উচ্চ মাধ্যমিক

নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

বাড়ছে নারীপ্রধান পরিবার, কমছে পুরুষের প্রাধান্য। দেশে নারী ক্ষমতায়নের ভিত মজবুত হচ্ছে। সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। পরিবারেও বেড়েছে তাদের গুরুত্ব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নারীপ্রধান পরিবারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবারের প্রধান হচ্ছেন নারী।

অন্যদিকে পরিবার প্রধান হিসেবে কমছে পুরুষের হার। আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির সঙ্গে নারী-পুরুষের সমতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এটি তারই উদাহরণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরাের (বিবিএস) রিপাের্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসস্টিকস-২০১৯-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

ক. নিমপাতা কিসের সঙ্গে রান্না করা হয়?

খ. ‘শিকড় অনেক দূরে চলে গেছে’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

গ. উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সঙ্গে কোন দিক থেকে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘নিমগাছ’ গল্পের মূলভাব পরস্পর বিপরীতমুখী।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ নিমপাতা বেগুনের সঙ্গে রান্না করা হয়।

খ উত্তরঃ ‘শিকড় অনেক দূরে চলে গেছে’– কথাটি দ্বারা প্রতীকী অর্থে লেখক লক্ষ্মী বউটির পারিপার্শ্বিক প্রতিবন্ধকতার দিকটি বােঝানাে হয়েছে। তাই বাড়ির পাশের নিমগাছটির প্রশংসা করায় তার ইচ্ছে করে লােকটির সঙ্গে তার চলে যেতে। কিন্তু গাছটি তা পারে না, কারণ গাছ বড় হয়ে গেলে তার শিকড় মাটির অনেক দূর চলে যায়।

গল্পে নিমগাছের মধ্য দিয়ে একজন নারীর পারিপার্শ্বিক অবস্থা বােঝানাে হয়েছে। একজন নারী সংসারজীবনে পদার্পণ করার পর তার যতই ইচ্ছে করুক না কেন সেসব ছেড়ে সে চলে যাবে, কিন্তু সে তা পারে না। কারণ পারিপার্শ্বিক অবস্থা, সাংসারিক বন্ধনে সে আবদ্ধ হয়ে যায়। আলােচ্য উক্তিটিতে নারীর সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক প্রতিবন্ধকতার দিকটি প্রকাশ করা হয়েছে প্রতীকী অর্থে।

See also  তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর pdf সহ

সারকথা : ‘শিকড় অনেক দূরে চলে গেছে’- কথাটি দ্বারা প্রতীকী অর্থে লেখক লক্ষ্মী বউটির পারিপার্শ্বিক প্রতিবন্ধকতার দিকটি বােঝানাে হয়েছে।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সঙ্গে নারীর প্রতি সম্মান ও অধিকার দানের দিক থেকে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। পুরুষশাসিত সমাজে নারীদের মূল্যায়ন করা হয় না। সমাজ-সংসারে তারা নানাভাবে পুরুষের অবহেলা ও অমর্যাদার শিকার হয়।

উদ্দীপকে নারীর অধিকার ও আত্মমর্যাদার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। বর্তমানে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে নারীপুরুষের সমতার দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে নারীর সামাজিক অবস্থান, পরিবারের কর্তৃত্ব ও আত্মমর্যাদার যে দিকটি তুলে ধরা হয়েছে তা নিমগাছ’ গল্পে প্রতিফলিত নারীর প্রতি অবহেলা ও অমর্যাদার দিকটির সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ এ গল্পে নিমগাছ প্রতীকে গৃহকর্ম-নিপুণা লক্ষ্মীবউটির প্রতি পরিবারের লােকদের চরম অবহেলা ও অমর্যাদা প্রকাশ পেয়েছে। সংসারে তার অবদানকে অস্বীকার করা হয়েছে।

সারকথা : উদ্দীপকে নারীর মর্যাদা এবং ‘নিমগাছ’ গল্পে নারীর প্রতি অবহেলা ও অমর্যাদার বিষয়টি পরস্পর বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘নিমগাছ’ গল্পের মূলভাব পরস্পর বিপরীতমুখী।”- মন্তব্যটি যথার্থ। 

