দীপকের কবির এ অনুরাগ ও ভালােবাসা বায়ান্নর দিনগুলাে রচনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি দেশের আন্দোলনরত ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষের ভালােবাসার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

রচনায় ‘শেখ মুজিবের মুক্তি চাই’ বলে জেলগেটে ছাত্র-ছাত্রীদের স্লোগান দেওয়া, তার সঙ্গে সিভিল সার্জন, ডাক্তার, জেল কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতাপূর্ণ আচরণ প্রভৃতি লক্ষ করা যায়। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকটি আলােচ্য রচনার ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের গভীর অনুরাগ ও ভালােবাসার দিকটিকে নির্দেশ করে।

সারকথা : উদ্দীপকের কবিতাংশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি কবির যে গভীর ভালােবাসা প্রকাশ পেয়েছে তা বায়ান্নর দিনগুলাে তা রচনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভালােবাসার দিকটিকে নির্দেশ করেছে।

আপনি এই পোষ্টে বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের মূলভাবে ‘বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনার লেখকের প্রতি মানুষের গভীর ভালােবাসার প্রতিফলন ঘটেছে।”- মন্তব্যটি যথার্থ । যুগে যুগে বিদেশি শাসন-শােষণের বেড়াজাল থেকে মুক্তির জন্য বাঙালি আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। তারা আন্দোলন করে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করেছে।

অবশেষে যােগ্য নেতার নেতৃত্বে সংগ্রাম করে তারা স্বাধীনতা অর্জন করেছে। উদ্দীপকে বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর ভালােবাসা প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপকের কবিতাংশের কবি নিজে একজন বাঙালি হিসেবে যে পরিচয় অর্জন করেছেন, মর্যাদালাভ করেছেন, তার নেপথ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছয় অক্ষরের একটি নামের। সেই নাম বাঙালির আত্মপরিচয়ের সঙ্গে এক হয়ে আছে।

সেই নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এখানে কবির যে অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে তা বায়ান্নর দিনগুলাে রচনার লেখকের প্রতি মানুষের গভীর ভালােবাসার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সালে তাঁর জেলজীবনের স্মৃতিচারণ করেছেন।

তিনি জেলখানায় অনশন ধর্মঘট শুরু করলে সিভিল সার্জন, ডাক্তার, জেল কর্তৃপক্ষ তাকে আন্তরিকভাবে অনুরােধ করে অনশন না করতে। তার মুক্তির জন্য জেলগেটে ছাত্র-ছাত্রীরা ‘শেখ মুজিবের মুক্তি চাই’ বলে স্লোগান দিয়েছে। কারণ সাধারণ মানুষ তাকে প্রচণ্ড ভালােবাসত। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালােবাসতেন। ফলে এদেশের মানুষও তাঁকে অন্তর দিয়ে ভালােবাসত।।

আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button