নারীর প্রতি পুরুষের অবহেলা ও অমর্যাদা কমে এসেছে। বর্তমানে নারীরা তাদের অধিকার বুঝে নিয়ে অবদান রেখে চলেছে। উদ্দীপকে নারীর অধিকার সচেতনতা এবং পুরুষের মতাে সমাজ-পরিবারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের যােগ্যতা অর্জনের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এ দিকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।

উদ্দীপকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরাের একটি রিপাের্টে নারীর উন্নতি, অগ্রগতি এবং পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে তাদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। আর গল্পে নারীর অবদানকে অস্বীকার করা হয়েছে। বর্তমানে নারীর অবস্থানের বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিমগাছ’ গল্পের লক্ষ্মীবউটির।

‘নিমগাছ’ গল্পে লেখক নিমগাছের প্রতীকে বাঙালি সমাজে নারীর মূল্যহীন অবস্থান এবং স্বাধীনতার কথা বলেছেন। এ ক্ষেত্রে উদ্দীপকের নারীরা মর্যাদাবান ও স্বাধীন। গল্পে লক্ষ্মীবউটির যে জীবন-যন্ত্রণ প্রকাশ পেয়েছে তা উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : উদ্দীপকে নারীর মর্যাদার যে দিক তুলে ধরা হয়েছে। নিমগাছ’ গল্পে নারীর প্রতি বিপরীতমুখী। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

See also  সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

দ্বিপ্রহরিক বিশ্রামটুকুও আজ স্বপ্নর জোটেনি। প্রতিদিন যেমন হেঁসেল সামলে, ঘরদোর গুছিয়ে, কাচাকুচি সেরে, নাওয়া-খাওয়া শেষ করতে বেলা গড়িয়ে যায়, আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এখন আবার খেয়ে উঠেই উনােন ধরাতে বসেছে। 

ক. নিমগাছের থােকা থােকা ফুলকে কেমন লাগে?

খ. ‘কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে’- এ কথা দ্বারা লেখক কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের স্বপ্ন নিমগাছ’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিরূপ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের চিত্রটি ‘নিমগাছ’ গল্পের শেষ বাক্যের সুদূরপ্রসারী ও বৈচিত্র্যময় তাৎপর্যকে উপস্থাপন করেছে।” মন্তব্যটি যথার্থ ।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ নিমগাছের থােকা থােকা ফুলকে নক্ষত্রের মতাে লাগে।

খ উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত কথাটি দ্বারা লেখক নিমগাছের নানা উপকারের দিক বুঝিয়েছেন। নিমগাছের পাতা, ছাল, ডাল অনেক উপকারী। নানা ভেষজ ওষুধ তৈরি করার জন্য মানুষ নিমের ছাল ব্যবহার করে। নিমের ছাল

পানিতে সিদ্ধ করলে যে রস বের হয়, সেই রসমিশ্রিত পানি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এতে উদরাময়, আমাশয়, পিত্তশূল, ক্ষুধামান্দ্য, অম্ল ইত্যাদি রােগের উপশম হয়। এসব কারণেই মানুষ নিমের ছাল সিদ্ধ করে।

সারকথা : ‘নিমগাছ’ গল্পে নিমগাছের উপকারিতা বােঝাতে গল্পকার প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছেন।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের স্বপ্না ‘নিমগাছ’ গল্পের গৃহকর্ম-নিপুণা লক্ষ্মীবউ চরিত্রের প্রতিরূপ। সংসারের সার্বিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের সমান অবদান। কিন্তু সব দিক দিয়েই নারীরা অবহেলিত ও বঞ্চিত । ন্যায্য অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হয়। এমনকি তাদের শ্রম ও ত্যাগের কথা স্বীকারই করা হয় না।

উদ্দীপকে এক গৃহবধূকে সংসারে কীভাবে ক্লান্তিহীন কাজ করতে হয় সেই দিকটির প্রতি আলােকপাত করা হয়েছে। স্বপ্ন নামের গৃহবধূর দ্বিপ্রহরিক বিশ্রামটুকুও জোটে না। রান্নাঘর সামলে, ঘরদোর গুছিয়ে, কাপড় কাচা সেরে স্নান-খাওয়া শেষ করতেই তার বেলা গড়িয়ে যায়। খেয়ে উঠে তাকে আবার উনুন ধরাতে হয়।

নিমগাছ’ গল্পেও এমনই একজন গৃহবধূর কথা বলা হয়েছে। গৃহকর্মনিপুণা সেই গৃহবধূর সারাদিনে যে সব কাজ করতে হয় বিরতীহনভাবে সেই দিকটি লেখক গল্পের শেষ বাক্যে তুলে ধরা ধরেছেন। সে দিনরাত সংসারে পরিশ্রম করে। কিন্তু সঠিকভাবে মূল্যায়িত হয় না। এই গৃহকর্ম-নিপুণা লক্ষ্মীবউয়ের চরিত্রকেই ইঙ্গিত করেছে উদ্দীপকের স্বপ্না। 

See also  প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

সারকথা : উদ্দীপকে এক গৃহবধূর বিরতিহীন কাজকর্মের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে যা ‘নিমগাছ’ গল্পের গৃহকর্ম-নিপুণা লক্ষ্মীবউ চরিত্রটির প্রতি ইঙ্গিত করে ।

আপনি এই পোষ্টে নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের চিত্রটি নিমগাছ’ গল্পের শেষ বাক্যের সুদূরপ্রসারী ও বৈচিত্র্যময় তাৎপর্যকে উপস্থাপন করেছে।”- মন্তব্যটি যথার্থ ।

সংসারের সার্বিক উন্নয়নে একজন পুরুষের পাশাপাশি নারীরও রয়েছে সমান অবদান। তার কাজের হয়তাে হিসাব থাকে না। কিন্তু তার ক্লান্তিহীন ও বিরতিহীন কাজের যদি হিসাব রাখা হতাে তবে দেখা যেত পুরুষের তুলনায় তার কাজের পরিমাণ অনেক বেশি। অথচ তাদের কাজের কোনাে মূল্যায়ন করা হয় না।

উদ্দীপকে দেখা যায়, এক গৃহবধূ সকাল-সন্ধ্যা বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। কোনােকিছুতে তার ক্লান্তি নেই, বিরক্তি নেই। সংসারের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় সে অম্লান বদনে শেষ করে। এতটুকু বিশ্রাম নেওয়ার সময় তার নেই। এ বিষয়টি নিমগাছ’ গল্পের গল্পকার শেষ বাক্যে লেখক যে সীমাহীন কথার আখ্যান জুড়ে দিয়েছেন তার তাৎপর্যকে উপস্থাপন করেছে। ‘নিমগাছ’ একটি প্রতীকী গল্প ।

লেখক এখানে নিমগাছের প্রতীকে সংসারে নারীর অবস্থান ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরেছেন। নিমগাছের পাতা, বাকল, ডাল, ছায়া ইত্যাদির উপকারের কথা বর্ণনা করে লেখক দেখিয়েছেন এত উপকার করে যে গাছটি, সেটির হয় আঁস্তাকুড়ে আবর্জনার মধ্যে। কেউ তার যত্ন নেয় না। সংসারে একজন গৃহবধূর ঠিক একই দশা।

সে সারা দিন বিরামহীন পরিশ্রম করলেও কেউ তার শ্রমের মূল্যায়ন করে না। তার যত্নও করে না। গল্পের শেষ বাক্যে লেখক এই অখ্যান প্রােথিত করেছেন, যা উদ্দীপকের চিত্রটি উপস্থাপন করে। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : উদ্দীপকে এক গৃহবধূ সারা দিনে যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে কোনাে বিরতি ছাড়াই সেই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এ বিষয়টি নিমগাছ’ যা গল্পের শেষ বাক্যের সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য উপস্থাপন করে। তাই বলা যায়, মন্তব্যটি যথার্থ।

আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button